বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
Sex Cams
সর্বশেষ সংবাদ
দ্বিতীয় মুসলিম কমিউনিটি সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড আগামী ৯ই জুলাই লন্ডনে  » «   বিশ্বনাথে ব্যারিস্টার নাজির আহমদ ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে শিশুদের ফ্রি খৎনা প্রদান  » «   রাস্তা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের পক্ষে হাইকোর্টের রায়  » «   দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজ আর নেই  » «   লন্ডন মুসলিম সেন্টারে দুই শতাধিক মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো ‘ফেইথ ইন এনভারনমেন্ট’ সামিট  » «   রোবটিক্স বিজ্ঞানী ড. হাসান শহীদের নেতৃত্বে কুইন মেরি ইউনভার্সিটি অব লন্ডনে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম মাল্টিরোটর সোলার ড্রোন উদ্ভাবন  » «   লন্ডন এন্টারপ্রাইজ একাডেমির অফস্টেড রিপোর্টে ‘গুড’ গ্রেড অর্জন  » «   টাওয়ার হ্যামলেটস এডুকেশন অ্যাওয়ার্ডস : ১৮৫ জন শিক্ষার্থীকে সম্মাননা  » «   ব্যারিস্টার নাজির আহমদের “ইন্সপায়ার এ মিলিয়ন”নামে চ্যারিটি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা  » «   সম্মিলিত সাহিত্য ও  সাংস্কৃতিক পরিষদের ২০২৫-২৬ পরিচালনা পর্ষদ গঠন  » «   গ্রেটার ফতেহপুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের সাধারণ সভা ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত  » «   আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের মিল আর গুজব রাজনীতি  » «   পাচারকৃত টাকা বাংলাদেশে ফেরত আনার ব্যাপারে যুক্তরাজ্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন ডা. শফিকুর রহমান  » «   প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাব ফ্রান্সের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন  » «   শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

টানা ক্ষমতায় থাকলে যা যা হয়



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। এ বছরের শেষ সপ্তাহেই হয়তো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনই হচ্ছে ক্ষমতার পালা বদলের একমাত্র বৈধ উপায়। কিন্তু স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে যতগুলো বড় বড় রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে তার অধিকাংশই ক্ষমতার পালা বদল তথা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। নির্বাচন আসলেই চারদিকে ষড়যন্ত্রের বাতাস বইতে থাকে। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় ক্ষমতার রাজনীতি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এই দুই মেরুতে বিভক্ত। এটা কেউ মানলেও সত্য না মানলেও সত্য।

আমরা অতীতে দেখেছি এই দুই মহাশক্তির বাইরে একটি তৃতীয় শক্তি গড়ে তোলার জন্য এহেন চেষ্টা নাই যেটা সেনা সমর্থিত বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অন্যতম কুশীলব মঈন উদ্দিন-ফখরুদ্দিন করে নাই। আবার এখন দেখছি নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তফ্রন্টের ব্যানারে জাতীয় ঐক্যের নামে একটি তৃতীয় শক্তি গড়ে তোলার জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন ড. কামাল এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরী। যদিও জাতীয় ঐক্যে যুক্তফ্রন্টের সাথে বিএনপি আসবে এমন খবর মিডিয়াতে আগেই চাউর হয়েছিল। এবং সেই খবরের সত্যতা স্বরুপ সেদিন দেখলাম মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার মঞ্চে বিএনপি নেতাদের ছড়াছড়ি। স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি এই জাতীয় ঐক্যকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মূলত ড. কামাল এবং বি চৌধুরী। এরই মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে দুই নেতার বিরোধ মিডিয়াতে আসতে শুরু হয়েছে। এদিকে আবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এই ঐক্যকে জগাখিচুরি ঐক্য বলে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেছিলাম বিএনপির দেউলিয়াত্ব এখনও এমন জায়গায় পৌছায়নি যে, তাদের ছায়াতল থেকে বেরিয়ে যাওয়া কোন নেতার অধীনে তারা সহযোগীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। কারণ তাদের নেতৃত্বে বিশ দলীয় জোট নামে একটি শক্তিশালী জোট রয়েছে। তবে হ্যাঁ, এটা টিক যে দেশের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে, ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে শক্তিশালী বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির বিকল্প নেই। ক্ষমতার অংশীদারীত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য যুক্তফ্রন্টের সাথে বিএনপির রাজনৈতিক ঐক্য হতেই পারে কিন্তু ষ্টিয়ারিং যদি থাকে যুক্তফ্রন্ট নেতাদের হাতে সেক্ষেত্রে বিএনপির এই ঐক্য প্রক্রিয়ায় যাওয়াটা কতটা সম্মানজনক হবে কিংবা শেষ পর্যন্ত লাভই বা কতটা হবে। এই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। যুক্তফ্রন্টে যে দলগুলো রয়েছে তাদের কারও বাংলাদেশ সৃষ্টির পরে আজ পর্যন্ত যে দশটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এর কোনটিতে পাঁচটি আসন পাওয়ার কোন ইতিহাস নেই। এর মধ্যে আবার সম্প্রতি গঠিত মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন পায়নি। কাজেই এই জোট নিয়ে যতই আলোচনা হোক ভোটের মাঠে বিএনপি ছাড়া বাকিরা তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারবে বলে মনে হয় না। এটা সত্য বিএনপির বর্তমান যে অবস্থা দলের চেয়ারপার্সন বেগম জিয়া কারাগারে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে, দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে রয়েছে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য অর্ন্তদ্বন্ধ এমন বাস্তবতায় যেকোন উপায়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানোই এখন বিএনপির সবচেয়ে বড় কাজ। বোধকরি এমন চিন্তা থেকেই নতুন জোট তথা প্ল্যাটফর্মে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে চাইছে বিএনপি। এদিকে আবার বিশদলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে যুক্তফ্রন্টের শর্ত মোতাবেক বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্যে যাবে কি যাবে না সেটাও এখন দেখার বিষয়।

জামায়াতের রাজনীতি একরকম নিষিদ্ধ হলেও তাদের নিজস্ব যে ভোট ব্যাংক রয়েছে তা নির্বাচনের মাঠে প্রভাব ফেলতে পারে। এইসব নানা সমীকরণে দুলছে বিএনপি। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার জন্য তাদের ১৪দলীয় জোট সেই সাথে জাতীয় পার্টিসহ মহাজোটকে নিয়ে সামনে এগোতে চায়। আর ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রীর যে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা সেটিকে কাজে লাগিয়ে আগামী নির্বাচনে জয়লাভের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসতে মুখিয়ে আছে আওয়ামী লীগ। নব্বইয়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরশাসক হিসেবে খ্যাত এরশাদ সরকারের পতন ঘটানো হয়। এবং এর মধ্যদিয়েই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের যে নতুন যাত্রা শুরু হয়েছিল যা গণতন্ত্রপ্রেমী, দেশপ্রেমিক মানুষের মধ্যে আশা জাগিয়েছিল,এ কথা বলার অপেক্ষা রাখেনা। ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জয় লাভের মধ্য দিয়ে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের নতুন যাত্রা শুরু হয়েছিল। তারপর থেকে ১৯৯৬ এর ১৫ই ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনকে বাদ দিলে একবার বিএনপি একবার আওয়ামী লীগ এভাবেই চলে আসছিল।

ব্যাতিক্রম হলো বিএনপিসহ বেশ কিছু রাজনৈতিকদলের অংশগ্রহন ছাড়া সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এবং সেই নির্বাচনে জয় লাভের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার টানা দুইবার পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় আসীন। এছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাসে কোন দলই টানা দুই মেয়াদ তথা দশ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারেনি।

এর আগে স্বৈরশাসক এরশাদ যেভাবেই হোক টানা নয় বছর ক্ষমতায় ছিল। কোন দল একটানা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুই ধরনের বিষয়ই পরিলক্ষিত হয়। ইতিবাচক দিক হচেছ সরকারের যেসব দীর্ঘ মেয়াদী মেগা প্রকল্প থাকে যেগুলো হয়তো এক মেয়াদে শেষ করা যায় না সেসব প্রকল্প টানা ক্ষমতায় থাকার ফলে সহজেই বাস্তবায়ন করা যায়। প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনৈতিক সংস্কৃতির এই দেশে সরকার বদল হলে এক সরকারের কাজ আরেক সরকার এসে বাস্তবায়ন করতে অনীহা প্রকাশ করে। ফলে আগের সরকারের রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ আর শেষ হয় না। আবার এমনও হয় যে, কোন সরকার একটি মেগা প্রকল্পের নাম হয়তো কোন ব্যক্তির নামে নামকরণ করে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে কাজ শুরু করলো এবং তাদের মেয়াদান্তে আশি শতাংশ কাজ শেষ করলো পরের সরকার এসে বাকি বিশ শতাংশ কাজ শেষ করেছে ঠিকই কিন্তু নাম পরিবর্তন করে অন্য আরেকজন ব্যক্তির নামে নামকরণ করে তা উদ্বোধন করলো।

বর্তমান সরকার অনেকগুলো বড় বড় মেগা প্রকল্প বা কাজ হাতে নিয়েছে তার মধ্যে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদি। শুধু তাই নয় এসডিজি বাস্তবায়ন, উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি বাস্তবায়নে ২০২৪ সালের মধ্যে যেসব ইন্ডিকেটর গুলো ধরে রাখতে হবে সেগুলো ধরে রাখার কিংবা বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জসহ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ভিশন-২০২১, রুপকল্প-২০৪১ এর মতো কিছু রাষ্ট্রীয় টার্গেট নির্ধারণ করেছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশকে তারা কোথায় দেখতে চায় কিংবা ২০৪১ সালে কেমন বাংলাদেশ হবে সেরকম কিছু পরিকল্পনা বর্তমান সরকার নিয়েছে। যেমনটা এর আগে আর কোন সরকারকে নিতে দেখিনি। সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলেই কেবল এ ধরণের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব। তা নাহলে নতুন সরকার এসে তাদের মতো আবার অন্য কোন পরিকল্পনার দিকে এগোবে। তবে এটাও সত্য যে খুব বেশীদিন একটানা ক্ষমতায় থাকলে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার বিষয়টি যৌক্তিকভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

শুধু তাই নয় অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় লম্বা সময় ক্ষমতায় থাকার কারণে একটি গণতান্ত্রিক সরকারও স্বৈরাচারী হয়ে উঠে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনেকরি একটি গণতান্ত্রিক দেশে টানা সর্বোচ্চ তিন মেয়াদ পর্যন্ত ক্ষমতায় সম্মানের সাথে থাকা যেতে পারে। এর বেশী আর যা-ই হোক সুনামের সাথে ক্ষমতায় থাকার সুযোগ আছে বলে আমি মনে করছিনা। দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকলে ক্ষমতাসীন দলের তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে অহংবোধ চলে আসে। শুধু তাই নয় নেতাকর্মীরা হরহামেশায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং এক ধরনের স্বৈরাচারী মনোভাব পরিলক্ষিত হয়। এক টানা দীর্ঘ নয় বছর ক্ষমতায় থাকা এরশাদ সাহেব কিন্তু সারাদেশে বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নসহ বেশ কিছু কাজ করে গেছেন যা তখন প্রশংসিত হয়েছিল এবং বর্তমানে তা কাজেও আসছে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার কারণে পরমতের প্রতি এক ধরণের অসহিষ্ণুতার পাশাপাশি স্বেচ্ছাচারী মনোভাব প্রবল হয়ে উঠেছিল এবং ক্ষমতার প্রতি এক ধরণের লোভ কাজ করাতে শেষ পর্যন্ত স্বৈরাচার এরশাদ হিসেবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল। এটা সত্যি যে খুব ভাল জিনিসও খুব বেশীদিন ভাল লাগেনা। বর্তমান সরকার টানা দুই মেয়াদ ক্ষমতায় থাকা কালে দলীয় নেতাকর্মীদের বিশেষ করে ছাত্রলীগের কিছু কর্মকান্ড বাদ দিলে দেশের দৃশ্যমান অগ্রগতি বিগত দশ বছরে সাধিত হয়েছে। এতে কোন সন্দেহ নেই। রাজনৈতিক ভাবে দ্বিধাবিভক্ত এই দেশে সকল মত-পথের মানুষকে একত্রিত করে সামনে এগিয়ে যাওয়াটা এতো সহজ কাজ নয়। তারপরও বর্তমান সরকার বিগত দশ বছরে বিশ্ব পরিমন্ডলে দেশকে যে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে তা সম্ভব হয়েছে কেবল টানা দুই মেয়াদ ক্ষমতায় থাকার ফলে। একই সরকার টানা ক্ষমতায় থাকার নেতিবাচক দিক যেমন আছে সেই সাথে এর সুফলও কিন্তু কম নয়। এখন দেখার বিষয় মানুষ কি দেশের যে চলমান অগ্রযাত্রা যা দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে সেই ধারা অব্যাহত রাখতে টানা তৃতীয়বারের মতো বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় আনবে নাকি ক্ষমতার পালা বদল হবে ?

গাজী মহিবুর রহমান : কলাম লেখক


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

"এই বিভাগে প্রকাশিত মতামত ও লেখার দায় লেখকের একান্তই নিজস্ব " -সম্পাদক