গত কয়েক দিন থেকে সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলার রাজাপুরের এনামুল এহসান জায়গীরদার ফয়ছল তুরস্ক থেকে গ্রিস যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।কিন্তু এখন পর্যন্ত ফয়ছলের লাশ পাওয়া যায় নি।এ নিয়ে শোক বিহবল আছে যেমন তাঁর পরিবার, ঠিক তেমনি উৎকন্ঠায় আছেন গ্রীসের প্রবাসী বাঙালিরাও।
এব্যাপারে গ্রীস দূতাবাসের কাউন্সিলর ড.ফারহানা নূর চৌধুরীর সাথে আলাপকালে তিনি বলেছেন, ‘দূতাবাসের প্রথম সচিব ও কাউন্সিলর সুজন দেবনাথ বিষয়টি আমাকে জানানোর সাথে সাথে দূতাবাসের পক্ষ থেকে গ্রীসের বর্ডার পোস্ট গার্ড ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতিটি বিভাগকে জানানো হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, গত ডিসেম্বরের পর থেকে এ পর্যন্ত গ্রিস বর্ডার এরিয়ায় কোন ধরনের রোড এক্সিডেন্ট হয় নাই।
মানবাধিকারকর্মী শফিক ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায় ফয়সালের সাথে থাকা নিকট আত্মীয় ফয়েজ বলেছেন তারা তুরস্ক বর্ডার অতিক্রম করে গ্রীস বর্ডারে প্রবেশ করলে বরফের মধ্যে এনামুল অজ্ঞান হয়ে যায়, এক পর্যায়ে তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে এবং খাবার চায়,পরে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।তারা দালালের চোখ ফাঁকি দিয়ে এনামুলের মৃতদেহের বেশ কয়েকটি ছবি তুলেন।
দালাল তাদেরকে ভয়-ভিতী দেখিয়ে লাশটি সেখানে রেখেই তাদেরকে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে আসে। এনামুলের সঙ্গে থাকা ফয়েজ নামের ব্যক্তি এথেন্স এসে পৌঁছেছেন। দুঃখের বিষয় মৃত এনামুলের ছবি পেলেও লাশ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গ্রীস বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে গ্রীস সরকারের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।এনামুলের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা তার লাশ ফেরত পেতে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
মৃত এনামুল স্থানীয় বোয়ালজুড় বাজারের সাবেক ব্যবসায়ী এবং আহমদ জায়গীরদারের দ্বিতীয় ছেলে।