মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস স্পেনের উদ্যোগে রাজধানী মাদ্রিদের একটি বিশ্ব বিদ্যালয়ে “বাংলাদেশ দিবস’’পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে অন্যন্য অগ্রযাত্রার পথে বাংলাদেশের দুর্দান্ত সাফল্যকে তুলে ধরতে মাদ্রিদের বিখ্যাত শিলার বিশ্ববিদ্যালয়ের হলরুমে গত মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল )এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।সেমিনারে বাংলাদেশের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বক্তব্য দেন স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার। রাষ্ট্রদূতের বক্তৃতায় বাংলাদেশের ইতিহাস,ঐতিহ্য,রাজনীতি, সমাজ,অর্থনীতি,পর্যটন, উন্নয়ন এবং স্পেনের সাথে দ্বিপাক্ষিক বিষয়াদী স্থান পায়।
এসময় রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রা বিশ্ববাসীর কাছে মিরাকল (আশ্চর্য)।
শিলার বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক হোসে বি পিন্টোর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহতদের স্মরণে ১মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তিনি তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি সুখী, সমৃদ্ধশালী, আধুনিক ও অসম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে বদ্ধপরিকর। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ ও বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করেন। বিশ্বে বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহৎ রপ্তানি বাজার হিসেবে ( যুক্তরাষ্ট্র ,জার্মানীএবং যুক্তরাজ্যের পরে )
স্পেনের গুরুত্বও তুলে ধরেন তিনি।তিনি চীন, জাপান ও ভারতের বাংলাদেশ এশিয়া মহাদেশের মধ্যে স্পেনের চতুর্থ বৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার বলে ছাত্রছাত্রীদের অবগত করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাসের দূতালয় প্রধান মিনিস্টার হারুণ আল রাশিদ, কমার্শিয়াল কাউন্সেলর মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, প্রথম সচিব (শ্রম) মো. শরিফুল ইসলামসহ বিদ্যালয়ের পরিচালক, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার শিলার বিশ্ব বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান। সেখানে তিনি বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, সমাজ ও বাংলাদেশিদের সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। মূলত বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের ধারণা দেওয়াই ছিল লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি খাবার দ্বারা আপ্যায়ন করার মাধ্যমে “বাংলাদেশ দিবসের” সমাপ্তি হয়।