ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করছে বিভিন্ন প্যানেলের হয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীরা। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তারা উপাচার্যকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন। আগামী শনিবারের মধ্যে নির্বাচন বাতিল করে পুনর্নির্বাচন না দিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁসিয়ারি দেন তারা।
বুধবার (১৩ মার্চ) ঢাবির রাজু ভাস্কর্য থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে আসেন প্রার্থী ও সমর্থকরা। বিক্ষোভ মিছিলে, ‘প্রহসনের নির্বাচন মানি না মানব না, ‘এক দুই তিন চার, দালাল ভিসি গদি ছাড়’, ‘আমার ভাই অনশনে, প্রশাসন নিরব কেন’, ‘জালিয়াতির নির্বাচন, মানি না মানব না’, ‘জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘ভাইয়ের নামে মামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমাদের সংগ্রাম, চলছে চলবে’ এ ধরনের স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা।
ঢাবি উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভে জিএস প্রার্থী উম্মে হাবিবা বেনজীর বলেন, আমরা আগেই বলেছিলাম ৩০ ডিসেম্বরের মতো নির্বাচন আমরা মেনে নেব না। ১১ মার্চ ডাকসুতে ৩০ ডিসেম্বরের মতো আরেকটি নির্বাচন হয়েছে। আমরা অবিলম্বে এ নির্বাচন বাতিল চাই।
এর আগে রাজু ভাস্কর্যের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ও ডাকসু নির্বাচনে জিএস প্রার্থী মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শনিবারের মধ্যে বিতর্কিত নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করতে হবে। এ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত সব শিক্ষককে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। একই সঙ্গে দলনিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য শিক্ষকদের দ্বারা নির্বাচন কমিশন গঠন করে পুনঃতফসিল ঘোষণা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা পাঁচটি প্যানেল একত্রিত হয়েছি। আপনারা জানেন, প্রতিটি হলে কী পরিমাণ ভোট ডাকাতি হয়েছে। আপনারা দেখেছেন, কুয়েত-মৈত্রী হল, রোকেয়া হলে ব্যালট ভর্তি ভোটবাক্স পাওয়া গেছে। মেয়েদের হলে আধিপত্য কম থাকা সত্ত্বেও সেখানে যে পরিমাণ ভোট কারচুপি হয়েছে, তাহলে ছেলেদের হলে যা হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।’