শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
সর্বশেষ সংবাদ
দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজ আর নেই  » «   লন্ডন মুসলিম সেন্টারে দুই শতাধিক মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো ‘ফেইথ ইন এনভারনমেন্ট’ সামিট  » «   রোবটিক্স বিজ্ঞানী ড. হাসান শহীদের নেতৃত্বে কুইন মেরি ইউনভার্সিটি অব লন্ডনে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম মাল্টিরোটর সোলার ড্রোন উদ্ভাবন  » «   লন্ডন এন্টারপ্রাইজ একাডেমির অফস্টেড রিপোর্টে ‘গুড’ গ্রেড অর্জন  » «   টাওয়ার হ্যামলেটস এডুকেশন অ্যাওয়ার্ডস : ১৮৫ জন শিক্ষার্থীকে সম্মাননা  » «   ব্যারিস্টার নাজির আহমদের “ইন্সপায়ার এ মিলিয়ন”নামে চ্যারিটি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা  » «   সম্মিলিত সাহিত্য ও  সাংস্কৃতিক পরিষদের ২০২৫-২৬ পরিচালনা পর্ষদ গঠন  » «   গ্রেটার ফতেহপুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের সাধারণ সভা ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত  » «   আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের মিল আর গুজব রাজনীতি  » «   পাচারকৃত টাকা বাংলাদেশে ফেরত আনার ব্যাপারে যুক্তরাজ্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন ডা. শফিকুর রহমান  » «   প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাব ফ্রান্সের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন  » «   শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা  » «   ব্রিটিশ-বাংলাদেশী হুজহু’র ১৫তম প্রকাশনা ও এওয়ার্ড অনুষ্ঠান ১২ নভেম্বর  » «   বিসিএর ১৭তম এওয়ার্ড : উদযাপিত হলো বাংলাদেশী কারি শিল্পের সাফল্য  » «   কবি ফয়জুল ইসলাম ফয়েজনূরের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ভালোবাসার আগ্রাসন’র মোড়ক উন্মোচন  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

ট্রেন্ট ব্রিজে ফের বাংলাদেশের স্বীকৃতি



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ট্রেন্ট ব্রিজে টাইগারের গর্জে উঠা দেখেছে লাখো-কোটি ক্রিকেটপ্রেমী। মেনে নিতে হয়, এটা একটা পরাজয় ছিল যদিও, কিন্তু সারা ট্রেন্ট ব্রিজ যেন গর্জে উঠেছিল বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময়। এমনিতেই গ্যালারিতে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময় বাঙালি দর্শক ছাড়া আর কাউকে খুব একটা দেখা যায়নি। সে সময় ৯৫ শতাংশই ছিল টাইগার সমর্থক। সৌম্য সরকারের বোলিং আর উইকেট ধরাশয়ীর মধ্য দিয়ে ক্রমেই প্রাণ ফিরে পাচ্ছিল টাইগাররা। পরবর্তীতে মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লা, তামিম ইকবালের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে গর্জন উঠে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো দুলতে থাকে ট্রেন্ট ব্রিজের গ্যালারি। সেই ঢেউয়ের ধ্বনি-প্রতিধ্বনিত হয়েছে গতকাল লিডসে শ্রীলংকা-ইংল্যান্ডের খেলায়ও। এমনকি হেডিংলি কার্নেগি স্টেডিয়ামে কমেন্টেটর আগের দিনের খেলার প্রসঙ্গ টেনে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশি দর্শকরা ট্রেন্ট ব্রিজ আলোকিত করে রাখছিল কাল।

২০ জুন বাংলা আর বাঙালি ঐতিহ্যের নানা বর্ণের কস্টিউমে সারাটি স্টেডিয়াম ছিল রঙিন। ছিল লাল সবুজের ছড়াছড়ি। বাঘের কস্টিউম পরা মানুষগুলো দেখে মনে হয়েছে গ্যালারিতে যেন বাঘ ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাংলাদেশের খেলার চিরাচরিত এ কস্টিউম জানিয়ে দেয়, খেলছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া খেলা চলাকালীন যেমন ট্রেন্ট ব্রিজ ছিল বাংলাদেশি দর্শকদের দখলে, ঠিক তেমনি সেদিন যেন অফিসিয়াল রিকগনিশনটা এলো বাংলাদেশি দর্শকদের কাছেই। মোহাম্মদ আজাদ নর্থ ওয়েস্ট ইংল্যান্ডের এক পরিচিত সাংস্কৃতিক কর্মী। বাংলাদেশ দলের সমর্থক হয়ে তিনিও ছিলেন ট্রেন্ট ব্রিজ স্টেডিয়ামে। তার বন্ধুদের সঙ্গে তিনি চিৎকার করছিলেন ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ শ্লােগানে, গাইছিলেন গান। তার পরনে ছিল বাঘের কস্টিউম। আপাদমস্তক বাঘের সাজে সাজা আজাদের উজ্জীবিত করা শ্লােগান আইসিসির ট্রেন্ট ব্রিজের কর্মকর্তাদের চোখ কাড়ে। তারা গ্যালারিতে গিয়ে তাকে আমন্ত্রণ জানান। তারপর তাকে তারা এ খেলার সেরা দর্শক হিসেবে ঘোষণা করেন।

গ্যালারির হাজার হাজার দর্শক করতালিতে তখন শুধু তাকে নয়, যেন বাংলাদেশকেই স্বাগত জানাল। পৃথিবীর লাখো-কোটি দর্শক এই মুহূর্তটি উপভোগ করে। সম্মানসূচক তাকে প্রদান করা হয় অফিসিয়াল মার্চেন্ডাইসের ৫০ পাউন্ডের ভাউচার। বিশ্বকাপ খেলা চলাকালীন এটা ছিল আইসিসির পক্ষ থেকে বাংলাদেশিদের জন্য এ রকম দ্বিতীয় স্বীকৃতি। শুধু বাংলা আর বাঙালির ঐতিহ্য প্রদর্শনের কারণেই গ্যালারিতে এ স্বীকৃতি আসে।


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন