শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ১৭ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
সর্বশেষ সংবাদ
ফুটবল : মেসির সেঞ্চুরী  » «   স্পেনে বাংলাদেশের ৫২তম স্বাধীনতা দিবস পালন  » «   সুনামগঞ্জ জেলা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইউকের স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  » «   মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের সমর্থন অব্যাহত রাখার আহ্বান    » «   বিয়ানীবাজারবাসীর কাছে দানবীর পবিত্র নাথ দাসের খোলা চিঠি : আপনাদের ঐতিহ্যকে বাঁচান  » «   প্রতীকি ‘মধ্যবিত্ত পরিবার’ হিসাবে  রমজানের পুরো মাসের খাবার উপহার  » «   রমজান : সামাজিক যোগাযোগে ইফতার, দানের ছবি এবং মেয়ের বাবার ইফতারী  » «   ট্রিস ফর সিটিস এর কমিউনিটি বৃক্ষরোপণ  » «   রামাদ্বানে ইস্ট লন্ডন মসজিদের নানা আলোকিত আয়োজন  » «   স্বাগত মাহে রমজান  » «   স্মার্ট ব্যাংকিং সেবা নিয়ে ইউরোপে আবারো চালু হচ্ছে নেক মানি ট্রান্সফার  » «   সেতারা চাল পছন্দ না হলে টাকা ফেরত  » «   টরন্টোতে বিসিএসসির ফ্লাওয়ার (কর্ক) উৎসব  » «   ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসব  » «   প্রবাসীদের যাপিত জীবন ও প্রবাসের সৌন্দর্য  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

মাসা আমিনির মৃত্যুতে ইরানের ‘নীতি পুলিশ’ এখন আলোচনায়



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ইরানের রাজধানী তেহরানে ‘নীতি পুলিশের’ হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির (২২) মৃত্যু দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। দেশটির শহরে শহরে বিক্ষোভ হচ্ছে। সপ্তাহখানেক ধরে চলা বিক্ষোভ-সহিংসতায় ৪০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। মাসার মৃত্যুর ঘটনায় দেশ-বিদেশে এখন আলোচনায় ইরানের ‘নীতি পুলিশ’।

‘যথাযথ নিয়ম’ মেনে হিজাব না পরার অভিযোগে মাসাকে তেহরানে আটক করেছিল ‘নীতি পুলিশ’। আটকের পর ‘নীতি পুলিশের’ হেফাজতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে তেহরানের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ সেপ্টেম্বর মাসার মৃত্যু হয়।

ইরানের বহুল আলোচিত এই ‘নীতি পুলিশ’ (মোরালিটি পুলিশ) কী, কী তার কাজ, সে সম্পর্কে এক প্রতিবেদনে বিস্তারিত জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ইরানের ‘নীতি পুলিশ’ মূলত ফারসি ‘গাতে-ই এরাদ’ বা ‘গাইডেনস প্যাট্রোল’ নামে পরিচিত। তাদের কাজ হলো, ইরানের কঠোর পোশাকবিধি অমান্যকারী ব্যক্তিদের আটক করে ব্যবস্থা নেওয়া।

‘নীতি পুলিশ’ ইরানের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংযুক্ত। ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের ঠিক করা ইসলামি নীতি-নৈতিকতা মানুষ মানছে কি না, তা তারা নিশ্চিত করে।

‘নীতি পুলিশের’ প্রতিটি ইউনিটে একটি করে ভ্যান আছে। এই ভ্যানগাড়িতে ‘নীতি পুলিশের’ নারী ও পুরুষ উভয় সদস্যরা থাকেন। তাঁরা ব্যস্ত জনপরিসরে টহল দেন। অপেক্ষা করেন। কেউ যথাযথ আচরণ না করলে, যথাযথ পোশাক না পরলে তাঁরা তাঁদের ধরেন।

যাঁরা ‘নীতি’ লঙ্ঘন করেন, তাঁদের সতর্ক করে নোটিশ দেয় নীতি পুলিশ। আবার কিছু ক্ষেত্রে নীতি লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিকে আটক করে থানা বা সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে গিয়ে তাঁদের কীভাবে পোশাক পরতে হবে, কী নৈতিক আচরণ করতে হবে, সে বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়। পরে পুরুষ অভিভাবকদের ডেকে তাঁদের জিম্মায় আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

‘নীতি পুলিশ’ কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিদের জরিমানা করে। তবে জরিমানার ক্ষেত্রে কোনো সাধারণ নিয়ম নেই।

ইরানের শরিয়া আইন অনুযায়ী, নারীদের মাথা ও চুল ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক। তাঁদের এমন লম্বা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে, যাতে শরীরের গঠন বোঝা না যায়।

ইরানে ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লব হয়। এই বিপ্লবের কয়েক দশক পরও দেশটির ধর্মীয় নেতারা পোশাকসংক্রান্ত নিয়মনীতি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারেননি।


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন