ঢাকা ০৭:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

পরস্পরবিরোধী দাবি নিয়ে রাজপথে বিএসসি – ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা, রাজধানী অচল

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ১০:৪৮:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
  • / 214

আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের একশন

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলনে নামেন বিএসসি প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটার শিকার হন। একইসঙ্গে সাত দফা দাবিতে সড়কে নামেন ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষার্থীরাও। তারাও যমুনার উদ্দেশে এগোতে চাইলে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পিছু হটেন। তবে পরে তাদের প্রতিনিধি দল শান্তিপূর্ণভাবে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়।

এই পরিস্থিতিতে দুই দিন ধরে চলা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বিবেচনায় নিয়ে সমাধানের লক্ষ্যে সরকার আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। চার উপদেষ্টা ও একজন আমলাকে অন্তর্ভুক্ত করা এ কমিটি শিক্ষার্থীরা মেনে না নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

যানজটে অচল রাজধানী

বুধবার (২৭ আগস্ট) দিনভর রাজধানীর শাহবাগসহ আশপাশের এলাকায় বিএসসি ও ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি ঘিরে দেখা দেয় তীব্র যানজট। প্রধান সড়কগুলো কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে, ভোগান্তিতে পড়েন হাজারো মানুষ।

বিএসসি প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ৩ দাবি

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে শাহবাগ অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। রাতেই দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি হিসেবে “লংমার্চ টু ঢাকা”-র ঘোষণা দেন।

বুধবার সকাল ১১টা থেকে ফের শাহবাগে অবস্থান নেন তারা। তাদের তিন দাবি হলো—

  1. নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী পদে প্রবেশের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রি ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে; কোটা বা সমমানের নতুন পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।

  2. টেকনিক্যাল দশম গ্রেডের (উপসহকারী প্রকৌশলী) নিয়োগ পরীক্ষা বিএসসি ও ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী উভয়ের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে।

  3. বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া কেউ প্রকৌশলী পদবি ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে আইইবি-বিএইটিইর আওতায় আনতে হবে।

যমুনার পথে সংঘর্ষ

দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা যমুনার দিকে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হলে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল মোড়ে পুলিশ বাধা দেয়। এরপর পুলিশ লাঠিচার্জ, জলকামান, টিয়ারশেল ও ৮-১০টি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। শিক্ষার্থীরাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ alongside বিজিবি মোতায়েন করা হয় এবং যমুনা অভিমুখে সেনা উপস্থিতি বাড়ানো হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আর সামনে অগ্রসর হতে পারেননি।

রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে সকালে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা ইতিবাচক ছিলেন। দুপুরে শিক্ষার্থীরা বলছিলেন আধাঘণ্টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন না এলে সচিবালয়ের দিকে যাবেন। এসময় প্রজ্ঞাপন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারা হঠাৎ যমুনার দিকে যাত্রা শুরু করলে পুলিশ বাধা দেয়।”

তিনি আরও বলেন, “শাহবাগ মোড়ে আন্দোলন নিষিদ্ধের বিষয়ে একাধিকবার গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ ভোগান্তি পাচ্ছিল। তারপরও আমরা তাদের বারবার শুধু সরে যাওয়ার অনুরোধ করেছি।”

ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের ৭ দাবি

বুধবার সকাল ১১টার দিকে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-শিক্ষক পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে কাকরাইলের আইডিইবি ভবনের সামনে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা যমুনার দিকে মিছিল নিয়ে গেলে পুলিশের ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হন।

তবে পরে আহ্বায়ক প্রকৌশলী মো. আখেরুজ্জামান ও সদস্য সচিব প্রকৌশলী মো. ইমাম উদ্দিনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি জমা দেয়।

তাদের সাত দাবি হলো—

  1. উপসহকারী প্রকৌশলী পদ ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।

  2. ১৯৭৮ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পদোন্নতির কোটা ৫০% করতে হবে।

  3. ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা ও ডেস্ক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি প্রকৌশলীদের নিয়োগ দিতে হবে।

  4. প্রকৌশলীরা পেশা পরিবর্তন করবে না—এ নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে।

  5. আন্তর্জাতিক অনুপাতে (১:৫) জনবল কাঠামো প্রণয়ন করতে হবে।

  6. ডিপ্লোমা কোর্স ইংরেজি ভার্সনে আধুনিকায়ন ও শিক্ষক স্বল্পতা দূর করতে হবে।

  7. ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ ও বৃত্তি বাড়াতে হবে।

সরকারের ৮ সদস্যের কমিটি

সরকার শিক্ষার্থীদের দাবির যৌক্তিকতা যাচাই করে সমাধানের জন্য আট সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।

কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। সদস্যরা হলেন— আদিলুর রহমান খান, ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম (আইইবি সভাপতি), প্রকৌশলী মো. কবির হোসেন (আইডিইবি সভাপতি), অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী তানভির মঞ্জুর এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কমিটি এক মাসের মধ্যে সরকারের কাছে সুপারিশ দেবে এবং প্রয়োজনে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।

শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া

আইডিইবি সভাপতিকে রাখা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা কমিটিকে “অনুপযুক্ত” অভিহিত করেছেন।

প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের সভাপতি মো. ওয়ালী উল্লাহ বলেন, “প্রথম দাবি— অনুপযুক্ত কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। দ্বিতীয় দাবি— লাঠিচার্জের ঘটনায় দায়িত্বরত ডিসিকে আমাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তৃতীয় দাবি— সংশ্লিষ্ট তিন উপদেষ্টাকে এসে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে।”

তিনি জানান, এ দাবিগুলো মানা না হলে অবস্থান কর্মসূচি চলবে।

সাধারণ সম্পাদক মো. সাকিবুল হক লিপু বলেন, “শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে আক্রমণ করেছে। যারা এ হুকুম দিয়েছে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার ও গ্রেপ্তার করতে হবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

পরস্পরবিরোধী দাবি নিয়ে রাজপথে বিএসসি – ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা, রাজধানী অচল

আপডেট সময় : ১০:৪৮:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলনে নামেন বিএসসি প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটার শিকার হন। একইসঙ্গে সাত দফা দাবিতে সড়কে নামেন ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষার্থীরাও। তারাও যমুনার উদ্দেশে এগোতে চাইলে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পিছু হটেন। তবে পরে তাদের প্রতিনিধি দল শান্তিপূর্ণভাবে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়।

এই পরিস্থিতিতে দুই দিন ধরে চলা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বিবেচনায় নিয়ে সমাধানের লক্ষ্যে সরকার আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। চার উপদেষ্টা ও একজন আমলাকে অন্তর্ভুক্ত করা এ কমিটি শিক্ষার্থীরা মেনে না নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

যানজটে অচল রাজধানী

বুধবার (২৭ আগস্ট) দিনভর রাজধানীর শাহবাগসহ আশপাশের এলাকায় বিএসসি ও ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি ঘিরে দেখা দেয় তীব্র যানজট। প্রধান সড়কগুলো কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে, ভোগান্তিতে পড়েন হাজারো মানুষ।

বিএসসি প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ৩ দাবি

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে শাহবাগ অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। রাতেই দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি হিসেবে “লংমার্চ টু ঢাকা”-র ঘোষণা দেন।

বুধবার সকাল ১১টা থেকে ফের শাহবাগে অবস্থান নেন তারা। তাদের তিন দাবি হলো—

  1. নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী পদে প্রবেশের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রি ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে; কোটা বা সমমানের নতুন পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।

  2. টেকনিক্যাল দশম গ্রেডের (উপসহকারী প্রকৌশলী) নিয়োগ পরীক্ষা বিএসসি ও ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী উভয়ের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে।

  3. বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া কেউ প্রকৌশলী পদবি ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে আইইবি-বিএইটিইর আওতায় আনতে হবে।

যমুনার পথে সংঘর্ষ

দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা যমুনার দিকে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হলে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল মোড়ে পুলিশ বাধা দেয়। এরপর পুলিশ লাঠিচার্জ, জলকামান, টিয়ারশেল ও ৮-১০টি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। শিক্ষার্থীরাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ alongside বিজিবি মোতায়েন করা হয় এবং যমুনা অভিমুখে সেনা উপস্থিতি বাড়ানো হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আর সামনে অগ্রসর হতে পারেননি।

রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে সকালে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা ইতিবাচক ছিলেন। দুপুরে শিক্ষার্থীরা বলছিলেন আধাঘণ্টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন না এলে সচিবালয়ের দিকে যাবেন। এসময় প্রজ্ঞাপন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারা হঠাৎ যমুনার দিকে যাত্রা শুরু করলে পুলিশ বাধা দেয়।”

তিনি আরও বলেন, “শাহবাগ মোড়ে আন্দোলন নিষিদ্ধের বিষয়ে একাধিকবার গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ ভোগান্তি পাচ্ছিল। তারপরও আমরা তাদের বারবার শুধু সরে যাওয়ার অনুরোধ করেছি।”

ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের ৭ দাবি

বুধবার সকাল ১১টার দিকে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-শিক্ষক পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে কাকরাইলের আইডিইবি ভবনের সামনে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা যমুনার দিকে মিছিল নিয়ে গেলে পুলিশের ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হন।

তবে পরে আহ্বায়ক প্রকৌশলী মো. আখেরুজ্জামান ও সদস্য সচিব প্রকৌশলী মো. ইমাম উদ্দিনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি জমা দেয়।

তাদের সাত দাবি হলো—

  1. উপসহকারী প্রকৌশলী পদ ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।

  2. ১৯৭৮ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পদোন্নতির কোটা ৫০% করতে হবে।

  3. ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা ও ডেস্ক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি প্রকৌশলীদের নিয়োগ দিতে হবে।

  4. প্রকৌশলীরা পেশা পরিবর্তন করবে না—এ নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে।

  5. আন্তর্জাতিক অনুপাতে (১:৫) জনবল কাঠামো প্রণয়ন করতে হবে।

  6. ডিপ্লোমা কোর্স ইংরেজি ভার্সনে আধুনিকায়ন ও শিক্ষক স্বল্পতা দূর করতে হবে।

  7. ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ ও বৃত্তি বাড়াতে হবে।

সরকারের ৮ সদস্যের কমিটি

সরকার শিক্ষার্থীদের দাবির যৌক্তিকতা যাচাই করে সমাধানের জন্য আট সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।

কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। সদস্যরা হলেন— আদিলুর রহমান খান, ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম (আইইবি সভাপতি), প্রকৌশলী মো. কবির হোসেন (আইডিইবি সভাপতি), অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী তানভির মঞ্জুর এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কমিটি এক মাসের মধ্যে সরকারের কাছে সুপারিশ দেবে এবং প্রয়োজনে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।

শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া

আইডিইবি সভাপতিকে রাখা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা কমিটিকে “অনুপযুক্ত” অভিহিত করেছেন।

প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের সভাপতি মো. ওয়ালী উল্লাহ বলেন, “প্রথম দাবি— অনুপযুক্ত কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। দ্বিতীয় দাবি— লাঠিচার্জের ঘটনায় দায়িত্বরত ডিসিকে আমাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তৃতীয় দাবি— সংশ্লিষ্ট তিন উপদেষ্টাকে এসে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে।”

তিনি জানান, এ দাবিগুলো মানা না হলে অবস্থান কর্মসূচি চলবে।

সাধারণ সম্পাদক মো. সাকিবুল হক লিপু বলেন, “শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে আক্রমণ করেছে। যারা এ হুকুম দিয়েছে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার ও গ্রেপ্তার করতে হবে।”