শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
Sex Cams
সর্বশেষ সংবাদ
টাওয়ার হ্যামলেটসের বো এলাকায় নতুন কাউন্সিল ভবনের উদ্বোধন করেছেন নির্বাহী মেয়র লুৎফুর  » «   বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকের প্রাণহানি এবং সৃষ্ট অস্থিরতা-সহিংসতায় লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের ক্ষোভ-নিন্দা  » «   সৃজনের আলোয় মুস্তাফিজ শফি, লন্ডনে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা  » «   বৃটেনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তাহমিনার অসাধারণ সাফল্য  » «   দুই বঙ্গকন্যা ব্রিটিশ মন্ত্রীসভায় স্থান পাওয়ায় বঙ্গবন্ধু লেখক এবং সাংবাদিক ফোরামের আনন্দ সভা ও মিষ্টি বিতরণ  » «   কেয়ার হোমের লাইসেন্স বাতিলের বিরুদ্ধে আইনী লড়াইয়ে ল’ম্যাটিক সলিসিটর্সের সাফল্য  » «   যুক্তরাজ্যে আবারও চার ব্রিটিশ-বাংলাদেশী  পার্লামেন্টে  » «   আমি লুলা গাঙ্গ : আমার আর্তনাদ কেউ  কী শুনবেন?  » «   বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে লন্ডনে ইউনিভার্সেল ভয়েস ফর হিউম্যান রাইটসের সেমিনার অনুষ্ঠিত  » «   লন্ডনে বাংলা কবিতা উৎসব ৭ জুলাই  » «   হ্যাকনি সাউথ ও শর্ডিচ আসনে এমপি প্রার্থী শাহেদ হোসাইন  » «   ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকে’র সাথে ঢাবি ভিসি প্রফেসর ড. এএসএম মাকসুদ কামালের মতবিনিময়  » «   মানুষের মৃত্যূ -পূর্ববর্তী শেষ দিনগুলোর প্রস্তুতি যেমন হওয়া উচিত  » «   ব্যারিস্টার সায়েফ উদ্দিন খালেদ টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নতুন স্পীকার নির্বাচিত  » «   কানাডায় সিলেটের  কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলমকে সংবর্ধনা ও আশার আলো  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

মাইল এন্ড পার্কে ট্রিস ফর সিটিস এর কমিউনিটি বৃক্ষরোপণ
প্রথম বারের মতো বৃটেনের বাংলাদেশী সেচ্ছাসেবী  সংগঠনের অংশগ্রহণ



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ট্রিস ফর সিটিস (Trees for Cities) ব্রিটেনে গত ৩০ বছরেরও অধিক সময় থেকে পরিবেশ দূষনের বিরুদ্ধে গাছ লাগিয়ে  পরিবেশ বান্ধব অনুকরণীয় কাজ করছে। আন্তর্জাতিক খ্যাতি পাওয়া এই চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৩ সাল থেকে বিশ্বের ৩৪টি দেশে ১৬৮টি শহরে কাজ করছে।এখন তারা পর্যন্ত প্রায় দুই মিলিয়ন গাছ লাগিয়েছে। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল ২০২৩ সালে দ্বিতীয়বারে মতো বৃক্ষরোপনের জন্য ‘Trees Cities of the World’ পুরস্কার লাভ করে।

কমিউনিটি বৃক্ষরোপণ শিরোনামে ২ মার্চ শনিবার পূর্ব লন্ডনের মাইল এন্ড পার্কে ট্রিস ফর সিটিস শতাধিক সেচ্ছাসেবীদের অংশগ্রহণে একশত গাছ রোপন করা হয়েছে। বৃষ্টিস্নাত দিন হলেও কমিউনিটি কর্মী, শিশু সহ পরিবার ও বিভিন্ন পেশার মানুষদের অংশগ্রহনে এদিন পার্কে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।

বৃক্ষরোপনে উপস্থিত ছিলেন  ট্রিস ফর সিটিসি এর এক্সিকিউটিভ কেইট চালড্রন, স্কুল ডেভোলাপমেন্ট কো-অর্ডিনেটার মেরী সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।

