আসলেও ক্রিকেট যেন অনুমানের অতীত এক অনিশ্চয়তার খেলা। অস্ট্রেলিয়ার মতো বিশ্বজয় করা টিমের সঙ্গে বাংলাদেশের গর্জে ওঠা যেমন চমকে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে, ঠিক তেমনি চমক দেখিয়েছে শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ডের বিপরীতে গত ২১ জুন লিডসে। অথচ ইংল্যন্ডের কাছে হেরে গেছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইণ্ডিজের বিপরীতে মাত্র ১০৫ রান করে সবকিছু হারিয়ে মাঠ থেকে বেরিয়েছে এক সময়ের বিশ্বকাপ জয়ী পাকিস্তান।
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে খেলার জন্য আমরা যেন প্রার্থনায় ছিলাম, কারণ আমাদের সামনে ছিল আশাবাদ। আমরা বধ করব শ্রীলঙ্কানদের। ব্রিটেনের হাজার হাজার বাংলাদেশি সমর্থক সেদিন বৃষ্টিতে ভিজে তবুও গ্যালারিতে গিয়েছে, বৃষ্টি উপেক্ষা করেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভিজেছে বৃষ্টির জলে। খেলা পরিত্যক্ত হওয়ায় খুশ মেজাজে থাকেনি টাইগার সমর্থকরা সেদিন, এক পয়েন্ট নিয়ে তৃপ্ত হয়নি তারা। কারণ তাদের সামনে ছিল শ্রীলঙ্কান বধের স্বপ্ন।
কিন্তু এই শ্রীলংকানদের সঙ্গে অভাবনীয় হার মেনে নিতে হয়েছে ইংল্যান্ডের। অথচ এই ইংল্যান্ড এবারের হট ফেবারেট হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে। বাংলাদেশ কোনো কারণে যদি এই বিশ্বকাপে দুঃখবোধে আক্রান্ত হয়, তখন ব্রিটেনবাসী বাংলাদেশি সংখ্যাগরিষ্ঠদের সমর্থন পাচ্ছে ইংল্যান্ডে। সে হিসেবে গত পরশুও আশাহত হয়েছে অধিকাংশ ব্রিটিশ বাংলাদেশি। একইভাবে ভারতের সঙ্গে আফগানদের যেভাবে বিবেচনা করা হয়েছে, সে বিবেচনায় থাকেনি আফগান দল। প্রতিরোধটা শক্তই ছিল। লড়েছে প্রাণপণ। সে হিসাব কষেই হয়ত আগামীর খেলা খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। এ ছাড়াও বাংলাদেশ খেলবে শক্তিশালী দুটো দল পাকিস্তান এবং ভারতের সঙ্গে। শক্তিশালী হলেও কিন্তু ব্রিটেনের বাংলাদেশ সমর্থকরা আশা হারায়নি। দলনেতা মাশরাফির মতই ব্রিটেনের টাইগার সমর্থকরাও আশাবাদী। এখনো স্বপ্ন দেখছে টাইগার সমর্থকরা, অন্তত সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে দেখার। আর সেজন্যই তাদেরও এই একটি কথাই, অনিশ্চয়তার এই খেলাটিতে হতাশ হতে নেই। ঠিক সেভাবেই আগামীকালের খেলায় আফগানদেরও দুর্বল ভেবে হেলায় দেখার কোনো সুযোগ নেই।