সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সম্প্রতি প্রকাশিত বই এর উপর মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিচারপতি সিনহার প্রকাশিত বইটি নিয়ে দেশে-বিদেশে বিপুল আলোচনা-সমালোচনা উঠলে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে এক সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে মন্তব্য করেন।
সাবেক প্রধান বিচারপতির সম্প্রতি প্রকাশিত বইয়ের পেছনে কারা রয়েছেন, তা জানেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সে তথ্য তিনি না জানিয়ে সাংবাদিকদেরই খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন। বাসসের খবরে তা বলা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এসময় তিনি বলেন, কিছু আইনজীবী, কিছু সাংবাদিকও থাকতে পারেন। তারা কারা, আমি এ ব্যাপারে জানি। কিন্তু আমি আপনাদের বলব না। বরং আমি আপনাদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে জানতে চাই। আমি চাই, এই বই প্রকাশের পেছনে কারা রয়েছেন, তা আপনারা খুঁজে বের করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার লেখা ‘আ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল’, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’ শীর্ষক বই প্রকাশ হয়েছে সম্প্রতি। ওই বইয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি তার পদত্যাগের বিভিন্ন কারণ তুলে ধরেছেন। বইটির কপিরাইট ললিতমোহন-ধনাবাতি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের নামে। আজ যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে এই বইয়ের প্রকাশনা উৎসবের কথাও রয়েছে।
ওই বইয়ের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, এই বইয়ের পাণ্ডুলিপি কতবার বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে আনা হয়, তা সাংবাদিকদের খুঁজে বের করতে হবে। এই বই প্রকাশনায় কারা অর্থ দিয়েছে এবং আপনাদের মতো কোনো সংবাদপত্রের সাংবাদিক এর সঙ্গে জড়িত কিনা এবং কী পরিমাণ অর্থ দিয়েছে, তা অনুগ্রহ করে উন্মোচন করুন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কোনো বড় আইনজীবী এই বইয়ের পাণ্ডুলিপি সংশোধন করে দিয়েছেন কিনা অথবা কোনো সংবাদপত্র বা এর মালিক এর পৃষ্ঠপোষক কিনা, তা আপনারা খুঁজে বের করুন।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ-বিন-মোমেন সংবাদ সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য রাখেন। সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
যুক্তরাষ্ট্রে এস কে সিনহার ভাইয়ের নামে একটি বাড়ি কেনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে বাড়ি কেনা কঠিন কিছু নয়। অনেক বেশি দামের কারণে বাংলাদেশে কেনা কঠিন। কিন্তু টাকা জমা দিলে যুক্তরাষ্ট্রে যেকোনো ব্যক্তি বাড়ি কিনতে পারেন।
নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনের সময় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি সরকার গঠন করা হতে পারে।