মহান মুক্তিযুদ্ধে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের অগ্রণী ভূমিকা ইতিহাসে স্বীকৃত। প্রবাসীদের অবদানের বিয়য়টি যেমন উচ্চকণ্ঠ তেমনি শ্রদ্ধা ও স্বরণেও যুক্তরাজ্যবাসীদের অনন্য দৃষ্টান্ত অনুকরণীয়। যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা বাংলাদেশকে তুলে ধরার ধারাবাহিক সাফল্যের পালকে যুক্ত হয়েছে আরেকটি প্রসংশনীয় কাজ।
লন্ডনে বাংলাদেশের জন্ম পরবর্তি সময়েই প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সেন্টার ২০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করেছে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সাথে নিয়ে। সম্মাননা পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫ জন হলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। যাদের মধ্যে পাঁচজনকে মরনোত্তর সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। সম্মাননা পাওয়া বাকী পাঁচজন সরাসরি রণাঙ্গণে লড়াই করেছেন।
বর্ণাঢ্য আয়োজনে কমিনিউটির বিশিষ্টজন ও ছয় শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় মুক্তিযোদ্ধাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। সংবর্ধিতদের অনেকে আন্দশ্রুতে বাংলাদেশ সেন্টার আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাঁদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
পূর্ব লন্ডনের বিশাল রয়্যাল রিজেন্সি হলে বাংলাদেশ সেন্টারের এই বর্ণাঢ্য আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। পুরো অনুষ্ঠানে ছিল সৃজনশীলতার ছাপ। মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করে অনুষ্ঠানে মূলত যুক্তরাজ্যে ‘একখন্ড পজিটিজ বাংলাদেশ’কে উপস্থাপন করতে আয়োজকদের প্রচেষ্টাটি ছিল প্রসংসনীয়।
বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৪৮ তম বার্ষিকী সময়ে যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ সেন্টারও পা দিয়েছে ৪৮ বছরের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ে। দীর্ঘ যাত্রাপথে নানাবিদ সমস্যা থাকলেও বাংলাদেশ সেন্টার এগিয়ে যাচ্ছে নানা আলোকিত কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে।
প্রতিষ্ঠানটির নতুন নেতৃত্ব যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননার আয়োজনকে সামনে রেখে নিজেদের অভিষেক করেছেন। দীর্ঘ ৪৮ বছর এর সেন্টারের ইতিহাসে অনুষ্ঠানটি সকলের প্রসংসা পেয়েছে। বক্তারা বলেছেন, অভিষেক অনুষ্ঠানে বিশাল আয়োজন এবং বিশেষ করে জাতীর শ্রেষ্ট সন্তান মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের সম্মাননার কাজটি নতুন নেতৃত্বের সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ।
সম্মননা পাওয়া ব্যক্তিরা তাঁদের আনন্দের অনভূতি প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীনতার পক্ষে তাঁরা যখন রাস্তায় নেমেছিলেন তখন,তাঁরা কোনো স্বীকৃতি বা সম্মাননা পাওয়ার কথা চিন্তাও করেননি। তাঁদের প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ সেন্টার যে সম্মান দেখিয়েছে তাতে তাঁরা অভিভূত।
বাংলাদেশ সেন্টারের নব নির্বাচিত জেনারেল সেক্রেটারি মো. দেলোয়ার হোসেন এবং জয়েন্ট সেক্রেটারি মাহবুব আহমেদ এর প্রাণবন্ত পরিচালনায় অনুষ্ঠান শুরু হয় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে।
পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জনমত সম্পাদক নবাব উদ্দিন এবং দুই সহকারী কমিশনার কাউন্সিলর আব্দাল উল্লাহ এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের কমার্সিয়াল কন্স্যুলার এস এম জাকারিয়া মঞ্চে বাংলাদেশ সেন্টারের নবনির্বাচিত ম্যানেজমেন্ট কমিটির কর্মকর্তাদের পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর সেন্টারের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটিকে পরিচয় করিয়ে দেন জেনারেল সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিব। স্বাগত বক্তব্যে মুহিব বলেন, বাংলাদেশ সেন্টার নানা প্রতিকূল সময় পার করে বর্তমানে প্রবাসীদের কাঙ্ক্ষিত একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ভঙ্গুর দশা থেকে এই সেন্টারকে তুলে আনার সংগ্রামের কথা বলেন তিনি।
তিনি জানান, ইতিমধ্যে হাজার হাজার পাউন্ডের দেনা কাটিয়ে উঠেছে বাংলাদেশ সেন্টার। আর চলমান সংস্কার কাজ শেষ হলে এই সেন্টার একটি শক্ত অর্থনৈতিক ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে যাবে। সেইসঙ্গে কমিউনিটির শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, সামাজিক নানা আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে এটি।