ট্রিস ফর সিটিসি এর এক্সিকিউটিভ কেইট চালড্রন ৫২বাংলাকে  বলেন, টাওয়ার হ্যামলেটস বারা বাসীর জন্য সবুজের সমারোহ খুবই প্রয়োজন। এই বারার জনসংখ্যার তুলনায় গাছের সংখ্যা খুব কম।  বায়ু দূষণও তুলনামুলক বেশী। বৃক্ষ  ক্লাইমেট চেঞ্জ রোধ সহ কার্বণ নি:সরণ ও  ধুলো- বালির বৈজ্য রোদে অত্যন্ত কার্যকর।এবং নির্মল পরিবেশ ও সামাজিকভাবে আনন্দময় পরিবেশ সৃষ্টিতেও অনন্য ভূমিকা রাখে।

তিনি ইভেন্টে অংশগ্রহনকারী সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি সবুজ নির্মল দুষণমুক্ত আগামী রেখে যেতে পারি। ট্রিস ফর সিটিস (Trees for Cities)সে লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে।

ট্রিস ফর সিটিস  এর স্কুল ডেভোলাপমেন্ট কো-অর্ডিনেটর মেরী বলেন, আমরা প্রতি বছর ৩০টি নতুন স্কুলে পরিবেশ বান্ধব বিভিন্ন প্রজেক্ট করে থাকি। এবছর আমরা টাওয়ার হ্যামলেটস বারার তিনটি স্কুলে প্রজেক্ট করছি। যা থেকে শিক্ষার্থীরা সরাসরি  অভিজ্ঞতা লাভ করে- কীভাবে গাছ লাগাতে হয়, গাছের পরিচর্চা করতে হয়। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের গাছ লাগালোর মাধ্যমে পরিবেশ ও কমিউনিটির সেবায় অংশ গ্রহনে অনুপ্রাণিত করা হয় ।

মেরী বলেন, টাওয়ার হ্যামলেটস বারায় আগামীতে আরও বেশী স্কুলে এটি চালুর চিন্তা আছে। যাতে করে সবুজায়ন ও পরিবেশ সুরক্ষায় নতুন প্রজন্ম আরও বেশী সচেতন হয়ে কমিউনিটির সেবা করতে পারে।

মাইল এন্ড পার্কে ট্রিস ফর সিটিস  এর ইভেন্টে বাংলাদেশী কমিউনিটির মানুষের অংশগ্রহণ ছিল হাতে গোনা।

ক্লাইমেট চেঞ্জ  নিয়ে বিশেষ করে বাংলাদেশে কাজ করা সবুজে হাসি সবুজে বাচিঁ( Smile In Green Live In Green     ) এর প্রধান নির্বাহি ও ট্রিস ফর সিটিজ এর স্বেচ্ছাসেবী  সাংবাদিক আনোয়ারুল ইসলাম অভি বলেন,টাওয়ার হ্যামলেটস বারায় বায়ু দুষণের হার অনেক বেশী। গত বছর কাউন্সিলের সহযোগিতায় বারায় ট্রিস ফর সিটিস  ২৪৪০টি গাছ রোপন করেছে। এবং ২০২১ সাল থেকে এই বারায় মোট রোপনকৃত গাছের সংখ্যা ৫৫০০টি।

নতুন প্রজন্মদের বৃক্ষ রোপনে পরিবারের পক্ষ থেকে উদ্ধুধ্ব করে এই ধরণের ইভেন্টে অংশ গ্রহনের অনুরোধ করে সবুজে হাসি সবুজে বাচিঁ‘র নির্বাহি  বলেন,  বাঙালী অধ্যুষিত মাইল এন্ড পার্কের  ইভেন্টে  বাংলাদেশী কমিউনিটির অংশগ্রহন খুবই কম। এজন্য প্রয়োজন ব্যাপক জনসচেতনতা।

৫২বাংলা হেড অব কমিউনিট এফেয়ার্স  ছরওয়ার আহমদ বৃক্ষ রোপনের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন,দশ বছর বয়সি একটি বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে মাইল এন্ড পার্কের সাথে এখন থেকে একটি সামাজিক সম্পর্ক গড়ে উঠল বলে মনে করি। আজকে রোপিত বৃক্ষই আমাকে  এই সবুজ পরিবেশে আসতে বার বার আন্দোলিত করবে।

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী প্রবাসীদের প্রতিষ্ঠিত উপজেলা ভিত্তিক প্রথম সামাজিক  সংগঠন বিয়ানীবাজার জনকল্যাণ সমিতি ইউকের একটি টিম ইভেন্টে বৃক্ষ রোপন করে। সমিতির সভাপতি আনোয়ার আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সুবিন বলেন, সামাজিক কাজের দায়বোধ থেকে চ্যারেটি সংগঠন বিয়ানীবাজার জনকল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে আমরা এসেছি। প্রচন্ড ঠান্ডা ও বৃষ্টির মাঝে  এইকাজে আমাদের মনে ক্লান্তি  আসেনি বরং সবার সাথে আনন্দ উপভোগ করেছি।

‘এই বছর আমাদের দুজনের একসাথে পথ চলা। সবুজ ভালোবাসি।  ট্রিস ফর সিটিজ মাইল এন্ড পার্কে   দুজনের ভালোবাসার একটি চিহ্ন রাখার অনন্য সুযোগ করে দিয়েছে -এজন্য কর্তৃপক্ষ কে ধন্যবাদ- বলেছেন  প্রায় ৪ বছর ধরে টাওয়ার হ্যামলেটস বাবার বাসিন্দা- ক্যারলাইন ও জন দম্পতি।

‘আজকের  বৃক্ষরোপনে যোগ না দিলে এই আনন্দ সময় উপভোগ করা হতো না। আগামী বছর সংগঠনের আর বেশী সদস্যদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত সহ সন্তানদের নিয়ে আসবো- জানিয়েছেন জলঢুপ ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের  অন্যতম ফাউন্ডার উপদেষ্টা মো.নজরুল ইসলাম।

অনেক পরিবার শিশুদের নিয়ে যোগ দিয়েছেন, তারা  বলেছেন- বাচ্চারা এই পার্কে খেলাধুলা করে। এই পার্কের প্রতি তাদেরও সামাজিক দায়বোধ আছে- বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে আমরা সেটি করতে পেরে শান্তি বোধ করছি।

এছাড়াও বৃক্ষ রোপনে অংশ  নেয়া স্বেচ্ছাসেবীরা জানিয়েছেন, মূলত মনের তাগিদে তারা এখানে এসেছেন। তারা বলেছেন, লন্ডনের যান্ত্রিক জীবনে সবুজ বৃক্ষ দিতে পারে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অনেক উপকরণ।

স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ছিলেন- বারার বাসিন্দা, শিক্ষক, বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, পরিবেশ ও প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সংগঠক, কমিউনিটি কর্মী বৃন্দ। সকলেই এই কমিউনিটি বৃক্ষ রোপনে সম্পৃক্ত হতে পেরে তাদের তৃপ্তি ও মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন।

সকাল নয়টা থেকে তিনটা পর্যন্ত  Trees for Cities এর কর্মীদের তত্বাবধানে নিদৃষ্ট স্থানে  গাছ রোপন এবং স্থায়িভাবে সংরক্ষিত রাখতে বেড়া সহ প্রয়োজনীয় সকল কাজটি করেন- সেচ্ছাসেবীরা ।

গ্রীণ সিটি গড়তে কী করণীয় এবং কীভাবে প্রতিদিন নিজের অজান্তে আমরা সবুজের বিপক্ষে কাজ করছি  এসব বিষয়ে সেচ্ছাসেবকরা দর্শনার্থীদের উদ্বুদ্ধ করেছেন।

দুপুরের খাবার সহ পুরো  ইভেন্টটি ছিল সবুজ পরিবেশ বান্ধব। যা সকলের মন কড়েছে বলে জানিয়েছেন অংশ গ্রহনকারী ও অন্যান্যরা।

‘Urban Trees for All, By All’ শ্লোগানে  ব্রিটেনের লোকাল কমিউনিটি,স্কুল এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সমন্ধয়ে ট্রিস ফর সিটিস ব্রিটেন সহ বিশ্ব ব্যাপি অনুকরণীয় কাজের মাধ্যমে প্রশংশিত হচ্ছে।

 


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন