জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর অভিজাত আবাসিক এলাকা উত্তরায়,ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক চর্চা ও বিকাশ কেন্দ্র গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমি ১ম বারের মতো আয়োজন করছে ১০দিন ব্যাপী বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব। উৎসবের অনুষ্ঠানমালায় থাকছে -আলোচনা,কবিতাপাঠ,বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত তথ্যচিত্র, চলচ্চিত্র ও নাটক প্রদর্শনী,চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ।
এ উপলক্ষে ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১১:৩০ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের ২য় তলায় তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে
সাংবাদিক সম্মেলন করেছে বইমেলা ও উৎসব আয়োজক প্রতিষ্ঠান গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমি।
সম্মেলনের শুরুতে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন থেকে ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পর্যন্ত বর্ণাঢ্য এ আয়োজন নিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমির প্রধান নির্বাহী মাহবুব আমীন মিঠু।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও গীতাঞ্জলির উপদেষ্টা রামেন্দু মজুমদার,বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সচিব বেগম আকতারী মমতাজ সহ আরো অনেকে।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সাংস্কৃতিক সংগঠক মাহবুব আমীন মিঠু বইমেলা ও উৎসবের ১০ দিনের কর্মকান্ড নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, বাংলা একাডেমি,বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট,সিআরআই এর পাশাপাশি বেশকিছু জনপ্রিয় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান সমূহের স্টল থাকবে বইমেলায়।
তিনি বলেন, উত্তরা জনপদের সকল সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশের জনপ্রিয় কিছু নাট্য সংগঠন,একাডেমি,আবৃত্তি সংগঠন তাদের নিজ নিজ পরিবেশনা তুলে ধরবে।
১৭ই মার্চ সকাল ১০ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে উন্মুক্ত চিত্রাঙ্কন উৎসব। সন্ধ্যায় থাকবে আলোচনা,পুরস্কার ও সনদ বিতরণী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বইমেলা প্রতিদিন ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে ২২ মার্চ শুক্রবার ও ২৩ মার্চ শনিবার এবং ২৬ মার্চ মেলা সকাল ১০ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে।
মেলামঞ্চে প্রতিদিন বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় উপদেষ্টা,মন্ত্রী,প্রতিমন্ত্রী,সচিব,কূটনীতিক,লেখক,কবি,শিল্পী,সাহিত্যিক,গবেষক ও সাংবাদিক বৃন্দ।
একাডেমির প্রধান নির্বাহী মাহবুব আমীন মিঠু আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিবসকে ঘিরে আমাদের এই বইমেলার উদ্দেশ্য আগামী প্রজন্মের সকল স্তরের মানুষের মাঝে বাঙালি অবিসংবাদিত নেতার জীবন কর্ম তাদের কাছে তুলে ধরা। পূর্বে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী নিয়ে উত্তরা জনপদে বর্ণাঢ্য কোনো অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়নি।সম্ভবত ঢাকা মহানগরে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে ঘিরে এটি ১০ দিন ব্যাপী একমাত্র বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব।
রামেন্দু মজুমদার তাঁর বক্তব্যে বলেন,জাতীয় বইমেলায় উত্তরা,টঙ্গী,গাজীপুর নগরীর অনেকেই যানবাহন ও দূরত্বের কারণে উপস্থিত হতে পারেনা।
উত্তরা জনপদ সংস্কৃতি অবকাঠামো শূন্য,সেখানে নেই কোনো মিলনায়তন,প্রেক্ষাগৃহ,উন্মুক্ত মঞ্চ ও লাইব্রেরি।
গীতাঞ্জলির এই বর্ণাঢ্য আয়োজন এই অঞ্চলে সাংস্কৃতিক বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস।
বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাননীয় সচিব বেগম আকতারী মমতাজ তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকাকালে উত্তরায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উত্তরায় ১ম বইমেলা হয়েছিল।সরকারের পাশাপাশি সৃজনশীল সংগঠনগুলোর এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। গীতাঞ্জলির ধারাবাহিক কার্যক্রমগুলো আগামী দিনগুলোতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সাংস্কৃতিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও আগামী প্রজন্মের কাছে সুস্থ্য সাংস্কৃতিক চৰ্চা ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মাহবুব আমীন মিঠু তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বলেন,আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে আমাদের বছর ব্যাপী নানাবিধ কার্যক্রম থাকবে যার মধ্যে অন্যতম ৭ই মার্চ থেকে ২৬শে মার্চ পর্যন্ত উত্তরার বইমেলা।
“বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ”শীর্ষক বইমেলায় সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়।