সেন্টারের প্রধান উপদেষ্টা নবাব উদ্দিন তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অংশ হিসেবে লন্ডনে বাংলাদেশ সেন্টার প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তুলে ধরেন। এই সেন্টারকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য গৌরবের স্মারক হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশ সেন্টার নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে একটি বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেন্টারে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কার্যক্রমের সূচনা হয়। বর্তমানে যে ভবনটিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন অবস্থিত সেই ভবন ক্রয়েও যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের অবদান আছে। কিন্তু হাইকমিশনের কোথাও প্রবাসীদের অবদানের স্বীকৃতি দেয়নি। এটা দুঃখজনক।
বিশেষ অতিথি চ্যানেল এস এর চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি বলেন, নতুন কমিটির অভিষেক আয়োজনেই তিনি অভিভূত।
বিলেতে প্রথম ব্রিটিশ বাংলাদেশি জজ মিস স্বপ্নারা খাতুন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক তার পিতা মরহুম মিম্বর আলীর মরনোত্তর সম্মাননা পদক গ্রহন করে বলেন- বাংলাদেশ এর স্বাধীনতা সংগ্রামে যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা যে অবদান রেখেছেন তা ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে যেমন থাকবে তেমনি বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে এই সম্মাননা প্রদানটিও ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের পজিটিভ কাজের উদাহরণটি অনেক উজ্জ্বল ভাবে ইতিহাসে প্রকাশ পাবে।
বিসিএ’র প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইয়াকুব বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দিয়ে বাংলাদেশ সেন্টার অনন্য নজির স্থাপন করলো।
বিসিএ’র সাবেক প্রেসিডেন্ট পাশা খন্দকার বলেন, শুরুতেই চমক দেখিয়েছে সেন্টারের নব নির্বাচিত কমিটি। নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেন্টার সত্যিকার অর্থে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সেন্টারের নব নির্বাচিত কমিটির কাজের প্রশংসা করেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের পলিটিকেল কন্স্যুলার শ্যামল কান্তি চৌধুরী। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন সুইনডন বারা কাউন্সিলের মেয়র কাউন্সিলার জুনাব আলী, মোলব্যালী কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হক, লন্ডন বারা টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র সিরাজুল ইসলাম, স্পিকার আয়াছ মিয়া, মাহমুদ হাসান এমবিই, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব সভাপতি মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ বেলাল আহমদ, ইউকে বিবিসিসি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুকিম আহমদ, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন ইউকে’র ডা. আলাউদ্দিন আহমেদ এনটিভি’র সিও সাবরিনা হোসেন।
জেনারেল সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন জানান, বাংলাদেশ সেন্টারের সাথে জড়িত জাতির শ্রেষ্ট সন্তানদের সম্মাননা প্রদান করতে পেরে আমরা গৌরবান্বিতবোধ করছি। ক্রমান্বয়ে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত সকল মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দেওয়ার উদ্যোগ নিবে বাংলাদেশ সেন্টার।
অনুষ্ঠানে জমজমাট ভোজ আয়োজনের পাশাপাশি ছিল মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সংস্কৃতিক পর্বের পরিচালনা করেন সংগঠনের নব নির্বাচিত কমিটির কালচারাল সাব-কমিটির আহ্বায়ক শওকত মাহমুদ টিপু। বাংলাদেশ সেন্টারের চলমান সংস্কার কাজ তুলে ধলে একটি প্রমাণচিত্র দেখানো হয় অনুষ্ঠানে।
অতিথিদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সেন্টারের সামগ্রিক তথ্য সংবলিত স্মারক ম্যাগাজিন। মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিকেশন সাব-কমিটির আহ্বায়ক আলী আহমেদ বেবুল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আহমদ এটি সম্পাদনা করেন।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও রণাঙ্গণের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বাংলাদেশ সেন্টারের ব্যবস্থাপনায় এবং অনুসন্ধানী টিভি সাংবাদিক মোহাম্মদ জুবায়েরে এর সার্বিক তত্বাবধায়নে সাক্ষাৎকার ভিত্তিক একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে চারু শিল্পী আব্দুস সামাদ বাংলাদেশ সেন্টারের জন্য নিজের আঁকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি প্রতিকৃতি তুলে দেন বাংলাদেশ সেন্টারের ম্যানেজমেন্ট কমিটির হাতে।
নব নির্বাচিত কমিটি :
পদাধিকার বলে বাংলাদেশ সেন্টারের চেয়ার পারসন বাংলাদেশের বর্তমান হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম। সহ সভাপতি যথাক্রমে মুহিবুর রহমান মুহিব, শাহানুর খান, আশরাফ উদ্দিন, কবির উদ্দিন, মো. নিজাম উদ্দিন, মানিক মিয়া এবং গুলনাহার খান।
জেনারেল সেক্রেটারি মো. দেলোয়ার হোসেন। জয়েন্ট সেক্রেটারি যথাক্রমে মাহবুব আহমদ, ফয়সাল আহমদ এবং তারাউল ইসলাম। চিফ ট্রেজারার মো. মামুন রশিদ। জয়েন্ট ট্রেজারার যথাক্রমে সিব্বির আহমদ, আক্তার আলী ও এ কে এম আবদুল্লাহ।
সাব-কমিটিগুলোর মধ্যে মেম্বারশিপ সাব-কমিটির আহ্বায়ক জবরুল ইসলাম, হেরিটেইজ সাব-কমিটির আহ্বায়ক দিলোয়ার হোসাইন ও যুগ্ম আহ্বায়ক করিম মিয়া শামীম, ইনফরমেশন অ্যান্ড অ্যাডভাইস সাব-কমিটির আহ্বায়ক জাকির হোসাইন ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শহিদুর রহমান। ফাইন্যান্স অ্যান্ড ফাণ্ডরেইজিং সাব-কমিটির আহ্বায়ক এনাম উল হক চৌধুরী ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আব্দুল আলিম রশিদ ফজলু। এডুকেশন সাব-কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গির খান এবং যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নিজাম উদ্দিন।
মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিকেশন সাব-কমিটির আহ্বায়ক আলী আহমেদ বেবুল। কালচারাল সাব-কমিটির আহ্বায়ক শওকত মাহমুদ টিপু। আইসিটি সাব-কমিটির আহ্বায়ক মো. শামীম আহমদ। হেলথ কেয়ার অ্যান্ড এলডারলি সাব কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মিসবাবুল বর (লুকু)। ইয়ুথ অ্যান্ড স্পোর্টস সাব-কমিটির আহ্বায়ক সাদিক রহমান এবং যুগ্ম আহ্বায়ক ফখরুল ইসলাম। মেম্বারশীপ সাব-কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার আলী।
এ ছাড়া বাংলাদেশ সেন্টারের চারটি কর্পোরেট মেম্বার- বাংলাদেশ হাইকমিশনের পলিটিকেল কন্স্যুলার শ্যামল কান্তি নাথ, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ড. আলাউদ্দিন এবং হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন টিওফ ও সোনালী ব্যাংকের একজন করে প্রতিনিধি কমিটিতে রয়েছেন। সংগঠনের চিফ এক্সিকিউটিভ হিসেবে আছেন এস এম মোস্তাফিজুর রহমান।
উপদেষ্টা কমিটি:
প্রধান উপদেষ্টা নবাব উদ্দিন। অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন যথাক্রমে আশুক আহমদ আশুক, এম এ মুনিম, খালেদ চৌধুরী, ড. হালিমা বেগম আলম, লোকমান হোসাইন, নুরুল করিম, নুরুল ইসলাম মাহবুব, হাজী আব্দুল শফিক, মো. আফাজ উদ্দিন, প্রফেসর ড. নুরুন নবী, আব্দুল বারী, মাহবুব রহমান, হেলাল উদ্দিন খান ও ড. সানাওয়ার চৌধুরী।
সম্মাননা পেয়েছেন যাঁরা:
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন আলহাজ্ব মিম্বর আলী (মরনোত্তর), বেণু ভূষণ চৌধুরী (মরনোত্তর), মিসেস মুন্নি রহমান (মরনোত্তর), মোহাম্মদ তৈয়বুর রহমান (মরনোত্তর), আলহাজ মোহাম্মদ আবদুল রকিব (মরনোত্তর), সামসুল আলম চৌধুরী, আলহাজ খন্দকার ফরিদ উদ্দিন, আতাউর রহমান খান, হাফিজ মজির উদ্দিন, সুলতান মাহমুদ শরীফ, আলহাজ শামসুদ্দিন খান, মাহমুদ রউফ, কবির উদ্দিন, মোহাম্মদ জিল্লুল হক ও ফেরদৌস রহমান।
রণাঙ্গণের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন লোকমান হোসাইন, আতিকুর রহমান খান (আনা মিয়া), খলিলুর রহমান কাজী ওবিই, ড. নজরুল ইসলাম এবং মতিউর রহমান।
প্রসঙ্গত, সেন্ট্রাল লন্ডনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের অনন্য অবদানের স্মারক হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ‘বাংলাদেশ সেন্টার’। ১৯৭১ সালে এই সেন্টারেই বাংলাদেশের প্রথম দূতাবাস চালু হয়েছিল। পশ্চিমা বিশ্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষেই যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাঙালিরা গড়ে তুলেছিলেন এই সেন্টার। নতুন কমিটির অভিষেক ও সম্মাননার অনন্য কাজটির মতো আগামীতে বাংলাদেশ সেন্টার যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের সম্ভাবনা ও আলোকিত দিকগুলো ব্রিটেনে তুলে ধরার প্রতি গুরুত্ব দিবে বলে অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া অতিথিরা প্রত্যাশা করেছেন।