বিলেতের শত ব্যস্ততার মাঝেও প্রিয় বিদ্যাপীঠের সাবেক শিক্ষার্থীরা ভুলে যাননি তাদের শিক্ষালয়, সহপাঠি এবং শিক্ষাগুরুদের। শ্রদ্ধা, ভালোবাসার মেল বন্ধনে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৮হাজার নটিকেল মাইল দূরত্বের লন্ডনে আয়োজন করেছেন বর্ণাঢ্য পুণর্মিলনী উৎসব।
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ঢাকাউত্তর মোহাম্মদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা মেতে ছিলেন আনন্দ উৎসবে।
১৪ এপ্রিল রবিবার স্কুল জীবনের ফেলে আসা অম্ল-মধুর স্মৃতি নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন পূর্ব লন্ডনের কমার্শিয়াল রোডের মালবারি গার্ল স্কুলে। সাথে ছিলেন অভিভাবক, শুভাকাঙ্ক্ষী ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে সম্মান জানানো হয়েছে ডিএম হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মুহিউল ইসলাম জায়গিরদার ও সাবেক সহকারী শিক্ষক আব্দুল আজিজ তকিকে।
সংগঠনের আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুর রহমান খাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিএম হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক বর্তমানে কানাডা প্রবাসী মুহিউল ইসলাম জায়গীরদার। দীর্ঘ ৪০ বছর শিক্ষকতা পেশায় থেকে নিজ অঞ্চলের শিক্ষাসেবা প্রদানকারী প্রবীন এই শিক্ষাবিদ, তাকে পূণর্মিলণী উৎসবে আমন্ত্রণ জানানোতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও গৌরববোধের কথা জানিয়েছেন-
প্রায় ৬ শতাধিক সাবেক শিক্ষার্থী, শিক্ষক,অভিভাবক এবং অতিথিদের অংশগ্রহনে পুনর্মিলনী সফল করতে সকলের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞা প্রকাশ করা হয়। বিদ্যালয়কে ভালোবেসে যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকা উত্তর মোহাম্মদপুর উচ্চ বিদ্যালয়কে সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন আয়োজকরা।
উৎসবকে সামনে রেখে প্রকাশ করা হয়েছে একটি উৎসব স্মারক।অনেকে যোগ দিয়েছেন সপরিবারে। ছিল বিদ্যালয়কে ঘিরে নিজ অঞ্চলের মানুষদের উপস্থিতিও। সবার মুখে ছিল হাসি । এবং আনন্দেই পার করেছেন পূণর্মিলনী উৎসবের পুরো সময়।
দুপুর ১২টায় জাতীয় সংগীত, পতাকা উত্তোলন ও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে উৎসব শুরু হয়। প্রধানবক্তা ছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটস বারার স্পীকার কাউন্সিলার আয়াস মিয়া ও বিশেষ অতিথি সাউথবারা টাউন কাউন্সিলের মেয়র কাউন্সিলার মোহাম্মদ জুলহাস উদ্দিন।
বক্তব্য রাখেন উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুর রহমান খাঁন ও মনজুরুস সামাদ চৌধুরী মামুন। কাউন্সিলার আহবাব হোসেন, কাউন্সিলার শাহ সোহেল আমিন, কাউন্সিলার আসমা ইসলাম, বিয়ানীবাজার ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতালের সিইও সাহাব উদ্দিন, সংগঠনের সদস্য সচিব নাহিন মাহমুদ, উপদেষ্টা আব্দুল আজিজ তকি, অর্থ সচিব হেলাল আহমদ ও রহিমা বেগম প্রমুখ।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা পরিচালনা করেন এরশাদ আলমগীর। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শেষ পর্বে রাফেল ড্র বিজয়ীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে পুরস্কার। নিজ অঞ্চল বিয়ানীবাজারের জলঢুপী কমলা ও আনারসসহ ঐতিহ্যিক নানা খাবারের প্যাভিলিয়ন সহ ছিল বাচ্চাদের খেলাধূলা আর পূণর্মিলনীতে যোগ দেয়া সাবেক শিক্ষার্থীদের আনন্দ আড্ডায় পার করার মতো সকল উপকরণ
যুক্তরাজ্য থেকে প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নে ভালো এবং সম্মিলিত উদ্যোগ নেবার প্রত্যয় নিয়ে মিলন উৎসবের সমাপ্তি ঘটে বিকাল পাচটায়।
কণ্ঠ: সুমু মির্জা