ঢাকা ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন? খালেদা জিয়া ছাড়া পরিবারের কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন না কুকুরছানা হত্যা মামলায় মায়ের সঙ্গে কারাগারে ২ বছরের শিশু খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে ঢাকায় আসছেন জুবাইদা যুক্তরাজ্যের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী!

মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট, ধর্ষণ মামলায় শিক্ষার্থী গ্রেফতার, বহিস্কার

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ১১:৫৬:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
  • / 67

গ্রেপ্তার বুয়েটের ছাত্র শ্রীশান্ত রায়

অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারী হেনস্তার অভিযোগে শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) মধ্যরাতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়ের করা মামলায় চকবাজার থানা পুলিশ ওই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীর নাম শ্রীশান্ত রায় (স্টুডেন্ট আইডি–২১০৬১৬৯)। তিনি বুয়েটের ‘ট্রিপল ই–২১’ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং আহসানউল্লাহ হলের আবাসিক ছাত্র।

চকবাজার থানার ডিউটি অফিসার এসআই নাজমুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমানে শ্রীশান্ত রায় থানার হেফাজতে রয়েছেন। বুয়েট প্রশাসন তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডডিটে অজ্ঞাত পরিচয়ে নারীদের নিয়ে অশালীন, অবমাননাকর ও যৌন হয়রানিমূলক মন্তব্য করেন শ্রীশান্ত রায়। পাশাপাশি, তিনি ধর্ষণের বিষয়টিও স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২২ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারের দাবিতে বুয়েটের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠসংলগ্ন ছাত্রকল্যাণ পরিদফতর (ডিএসডব্লিউ) ভবনের সামনে জড়ো হন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ধর্ষকের ঠিকানা, এই বুয়েটে হবে না’, ‘ধর্ষকদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, ধর্ষকের বিচার চাই’সহ নানা স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, “নানা প্রমাণ ও মিলের ভিত্তিতে আমরা দৃঢ়ভাবে সন্দেহ করছি যে, আমাদের ব্যাচের শ্রীশান্ত রায়ই ওই রেডডিট আইডির ব্যবহারকারী এবং সে-ই সচেতনভাবে নারীদের প্রতি অশালীন, লাঞ্ছনাকর ও হয়রানিমূলক আচরণ করেছে।”

তারা আরও বলেন, “যদি ওর কাছ থেকে আগেও কেউ এ ধরনের আচরণের শিকার হয়ে থাকেন বা কোনও প্রমাণ থেকে থাকে, গোপনীয়তা বজায় রেখেও যেন তা প্রকাশ্যে আনেন।”

পরে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ছাত্রকল্যাণ পরিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুদ লিখিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শ্রীশান্ত রায়কে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের আদেশ জারি করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এতদ্বারা সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের ‘২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায় (আইডি: ২১০৬১৬৯)-এর ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে বাতিল করা হলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট, ধর্ষণ মামলায় শিক্ষার্থী গ্রেফতার, বহিস্কার

আপডেট সময় : ১১:৫৬:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারী হেনস্তার অভিযোগে শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) মধ্যরাতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়ের করা মামলায় চকবাজার থানা পুলিশ ওই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীর নাম শ্রীশান্ত রায় (স্টুডেন্ট আইডি–২১০৬১৬৯)। তিনি বুয়েটের ‘ট্রিপল ই–২১’ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং আহসানউল্লাহ হলের আবাসিক ছাত্র।

চকবাজার থানার ডিউটি অফিসার এসআই নাজমুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমানে শ্রীশান্ত রায় থানার হেফাজতে রয়েছেন। বুয়েট প্রশাসন তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডডিটে অজ্ঞাত পরিচয়ে নারীদের নিয়ে অশালীন, অবমাননাকর ও যৌন হয়রানিমূলক মন্তব্য করেন শ্রীশান্ত রায়। পাশাপাশি, তিনি ধর্ষণের বিষয়টিও স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২২ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারের দাবিতে বুয়েটের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠসংলগ্ন ছাত্রকল্যাণ পরিদফতর (ডিএসডব্লিউ) ভবনের সামনে জড়ো হন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ধর্ষকের ঠিকানা, এই বুয়েটে হবে না’, ‘ধর্ষকদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, ধর্ষকের বিচার চাই’সহ নানা স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, “নানা প্রমাণ ও মিলের ভিত্তিতে আমরা দৃঢ়ভাবে সন্দেহ করছি যে, আমাদের ব্যাচের শ্রীশান্ত রায়ই ওই রেডডিট আইডির ব্যবহারকারী এবং সে-ই সচেতনভাবে নারীদের প্রতি অশালীন, লাঞ্ছনাকর ও হয়রানিমূলক আচরণ করেছে।”

তারা আরও বলেন, “যদি ওর কাছ থেকে আগেও কেউ এ ধরনের আচরণের শিকার হয়ে থাকেন বা কোনও প্রমাণ থেকে থাকে, গোপনীয়তা বজায় রেখেও যেন তা প্রকাশ্যে আনেন।”

পরে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ছাত্রকল্যাণ পরিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুদ লিখিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শ্রীশান্ত রায়কে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের আদেশ জারি করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এতদ্বারা সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের ‘২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায় (আইডি: ২১০৬১৬৯)-এর ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে বাতিল করা হলো।