কয়েক দশকের কঠোর নিষেধাজ্ঞা ভেঙে প্রথমবারের মতো মদের দোকান চালু করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির রাজধানী রিয়াদে শিগগিরই মদের দোকান চালু হতে যাচ্ছে। তবে কেবল অমুসলিম কূটনীতিকরাই ওই দোকান থেকে মদ কেনার সুযোগ পাবেন।
নথিপত্রে বলা হয়েছে, এ দোকানের ভোক্তাদের মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্টার করতে হবে। এরপর পররাষ্ট্র সৌদির মন্ত্রণালয় থেকে তাদের ক্লিয়ারেন্স কোড দেওয়া হবে। তবে মাসিক কোটার বিষয়েও শ্রদ্ধাশীল হওয়ার বিষয়টি নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সৌদি আরবে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৫২ সালে মদপান কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।
যদিও দেশটিতে গোপনে মদপান সর্বদা বিদ্যমান ছিল। নতুন দোকানটি অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়ের প্রথম আইনি বিক্রিকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে এমন পদক্ষেপে দেশটির রক্ষণশীল মুসলমানকে ক্ষুব্ধ করবে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের অধীনে এটি আরেকটি মাইলস্টোন হতে চলেছে। ইসলামে মদ্যপান নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও দেশটি বাণিজ্যিক ও পর্যটনের কারণে এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে চলেছে। দেশটি ২০৩০ সালের মধ্যে তেলভিত্তিক অর্থনীতি নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সৌদি আরব।
দোকানটি রাজধানী রিয়াদের কূটনৈতিক কোয়ার্টারে খোলা হচ্ছে। অঞ্চলটিতে কেবল কূটনীতিক ও দূতাবাসের বাসিন্দাদের বসবাস। এছাড়া বিষয়টি কেবল অমুসলিমদের জন্য কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তবে দোকানটিতে অভিবাসী অমুসলিমদের মদ কেনার সুযোগ থাকবে কিনা সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। দেশটিতে থাকা লাখ লাখ প্রবাসীর বেশিরভাগ এশিয়া ও মিসর থেকে গিয়েছেন।
সৌদিতে মদ্যপানের বিরুদ্ধে কঠোর আইন রয়েছে। আইনানুযায়ী মদ্যপানের পর কেউ ধরা পড়লে তাকে কয়েকশ বেত্রাঘাত, এমনকি সৌদি থেকে বের করে দেওয়া বা কারাদণ্ডসহ আর্থিক জরিমানার বিধান রয়েছে।