যুক্তরাজ্য থেকে রুয়ান্ডায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীদের নিয়ে যাওয়ার পথে প্রথম ফ্লাইটটি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আইনি জঠিলতার কারণে টেক অফের কয়েক মিনিট আগে বাতিল করা হয়েছে।
পূর্ব আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডাতে যুক্তরাজ্যে থেকে সাতজন রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীদের পাঠানো হবে বলে সব কিছু ঠিক ছিল। কিন্তু ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের দেরীতে হস্তক্ষেপে যুক্তরাজ্যের আদালতে নতুন চ্যালেঞ্জের কারণে ফ্লাইটটি বন্ধ করা হয়।
এইদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল বলেছেন যে তিনি “হতাশ” কিন্তু যোগ করেছেন “পরবর্তী ফ্লাইটের প্রস্তুতি এখন শুরু হচ্ছে”।
গত কাল মঙ্গলবার ১৩০ জন সাধারন যাত্রীদের সাথে সাত জন অ্যাসাইলাম সিকারদের রুয়ান্ডা পাঠানোর সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। এর আগে আশ্রয় প্রার্থীদের পক্ষে ক্যাম্পেইনারদের আপিল করা আবেদন আদালত বাতিল করে চুড়ান্ত রায় দেন। এর ফলে আশ্রয় প্রার্থীদের রুয়ান্ডা পাঠাতে সরকারের কোনো বাঁধা ছিলো না। এই দিকে চার্চ অব ইংলেন্ড বলেছে এধরনের আচারন অমানবিক এবং বৃটেনের জন্য লজ্জাজনক।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আদালতের রায়ের পক্ষ নিয়ে বলেছেন, অপরাধ দমন ও মানব পাচার রোধে অ্যাসাইলাম সিকারদের রুয়ান্ডা পাঠানো অব্যাহত থাকবে।
অনিচ্ছুক আশ্রয় প্রার্থীদের জোর করে রুয়ান্ডা পাঠানো হচ্ছে। এর মধ্যে অনেকে আশ্রয় প্রার্থী আত্মহত্যার কথা বলেছেন বলে প্রকাশ পেয়েছে।
আশ্রয় প্রার্থীদের রুয়ান্ডা পাঠানো নিয়ে দ্বিধা বিভক্ত সরকার দলের ভোটাররা পক্ষে বিপক্ষে মতামত দিয়েছেন, এদিকে প্রধান বিরোধী লেবার দলের ভোটাররাও মিশ্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ পাহারা দিয়ে আশ্রয় প্রার্থীদের এয়ারপোর্টে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের অর্ধ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় হবে এবং রুয়ান্ডা সরকারকে ১২০ মিলিয়ন পাউন্ড দিতে হবে। সরকার বলছে তারা যদি একজন অ্যাসাইলাম সিকারকে রুয়ান্ডা পাঠানোর ফ্লাইটে তুলে দিতে পারে তাহলে তাদের মিশন সফল হবে।