ঢাকা ০৬:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ভারতে থাকবেন কিনা এ সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাই নেবেন, জানালেন জয়শঙ্কর আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা ইসলামে পারিবারিক নির্যাতনের কোনো স্থান নেই-শায়খ আব্দুল কাইয়ুম লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আরও ৩০ দেশের নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে লন্ডনে ফ্লাই রবিবার, নির্জন কারাবাস থেকেই খালেদা জিয়ার ‘নানা রোগের সূচনা’ জানালেন ফখরুল মহাকাশ থেকে পবিত্র  কাবা শরিফের উজ্জ্বল ছবি আন্দোলনে থাকা প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি, ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত, কীভাবে ভোটার হবেন?

পরিকল্পনা ছাড়াই বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ কিনছে সরকার?
মার্কিন চাপে সরকারের নতিস্বীকার

৫২ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৬:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
  • / 269
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আমেরিকার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি উড়োজাহাজের ক্রয়াদেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান। অনেকটা হুট করেই এ সিদ্ধান্ত সামনে আসায় নানা প্রশ্ন সামনে আসছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি নিছক রাজনৈতিক একটি সিদ্ধান্ত।

উড়োজাহাজ কেনার বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কোনো কর্মকর্তাই কথা বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, উড়োজাহাজ কেনার বিষয়ে বিমান কর্তৃপক্ষকে সরকারের পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি।

রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা বোয়িং থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনার জন্য অর্ডার (ক্রয়াদেশ) দিয়েছি। যেমন ভারত দিয়েছে ১০০টি, ভিয়েতনাম দিয়েছে ১০০টি, ইন্দোনেশিয়া দিয়েছে ৫০টি। বোয়িং ক্যাপাসিটি অনুযায়ী এগুলো সরবরাহ করবে।’

বাণিজ্যসচিব আরও বলেন, ‘হয়তো আমরা দুয়েক বছরের মধ্যে কিছু পাব। আমাদের বিমানের বহর বাড়াতে হবে। সেই পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল। নতুন করে ট্যারিফ ইস্যুতে আমরা আবার নতুন করে তাদেরকে এই আদেশ দিচ্ছি। আগে ১৪টা ছিল পরে সেটা ২৫টা করেছি।’

অবশ্য কোন ধরনের উড়োজাহাজ কেনা হচ্ছে, এগুলোর দাম বা এগুলো কবে নাগাদ দেশে এসে পৌঁছাবে, তা স্পষ্ট করেননি বাণিজ্যসচিব।

বিমানের বর্তমান বহরে বোয়িংয়ের তৈরি ১৬টি উড়োজাহাজ আছে। এর মধ্যে ১০টি কেনার চুক্তি হয় ২০০৮ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে। পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে ২টি ৭৩৭, ৪টি ৭৭৭ এবং ৪টি ৭৮৭ ড্রিমলাইনার মডেলের উড়োজাহাজ বিমানের বহরে যুক্ত হয়। এ ছাড়া বিমান আরও ৬টি উড়োজাহাজ কিনেছে। এগুলোর মধ্যে আছে ৪টি ৭৩৭ এবং ২টি ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ।

২০২৩ সালে ইউরোপীয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাসের কাছ থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছিল তৎকালীন সরকার। একই সঙ্গে বোয়িংয়ের সঙ্গেও কথাবার্তা চলছিল। প্রাথমিকভাবে এয়ারবাসের কাছ থেকে এ‑৩৫০ মডেলের দুটি উড়োজাহাজ কিনতে আগ্রহের কথা জানায় বিমান। আর বোয়িংও প্রস্তাব দেয় অন্তত ২টি ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিক্রির।

এদিকে বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনার বিষয়ে কিছুই জানেন না তারা। সংস্থাটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বোয়িংয়ের ২৫ উড়োজাহাজের বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। টেকনো ফিন্যান্সিয়াল কমিটিও জানে না। এটা হয়তো সরকারের সিদ্ধান্ত।’

হুট করে ২৫টি বোয়িং কেনার সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এ টি এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক একটি সিদ্ধান্ত। আমেরিকার বাড়তি ট্যারিফ মোকাবিলা করার জন্য সরকার হয়তো এ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে।’

এ টি এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তবে এটাও সত্যি যে, বিমানের নতুন উড়োজাহাজ প্রয়োজন। বিষয়টি এমন নয় যে, আজ অর্ডার করলে কাল উড়োজাহাজ চলে আসবে। কিন্তু এর পরিকল্পনাটা বিমানের তরফে হলেই ভালো হতো। কারণ তারাই বলতে পারবে তাদের কী ধরনের উড়োজাহাজ লাগবে, তাদের রুট প্ল্যানিংটা কী হবে।’

এ টি এম নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, একটা এয়ারলাইনসের ফ্লিটে বোয়িং এবং এয়ারবাস দুটোই থাকা উচিত। আর সম্প্রতি বোয়িং ৭৮৭‑এর মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বোয়িংয়ের প্রোডাকশন কমে গেছে। তারা কিছুটা ব্যাকফুটে আছে। এটাও বিবেচনা করা উচিত।’

বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স এবং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের উৎপাদন প্রক্রিয়া নিয়ে অনেক দিন ধরেই কাঠগড়ায় বোয়িং। গত ১২ জুন আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ১৭১ বিধ্বস্তে ২৬০ জন নিহতের পর বোয়িং নিয়ে শুরু হয় নানা জল্পনা। অবশ্য এটিই ছিল ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের প্রথম প্রাণঘাতি কোনো দুর্ঘটনা। বিভিন্ন সময়ে হুইসেল ব্লোয়াররা বোয়িংয়ের উৎপাদন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

এ টি এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের (মার্কেট) শেয়ারে বিদেশি এয়ারলাইনসের আধিপত্য বেশি। বাংলাদেশি এয়ারলাইনসগুলো মাত্র ২৫ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে। এটা বাড়াতে হলে বিমানকে বহর বাড়াতে হবে। তবে সেটা হতে হবে পরিকল্পনামাফিক। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করলে এটা সফল হবে না।’

বিমানের এর মধ্যে ৭৭৭ ও ড্রিমলাইনারগুলো টানা ১৬ ঘণ্টারও বেশি সময় উড়তে সক্ষম। এ ধরনের উড়োজাহাজ লং হউল হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে ৭৩৭ উড়োজাহাজগুলো মধ্যম ও স্বল্প দূরত্বের গন্তব্যে ব্যবহার করা হয়।

দীর্ঘ পাল্লার উড়োজাহাজ বহরে থাকার পরেও বিমানের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের অভিযোগ, তারা এর সক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার করতে পারছে না। সাম্প্রতিক সময়ে কানাডার টরন্টো, ইতালির রোম এবং জাপানের নারিতায় ফ্লাইট শুরু করে সংস্থাটি। এর মধ্যে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই নারিতা রুটটি স্থগিত করা হয়। বিমানের দাবি, রুটটি পরিচালনা করতে গিয়ে মাসে তাদের অন্তত ২০ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। অবশ্য টরন্টো এবং রোম ফ্লাইট নিয়ে এমন কোনো অভিযোগ নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পরিকল্পনা ছাড়াই বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ কিনছে সরকার?
মার্কিন চাপে সরকারের নতিস্বীকার

আপডেট সময় : ০৮:৫৬:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

আমেরিকার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি উড়োজাহাজের ক্রয়াদেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান। অনেকটা হুট করেই এ সিদ্ধান্ত সামনে আসায় নানা প্রশ্ন সামনে আসছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি নিছক রাজনৈতিক একটি সিদ্ধান্ত।

উড়োজাহাজ কেনার বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কোনো কর্মকর্তাই কথা বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, উড়োজাহাজ কেনার বিষয়ে বিমান কর্তৃপক্ষকে সরকারের পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি।

রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা বোয়িং থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনার জন্য অর্ডার (ক্রয়াদেশ) দিয়েছি। যেমন ভারত দিয়েছে ১০০টি, ভিয়েতনাম দিয়েছে ১০০টি, ইন্দোনেশিয়া দিয়েছে ৫০টি। বোয়িং ক্যাপাসিটি অনুযায়ী এগুলো সরবরাহ করবে।’

বাণিজ্যসচিব আরও বলেন, ‘হয়তো আমরা দুয়েক বছরের মধ্যে কিছু পাব। আমাদের বিমানের বহর বাড়াতে হবে। সেই পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল। নতুন করে ট্যারিফ ইস্যুতে আমরা আবার নতুন করে তাদেরকে এই আদেশ দিচ্ছি। আগে ১৪টা ছিল পরে সেটা ২৫টা করেছি।’

অবশ্য কোন ধরনের উড়োজাহাজ কেনা হচ্ছে, এগুলোর দাম বা এগুলো কবে নাগাদ দেশে এসে পৌঁছাবে, তা স্পষ্ট করেননি বাণিজ্যসচিব।

বিমানের বর্তমান বহরে বোয়িংয়ের তৈরি ১৬টি উড়োজাহাজ আছে। এর মধ্যে ১০টি কেনার চুক্তি হয় ২০০৮ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে। পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে ২টি ৭৩৭, ৪টি ৭৭৭ এবং ৪টি ৭৮৭ ড্রিমলাইনার মডেলের উড়োজাহাজ বিমানের বহরে যুক্ত হয়। এ ছাড়া বিমান আরও ৬টি উড়োজাহাজ কিনেছে। এগুলোর মধ্যে আছে ৪টি ৭৩৭ এবং ২টি ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ।

২০২৩ সালে ইউরোপীয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাসের কাছ থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছিল তৎকালীন সরকার। একই সঙ্গে বোয়িংয়ের সঙ্গেও কথাবার্তা চলছিল। প্রাথমিকভাবে এয়ারবাসের কাছ থেকে এ‑৩৫০ মডেলের দুটি উড়োজাহাজ কিনতে আগ্রহের কথা জানায় বিমান। আর বোয়িংও প্রস্তাব দেয় অন্তত ২টি ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিক্রির।

এদিকে বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনার বিষয়ে কিছুই জানেন না তারা। সংস্থাটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বোয়িংয়ের ২৫ উড়োজাহাজের বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। টেকনো ফিন্যান্সিয়াল কমিটিও জানে না। এটা হয়তো সরকারের সিদ্ধান্ত।’

হুট করে ২৫টি বোয়িং কেনার সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এ টি এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক একটি সিদ্ধান্ত। আমেরিকার বাড়তি ট্যারিফ মোকাবিলা করার জন্য সরকার হয়তো এ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে।’

এ টি এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তবে এটাও সত্যি যে, বিমানের নতুন উড়োজাহাজ প্রয়োজন। বিষয়টি এমন নয় যে, আজ অর্ডার করলে কাল উড়োজাহাজ চলে আসবে। কিন্তু এর পরিকল্পনাটা বিমানের তরফে হলেই ভালো হতো। কারণ তারাই বলতে পারবে তাদের কী ধরনের উড়োজাহাজ লাগবে, তাদের রুট প্ল্যানিংটা কী হবে।’

এ টি এম নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, একটা এয়ারলাইনসের ফ্লিটে বোয়িং এবং এয়ারবাস দুটোই থাকা উচিত। আর সম্প্রতি বোয়িং ৭৮৭‑এর মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বোয়িংয়ের প্রোডাকশন কমে গেছে। তারা কিছুটা ব্যাকফুটে আছে। এটাও বিবেচনা করা উচিত।’

বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স এবং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের উৎপাদন প্রক্রিয়া নিয়ে অনেক দিন ধরেই কাঠগড়ায় বোয়িং। গত ১২ জুন আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ১৭১ বিধ্বস্তে ২৬০ জন নিহতের পর বোয়িং নিয়ে শুরু হয় নানা জল্পনা। অবশ্য এটিই ছিল ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের প্রথম প্রাণঘাতি কোনো দুর্ঘটনা। বিভিন্ন সময়ে হুইসেল ব্লোয়াররা বোয়িংয়ের উৎপাদন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

এ টি এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের (মার্কেট) শেয়ারে বিদেশি এয়ারলাইনসের আধিপত্য বেশি। বাংলাদেশি এয়ারলাইনসগুলো মাত্র ২৫ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে। এটা বাড়াতে হলে বিমানকে বহর বাড়াতে হবে। তবে সেটা হতে হবে পরিকল্পনামাফিক। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করলে এটা সফল হবে না।’

বিমানের এর মধ্যে ৭৭৭ ও ড্রিমলাইনারগুলো টানা ১৬ ঘণ্টারও বেশি সময় উড়তে সক্ষম। এ ধরনের উড়োজাহাজ লং হউল হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে ৭৩৭ উড়োজাহাজগুলো মধ্যম ও স্বল্প দূরত্বের গন্তব্যে ব্যবহার করা হয়।

দীর্ঘ পাল্লার উড়োজাহাজ বহরে থাকার পরেও বিমানের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের অভিযোগ, তারা এর সক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার করতে পারছে না। সাম্প্রতিক সময়ে কানাডার টরন্টো, ইতালির রোম এবং জাপানের নারিতায় ফ্লাইট শুরু করে সংস্থাটি। এর মধ্যে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই নারিতা রুটটি স্থগিত করা হয়। বিমানের দাবি, রুটটি পরিচালনা করতে গিয়ে মাসে তাদের অন্তত ২০ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। অবশ্য টরন্টো এবং রোম ফ্লাইট নিয়ে এমন কোনো অভিযোগ নেই।