সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে (১৮) পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় জেলহাজতে থাকা অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদদৌলাহর ৭দিন এবং প্রভাষক আবছার উদ্দিন ও পরীক্ষার্থী আরিফুল ইসলামের ৫দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরাফ উদ্দিন আহমেদের আদালত। বুধবার সকালে পুলিশের রিমান্ড আবেদনের উপর দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত এ আদেশ দেন। পুলিশের আদালত পরিদর্শক গোলাম জিলানী ৩জনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সকালে কড়া নিরাপত্তায় ওই ৩জনকে এজলাসে হাজির করা হয়। এর আগে ৯এপ্রিল অপর ৪ জনের ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন একই আদালত। তারা হলেন মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র আলাউদ্দিন, যুবলীগ কর্মী নুর হোসেন হোনা, কেফায়েত উল্লাহ জনি ও শহিদুল ইসলাম। অপরদিকে দায়িত্বে অবহেলা করায় ১০ এপ্রিল সকালে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. মোয়াজ্জেম হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান ফেনীর পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার। ওই মাদরাসা শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ওসি নিজেই শুরু থেকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় জড়িতদের নানান ভাবে সহযোগিতা করেছেন। তদন্তে যাদের নাম এসেছে তাদেরকেই প্রকাশ্যে থানার ভেতরে ঘুরতে দেখা গেছে। পুলিশ এখনো গভর্নিং বডির সদস্য ও এজাহার ভুক্ত আসামী মকসুদ আলম , মাদরাসা ছাত্র শাহাদাত হোসেন শামীম, নুর উদ্দিন , হাফেজ আবদুল কাদের, জোবায়ের আহমেদ, ও জাবেদ হোসেনকে আটক করতে পারেন নি। মডেল থানার ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন জানান, এজাহার নামীয় আসামী ও তদন্তে যাদের নাম এসেছে সবাইকে আটকের চেষ্টা চলছে । তারা পলাতক রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৭ মার্চ আলিম পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে শ্লীলনতাহানী করেন অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাহ। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করলে পুলিশ অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। গভর্নিং বডির ২ সদস্য ও মাদরাসার প্রাক্তন ছাত্ররা মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেয়। মামলা প্রত্যাহার না করায় গত ৬এপ্রিল পরীক্ষা কেন্দ্রের একটি ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে দাহ্য পদার্থ ঢেলে ওই ছাত্রীকে হত্যার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধিন। এ ঘটনায় ৮এপ্রিল ওই ছাত্রীর ভাই নোমান বাদি হয়ে অধ্যক্ষসহ ৮জনের নাম উল্লেখ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন।