স্পেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের অন্যতম আঞ্চলিক সংগঠন গাজীপুর এসোসিয়েশন ইন স্পেনের উদ্যোগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে দেশটির রাজধানী মাদ্রিদের স্থানীয় দেশ রেস্তোরাঁয় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মাদ্রিদে বসবাসরত গাজীপুর জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের প্রবাসী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনের সহ সভাপতি মামুন হোসাইনের তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর এসোসিয়েশন ইন স্পেনের নবনির্বাচিত সভাপতি সৈয়দ আমিনুল হক আলন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও গাজীপুর জেলা এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মোরশেদ আলম তাহের।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন করেন সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক ও প্রথম উপদেষ্ঠা কাজী দেলোয়ার হোসেন। এছাড়া গাজীপুর এসোসিয়েশন ইন স্পেনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য দেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মালেক মিয়া,সহ সভাপতি মজিবুর রহমান, মোঃ আল আমিন, মামুন হোসাইন,সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল জহির, ক্রীড়া সম্পাদক জাহিদ হাসান, হাসান মাহমুদ বাবু এবং উপদেষ্ঠা কাজী দেলোয়ার হোসেনের ছেলে কাজী দিহানসহ আরো অনেকে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোরশেদ আলম তাহের সবাইকে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রবাসে বেড়ে উঠা নবপ্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরার আহবান জানান। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরে এসেও আমরা পারিনি আমাদের স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য, উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে ৷ এখনো দেশে মানবাধিকার লংঘিত হচ্ছে ৷ মুক্তিযোদ্ধাকে বানানো হয় রাজাকার, আর রাজাকারকে বানানো হয় মুক্তিযোদ্ধা। যেদিন এই সব বিষয়ে বিজয় অর্জন করতে পারবো সেদিনই উল্লাস করে বলতে পারবো আমরা স্বাধীন আমরাই বিজয়ী।
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ আমিনুল হক আলন বলেন, অনেক রক্ত আর আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের এই স্বাধীনতা। জাতি পেয়েছে নিজ পতাকা, নিজ ভাষায় কথা বলার ও নিজ ইচ্ছায় বাঁচার অধিকার। তাই সকল মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা এবং বীর শহিদদের এই অবদান কখনো ভোলার মতো নয়। এদের ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়। কিন্তু তাদের রেখে যাওয়া সোনার বাংলা কে সুন্দর করা সম্ভব যদি আমরা সবাই নিজ-নিজ এলাকার উন্নয়নে একজোট হয়ে কাজ করি।
আলোচনা শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে নৈশভোজের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।