ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার দ্বার উন্মোচনের অগ্রদূত ও প্রথম নারী শিক্ষার্থী লীলানাগের স্মৃতি রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। কমনওয়েলথ উপাচার্য সম্মেলনে যোগদান উপলক্ষে লন্ডন অবস্থান কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকে(ডিইউএইউকে)র নেতৃবৃন্দের সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি। পশ্চিম লন্ডনে অবস্থানরত হোটেলে অনুষ্ঠিত এ সাক্ষাৎকারে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌস সুলতান, ভাইস প্রেসিডেন্ট মেসবাহউদ্দিন ইকো এবং সদস্য ডঃ বিএম রাজ্জাক ।
জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একশত বৎসর পালন উপলক্ষে বিগত জুলাই-অক্টোবরে ডিইউএইউকে ‘দ্বৈত শতবার্ষিকী’ নামে এক দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে। ঐ অনুষ্ঠানমালার বিবরণ দিয়ে প্রেসিডেন্ট গৌস সুলতান উপাচার্য মহোদয়কে অবগত করেন যে উক্ত অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ীভাবে লীলানাগের স্মৃতি রক্ষা ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের উপর পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর নৃশংসতাকে গণহত্যা বা জেনোসাইড হিসেবে বিশ্বসমাজের স্বীকৃতি আদায়ে কাজ করার জন্য প্রস্তাব গৃহীত হয়। অ্যালামনাইর এসব কার্যক্রমের বিবরণ শুনে ডঃ আখতারুজ্জামান সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং লীলানাগ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগ গ্রহণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এ সময় গৌস সুলতান বিগত দ্বৈত শতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত ম্যাগাজিনের একটা কপি উপাচার্য মহোদয়কে উপহার দেন।
উপাচার্য সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনকে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তর সমাবর্তন হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং নেতৃবৃন্দকে তার কিছু বিবরণ দেন। তিনি বিগত ২০১৯ সালে লন্ডনে ঢাবি অ্যালামনাইর অনুষ্ঠান ও নৈশ ভোজে যোগদানের স্মৃতি স্মরণ করেন এবং ট্রাস্ট গঠন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের সহায়তায় এই সংগঠনের স্থায়ী আর্থিক সহায়তার কথাও স্মরণ করেন। এ সময় যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষকও উপস্থিত ছিলেন। প্রেসিডেন্ট গৌস সুলতান তাদের ডিইউএইউকে-র সদস্য হবার আমন্ত্রণ জানান।