স্পেনের এক গ্রামের নাম বদলে রাখা হলো ‘ইউক্রেন’। কিছুদিন আগেও যে গ্রামের নাম ছিল, ফুয়েন্তস দ্য আন্দালুসিয়া।ইউক্রেনের নাগরিকদের প্রতি সংহতি জানিয়েই এমন অভিনব উদ্যোগ নেয় স্থানীয়রা।আর এ ঘটনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সামাজিকমাধ্যমসহ গণমাধ্যমগুলোতেও।
শান্তিপূর্ণ ছোট্ট একটি গ্রামটির বাসিন্দারা ইউক্রেনের শরণার্থীদের জন্য যা করেছেন, তা সত্যিই অভাবনীয়। তাঁরা ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গ্রামটির নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন ইউক্রেন। রুশ হামলার শিকার ইউক্রেন থেকে গ্রামটির দূরত্ব চার হাজার কিলোমিটারের বেশি। গ্রামটিতে ঢোকার প্রবেশমুখে ফুয়েন্তেস দ্য আন্দালুসিয়ার জায়গা নিয়ে ইউক্রেন নামটি। এর পাশেই আঁকা হয়েছে ইউক্রেনের নীল-হলুদ রঙের পতাকা। শুধু কি তাই, গ্রামের রাস্তাগুলোর নামকরণ করা হয়েছে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরের নামেই। এই যেমন কিয়েভ, ওদেসা, এবং মারিউপোলের নামও দেওয়া হয়েছে। স্পেনের আন্দালুসিয়া ও সেভিল প্রদেশের রাজধানী সেভিল শহরের পূর্বের এই শহরটিতে সাত হাজারের বেশি মানুষ বাস করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ফ্রান্সিসকো মার্তিনেজ বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হলো সংঘাত সম্পর্ক সচেতনা বাড়ানো এবং সেইসঙ্গে যেই দেশগুলোতে যুদ্ধ চলছে তা জানানো। ইউক্রেনের শরণার্থীদের জন্য এখানকার বাসিন্দারা মাত্র দুই দিনেই তিন হাজার পাঁচশ ইউরো তহবিল সংগ্রহ করেছে।
মার্টিনেজ বলেন, গ্রামবাসী নাম পরিবর্তন করার পাশাপাশি দুই দিনের মধ্যে সেখানে শরণার্থীশিবির খুলতে ৩ হাজার ৫০০ ইউরো তহবিল সংগ্রহ করেছেন। তাঁরা শরণার্থীশিবির বা কোনো পরিবারের সঙ্গে ২৫ জনের বেশি বাসিন্দাকে আশ্রয় দিতে চান।
রাফায়েল ওসুনা (৬৮) নামের আরেক গ্রামবাসী বলেন, ‘আমি কোনো ইউক্রেনীয় দম্পতিকে বাড়িতে জায়গা দিতে চাই। এ ধরনের কাজ করতে পেরে ফুয়েন্তেসের বাসিন্দারা গর্ব করেন। আমি বাড়িতে একা বাস করি। আমার বড় বাড়িতে কিছুদিনের জন্য ইউক্রেনীয় পরিবারকে আশ্রয় দিতে চাই।’
স্পেনের আন্দালুসিয়া ও সেভিল প্রদেশের রাজধানী সেভিল শহরের পূর্বের এই শহরটিতে সাত হাজারের বেশি মানুষ বাস করে।