শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
সর্বশেষ সংবাদ
দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজ আর নেই  » «   লন্ডন মুসলিম সেন্টারে দুই শতাধিক মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো ‘ফেইথ ইন এনভারনমেন্ট’ সামিট  » «   রোবটিক্স বিজ্ঞানী ড. হাসান শহীদের নেতৃত্বে কুইন মেরি ইউনভার্সিটি অব লন্ডনে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম মাল্টিরোটর সোলার ড্রোন উদ্ভাবন  » «   লন্ডন এন্টারপ্রাইজ একাডেমির অফস্টেড রিপোর্টে ‘গুড’ গ্রেড অর্জন  » «   টাওয়ার হ্যামলেটস এডুকেশন অ্যাওয়ার্ডস : ১৮৫ জন শিক্ষার্থীকে সম্মাননা  » «   ব্যারিস্টার নাজির আহমদের “ইন্সপায়ার এ মিলিয়ন”নামে চ্যারিটি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা  » «   সম্মিলিত সাহিত্য ও  সাংস্কৃতিক পরিষদের ২০২৫-২৬ পরিচালনা পর্ষদ গঠন  » «   গ্রেটার ফতেহপুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের সাধারণ সভা ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত  » «   আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের মিল আর গুজব রাজনীতি  » «   পাচারকৃত টাকা বাংলাদেশে ফেরত আনার ব্যাপারে যুক্তরাজ্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন ডা. শফিকুর রহমান  » «   প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাব ফ্রান্সের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন  » «   শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা  » «   ব্রিটিশ-বাংলাদেশী হুজহু’র ১৫তম প্রকাশনা ও এওয়ার্ড অনুষ্ঠান ১২ নভেম্বর  » «   বিসিএর ১৭তম এওয়ার্ড : উদযাপিত হলো বাংলাদেশী কারি শিল্পের সাফল্য  » «   কবি ফয়জুল ইসলাম ফয়েজনূরের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ভালোবাসার আগ্রাসন’র মোড়ক উন্মোচন  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

নববর্ষের মতো বছরের প্রতিটা দিন হোক আনন্দের



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ছোট থাকতে একটা কথা শুনতাম সব সময়– বছরের প্রথম দিন যা যা করবো তাই নাকি সারা বছর করে যেতে পারবো। তাই তখন চেষ্টা করতাম বছরের প্রথম দিন অনেক ভালো ভাবে চলতে। বিশেষ করে কারো সাথে মিথ্যা কথা না বলা, মারামারি না করা, কাউকে মনে কষ্ট না দেয়া। যতটুকু সম্ভব ভালো খাবার দাবার খাওয়া (বছরের প্রথম দিন ভালো খেলে সারা বছর ভালো খাবো এই চিন্তায়), বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া ইত্যাদি। যতই বড় হতে লাগলাম ততই উপলব্দি করতে থাকলাম যে বছরের প্রথম দিন ভালো ভাবে চললেই সারা বছর ভালো ভাবে চলবো এই গ্যারান্টি নাই। বরং নিজেকে প্রতিটা দিন বছরের প্রথম দিন ভেবেই ভালভাবে চলার চেষ্টা করাটাই অনেক ভাল কাজ।

  • সরকারি হিসেবে বছরের প্রথম দিন ১৪ এপ্রিল হলেও আমরা হিন্দু ধর্মের লোকেরা ওই দিন চৈত্র সংক্রান্তি (পঞ্জিকার হিসেবে) পালন করে থাকি। সে হিসেবে ১৪ তারিখ নিরামিষ খেতে হয়। ছোট সময় আমরা ঘুরতে গিয়ে বাইরে কিছু খেতাম না । একটা কথা বড়রা বলতেন আমাদেরকে, চৈত্র সংক্রান্তির দিন মাছ মাংস খেলে নাকি সেগুলো কিড়ার সমান হয়!! বড় হয়ে অবশ্য বুঝতে পারলাম সেদিন মাছ মাংস না খাওয়ার জন্যই এইসব বলে ভয় দেখাতেন আমাদের কে ঠিক যেমন স্বরস্বতি পূজার আগে বরই খেলে পড়ালেখায় ভাল হবে না বলে ভয় দেখাতেন (বরই কাঁচা খেয়ে পেট খারাপ হতো, কাঁশি হতো তাই বাচ্চাদেরকে এই ভয় দেখানো হতো) এভাবেই।

যাই হোক আমরা প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তির মেলায় যেতাম কানিহাত নামের একটা গ্রামে যেটা আমাদের গ্রাম থেকে ২ কি.মি. এর মতো দূরে। সেখানে সাড়াদিন কত আনন্দ করতাম আর পাশেই ছিল আমাদের পিশির বাড়ি যখন পেটে খিদা লাগতো সাথে সাথে পিসির ঘরে গিয়েই খেয়ে নিতাম। চৈত্র সংক্রান্তির দিন পিসির বাড়িতে বলতে গেলে বরযাত্রীর মতো অবস্তা হতো সেই দিনে। আত্মীয় স্বজন সবাই মোটামুটি উনাদের ঘরে খেতাম তাই মেলার দিন পিশি রান্নাবান্না নিয়েই ব্যাস্ত থাকতেন। আমার মনে হয় না উনি কখনোই মেলা দেখেছেন!! রান্না নিয়েই উনার দিন শেষ হয়ে যায়। মেলায় কত ধরনের খেলনা কিনতাম, খাবার খেতাম।

বড় হয়ে যখন কলেজে গেলাম তখন ধরণটা পাল্টে গেল। ১৪ তারিখ ঘুরতে যেতাম তবে চৈত্র সংক্রান্তির মেলায় নয় নববর্ষের মেলায়। এমসি কলেজ, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়, এডভ্যাঞ্চার ওয়ার্ল্ড, ড্রীমল্যান্ড পার্ক সহ অনেকে যায়গাতেই ঘুরতে যেতাম। কত আনন্দ। তখন আর নিরামিষের ধার ধারতাম না। জাতীয়তা বোধ টাই আগে। তাই ধর্মীয় রীতিতে বাড়িতে নিরামিষ আর নিজের সংস্কৃতি মেনে বাইরে গেলেই ইলিশ, শুটকি, চটপটি আর ফুচকা খেয়ে পেটের বারটা বাজিয়ে দিতাম।

আমাদের জীবনের প্রতিটা দিন হোক আনন্দের ঠিক নববর্ষের মতো। সকল অশুভ শক্তির বিনাস হোক, মুছেযাক সকল কুসংস্কার, বাঙ্গালী জাতির ঐতিহ্য সংস্কৃতি চির অমর হয়ে থাকুক আমাদের সকল প্রজন্মের অন্তরে। আমরা যেন আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য সঠিক ভাবে তুলে ধরতে পারি সেই দিকেই বেশী নজর দেওয়া প্রয়োজন। পারিবারিক ভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের ইতিহাস তুলে ধরলেই কোন অশুভ শক্তি আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে ধংস করতে পারবেনা।


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন