ঢাকা ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সরকার সমালোচক সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আটক ‘পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা করেনি’  চবি উপ-উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঢাবিতে ‘রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভ’, জুতা নিক্ষেপ লন্ডনে তারেক রহমানের শেষ কর্মসূচি ১৬ ডিসেম্বর গোলাম আজম ও নিজামীকে দেশপ্রেমিক বলায় পাবনায় প্রতিবাদ মিরপুরের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল, ঘাতকদের বিচারের দাবি জগন্নাথ হলের সড়কে ছাত্রদের আঁকা গোলাম আজমদের ছবি মুছে দিল প্রশাসন নির্বাচন বয়কট করছে না আওয়ামী লীগ সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী ঘাঁটিতে হামলা: নিহত ৬ বাংলাদেশি বিএনপি থেকে তিন দফা বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামানকে দলে নিল জামায়াত

‘পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা করেনি’  চবি উপ-উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০১:০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / 14

‘পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা করেনি’ বক্তব্যের প্রতিবাদে মিছিল

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে পাকিস্তানি বাহিনী যে এদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে, এ বিষয়টিকে ‘অবান্তর’ বললেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভা কক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় আর এ মন্তব্য আসে।

‘মুক্তচিন্তা, মুক্তিযুদ্ধ এবং একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।

অধ্যাপক শামীম বলেন, “যে সময় পাকিস্তানি সৈন্যরা আমাদের দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করছে, সে সময় পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, আমি মনে করি এটি রীতিমত অবান্তর। কারণ, ওই সময় তারা তাদের জীবন শঙ্কায় ছিলেন।”

একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাত থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। তবে বিজয়ের প্রাক্কালে এ হত্যাযজ্ঞ ভয়াবহ রূপ নেয়। আর এ কাজে তাদের সহযোগিতা করেছিলেন এ দেশীয় দোসররা।

ডিসেম্বরের মধ্যভাগে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয় যখন অনিবার্য, তখন রাজাকার, আল-বদর বাহিনীর সহযোগিতায় পাকিস্তানি বাহিনী হত্যা করে বাংলাদেশের প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবীদের; উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দেওয়া।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিকসহ বহু খ্যাতিমান বাঙালিকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে।

নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনেই পাকিস্তানি বাহিনী ওই নিধনযজ্ঞ চালায়; তাদের উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার পর যেন বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে, তা নিশ্চিত করা।

শরীরে নিষ্ঠুর নির্যাতনের চিহ্নসহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের লাশ পাওয়া যায় মিরপুর ও রায়েরবাজার এলাকায়। পরে তা বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে।

অধ্যাপক শামীম অবশ্য ইতিহাসের এই মীমাংসিত সত্যের সঙ্গে একমত নন। তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ দেশকে আরেকটা দেশের করদরাজ্যে পরিণত করার জন্য বুদ্ধিজীবীদের ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা করা হয়েছে। আমরা আজ পর্যন্ত জহির রায়হানকে খুঁজে পাইনি। যদি জহির রায়হানকে খুঁজে পাওয়া যেত, তবে সত্যিকার ইতিহাস আমরা পেতাম।”

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ হয়েছিলেন, এই সংখ্যা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘সাদা দল’-এর সাবেক আহ্বায়ক শামীম উদ্দিন খান।

তিনি বলেন, “গতকাল রাতে টিভি টকশোতে দেখলাম, আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান বক্তব্য রাখছেন। তাকে যখন প্রশ্ন করা হল যে— ‘আপনি তো বলতেন, ১৯৭১ সালে লাখ লাখ লোক শাহাদাত বরণ করেছেন। এখন আপনি এর বিপরীতে রাজনীতিতে যুক্ত হলেন, এটি কেন?’ তিনি বললেন, ‘এগুলো হচ্ছে রেটরিক বক্তব্য। এগুলো তো সত্য নয়’।”

শামীম উদ্দিন খান বলেন, “রেটরিক বক্তব্য আমরা জাতির সামনে শুনতে চাই না। আমরা রিয়েলিটি চাই। আমরা সত্যিকারভাবে বাংলাদেশে কী ঘটেছিল ১৯৭১ সালে, সেই ঘটনায় কারা কারা শহীদ হয়েছেন, সেই তথ্য জানতে চাই। কারা কারা হত্যা করেছে, সেই তথ্য এখন পর্যন্ত আমাদের জানানো হয়নি।”

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর কী হয়েছিল, তা জানতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘স্বাধীন নিরপেক্ষ কমিশন’ গঠন করার অনুরোধ জানিয়ে অধ্যাপক শামীম বলেন, “আজ পর্যন্ত শহীদের তালিকা তৈরি হয়নি। আজ পর্যন্ত রাজাকারের তালিকা তৈরি হয়নি। শুধু আমরা বক্তব্য দিয়ে জাতিকে একের পর এক বিভ্রান্ত করেছি। আর জাতিকে বিভক্ত করেছি।

“অনুরোধ করব সবাইকে এই অপপ্রচার থেকে জাতিকে নিষ্কৃতি দেন। জাতিকে একটি সঠিক দিশা দেন।”

উপ-উপাচার্য বলেন, “বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত যতগুলো হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, প্রাথমিকভাবে আমরা সবাই জানি যে, কোনো একটি গোষ্ঠীর ওপর দায় চাপানো হয়। কোনো ব্যক্তির ওপর দায় চাপানো হয়।

“পরে ১৫ বছর থেকে ২০ বছর পর দেখি যে আসলে প্রকৃত আসামি আরেকজন। এই বিষয়গুলো কেন হচ্ছে? একের পর এক ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে। একটি জাতিকে পদাবনত করার জন্য আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে।”

অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সিন্ডিকেট সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ আল আমীন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, চাকসুর ভিপি ইব্রাহিম রনি, জিএস সাঈদ বিন হাবিব, এজিএস আয়ুবুর রহমান সহ বিভিন্ন হলের প্রোভস্ট ও চাকসু নেতারা আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের এ বক্তব্য ‘ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে’ এদিন রাত সাড়ে ৯টায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।

শিক্ষার্থীরা এসময় অধ্যাপক শামীমকে তার বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলেন এবং তার পদত্যাগ দাবি করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

‘পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা করেনি’  চবি উপ-উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ০১:০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে পাকিস্তানি বাহিনী যে এদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে, এ বিষয়টিকে ‘অবান্তর’ বললেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভা কক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় আর এ মন্তব্য আসে।

‘মুক্তচিন্তা, মুক্তিযুদ্ধ এবং একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।

অধ্যাপক শামীম বলেন, “যে সময় পাকিস্তানি সৈন্যরা আমাদের দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করছে, সে সময় পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, আমি মনে করি এটি রীতিমত অবান্তর। কারণ, ওই সময় তারা তাদের জীবন শঙ্কায় ছিলেন।”

একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাত থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। তবে বিজয়ের প্রাক্কালে এ হত্যাযজ্ঞ ভয়াবহ রূপ নেয়। আর এ কাজে তাদের সহযোগিতা করেছিলেন এ দেশীয় দোসররা।

ডিসেম্বরের মধ্যভাগে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয় যখন অনিবার্য, তখন রাজাকার, আল-বদর বাহিনীর সহযোগিতায় পাকিস্তানি বাহিনী হত্যা করে বাংলাদেশের প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবীদের; উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দেওয়া।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিকসহ বহু খ্যাতিমান বাঙালিকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে।

নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনেই পাকিস্তানি বাহিনী ওই নিধনযজ্ঞ চালায়; তাদের উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার পর যেন বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে, তা নিশ্চিত করা।

শরীরে নিষ্ঠুর নির্যাতনের চিহ্নসহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের লাশ পাওয়া যায় মিরপুর ও রায়েরবাজার এলাকায়। পরে তা বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে।

অধ্যাপক শামীম অবশ্য ইতিহাসের এই মীমাংসিত সত্যের সঙ্গে একমত নন। তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ দেশকে আরেকটা দেশের করদরাজ্যে পরিণত করার জন্য বুদ্ধিজীবীদের ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা করা হয়েছে। আমরা আজ পর্যন্ত জহির রায়হানকে খুঁজে পাইনি। যদি জহির রায়হানকে খুঁজে পাওয়া যেত, তবে সত্যিকার ইতিহাস আমরা পেতাম।”

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ হয়েছিলেন, এই সংখ্যা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘সাদা দল’-এর সাবেক আহ্বায়ক শামীম উদ্দিন খান।

তিনি বলেন, “গতকাল রাতে টিভি টকশোতে দেখলাম, আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান বক্তব্য রাখছেন। তাকে যখন প্রশ্ন করা হল যে— ‘আপনি তো বলতেন, ১৯৭১ সালে লাখ লাখ লোক শাহাদাত বরণ করেছেন। এখন আপনি এর বিপরীতে রাজনীতিতে যুক্ত হলেন, এটি কেন?’ তিনি বললেন, ‘এগুলো হচ্ছে রেটরিক বক্তব্য। এগুলো তো সত্য নয়’।”

শামীম উদ্দিন খান বলেন, “রেটরিক বক্তব্য আমরা জাতির সামনে শুনতে চাই না। আমরা রিয়েলিটি চাই। আমরা সত্যিকারভাবে বাংলাদেশে কী ঘটেছিল ১৯৭১ সালে, সেই ঘটনায় কারা কারা শহীদ হয়েছেন, সেই তথ্য জানতে চাই। কারা কারা হত্যা করেছে, সেই তথ্য এখন পর্যন্ত আমাদের জানানো হয়নি।”

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর কী হয়েছিল, তা জানতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘স্বাধীন নিরপেক্ষ কমিশন’ গঠন করার অনুরোধ জানিয়ে অধ্যাপক শামীম বলেন, “আজ পর্যন্ত শহীদের তালিকা তৈরি হয়নি। আজ পর্যন্ত রাজাকারের তালিকা তৈরি হয়নি। শুধু আমরা বক্তব্য দিয়ে জাতিকে একের পর এক বিভ্রান্ত করেছি। আর জাতিকে বিভক্ত করেছি।

“অনুরোধ করব সবাইকে এই অপপ্রচার থেকে জাতিকে নিষ্কৃতি দেন। জাতিকে একটি সঠিক দিশা দেন।”

উপ-উপাচার্য বলেন, “বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত যতগুলো হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, প্রাথমিকভাবে আমরা সবাই জানি যে, কোনো একটি গোষ্ঠীর ওপর দায় চাপানো হয়। কোনো ব্যক্তির ওপর দায় চাপানো হয়।

“পরে ১৫ বছর থেকে ২০ বছর পর দেখি যে আসলে প্রকৃত আসামি আরেকজন। এই বিষয়গুলো কেন হচ্ছে? একের পর এক ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে। একটি জাতিকে পদাবনত করার জন্য আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে।”

অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সিন্ডিকেট সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ আল আমীন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, চাকসুর ভিপি ইব্রাহিম রনি, জিএস সাঈদ বিন হাবিব, এজিএস আয়ুবুর রহমান সহ বিভিন্ন হলের প্রোভস্ট ও চাকসু নেতারা আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের এ বক্তব্য ‘ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে’ এদিন রাত সাড়ে ৯টায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।

শিক্ষার্থীরা এসময় অধ্যাপক শামীমকে তার বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলেন এবং তার পদত্যাগ দাবি করেন।