ডাকসু নেতার হাতে হেনস্থার শিকার ঢাবি অধ্যাপক
- আপডেট সময় : ০৫:৩৭:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
- / 13
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ বিভাগে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়ে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং আওয়ামীপন্থি নীল দলের শিক্ষক আ ক ম জামাল উদ্দীন।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে এই ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীদের বক্তব্য, আ ক ম জামালসহ কয়েকজন শিক্ষক দুপুরে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে যান। খবর পেয়ে অনুষদ ভবনের সামনে জড়ো হন কয়েকজন শিক্ষার্থী। সেখানে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়েরের নেতৃত্বে আ ক ম জামালকে ধাওয়া করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা এক ভিডিওতে দেখা যায়, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সিঁড়িতে জুবায়ের অধ্যাপক জামালকে জাপটে ধরে আটকানোর চেষ্টা করছেন। নিজেকে ছাড়াতে গিয়ে আ ক ম জামাল হুডি খুলে ফেলেন। এরপর তিনি সিঁড়ি বেয়ে নেমে দৌড়ে পালালে জুবায়েরও তার পিছু নেন।
এক পর্যায়ে অধ্যাপক জামাল একটি গাড়িতে উঠে পড়েন। তখনও জুবায়ের গাড়ির দরজা ধরে তাকে নামানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে সমাজসেবা সম্পাদক নির্বাচিত জুবায়ের পরে এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “স্বঘোষিত রাজাকারের বাচ্চাগুলোরে ধইরা ধইরা ব্রাশফায়ার দিতে হবে বলা আওয়ামী লীগের কুলাঙ্গার শিক্ষক আকম জামাল, নীল দলের পোস্টেড নেতা জিনাত হুদাসহ ৫ জন ফ্যাসিস্টের দোসর শিক্ষক আজকে ক্যাম্পাসে এসে গোপন মিটিংয়ে যুক্ত হয়েছিল। খবর পেয়ে আমরা তাদেরকে পাকড়াও করে পুলিশে দেয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আনফরচুনেটলি আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখা গাড়িতে উঠে পালিয়ে যায় কুলাঙ্গারগুলো!”
তিনি আরও লেখেন, “ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা এদের ক্লাস-পরীক্ষা সব বয়কট করেছে। তারপরও এরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার সাহস কিভাবে পায়! প্রশাসনকে আরো তৎপর হতে হবে। খুনিদের সাথে কোনো সহাবস্থানের সুযোগ নেই। সবগুলোকে বিচারের আওতায় আনতে হবে শীঘ্রই।”
এ বিষয়ে কথা বলতে অধ্যাপক আ ক ম জামাল ও অধ্যাপক জিনাত হুদাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও সাড়া মেলেনি।
কোন পাঁচ শিক্ষক ‘গোপন মিটিংয়ে’ অংশ নিয়েছিলেন জানতে এবি জুবায়েরকে ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি সে সময় ক্যাম্পাসে ছিলাম না। তবে এর আগে আ ক ম জামাল স্যার ক্যাম্পাসে এলে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। পরে আমরা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করি যে, তিনি আর আসবেন না। আমরা জামাল স্যারকেও বলেছিলাম না আসতে। তারপরও তিনি এসেছেন।”
কোন পাঁচ শিক্ষক বৈঠকে ছিলেন—এ প্রশ্নে প্রক্টর বলেন, “আমি তো বাইরে ছিলাম, জানি না। তবে এক ভিডিওতে উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের আজমল স্যারকে দেখেছি। আমি খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছি।”

















