বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
সর্বশেষ সংবাদ
ঢাবি অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের ষষ্ঠ বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত  » «   প্রাথমিকে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধিত করেছে সমছুল- করিমা ফাউন্ডেশন  » «   গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে লন্ডনে পাঁচ লাখের বেশি মানুষের বিক্ষোভ  » «   বাংলাদেশ সেন্টার লণ্ডন নির্বাচন ২০২৩: গ্রিন এলায়েন্স এর প্রার্থী পরিচিতি অনুষ্ঠান  » «   নতুন প্রজন্মের ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের বাংলাদেশের ৭২-এর সংবিধান-এর ওপর গবেষণা করার আহ্বান  » «   কাউন্সিল অফ মস্ক টাওয়ার হ্যামলেটেস এর কো অর্ডিনেটার আসলাম উদ্দিনের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল  » «   লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সদস্য সাদিক রহমানের পিতা হাফিজ আব্দুন নূর এর মৃত্যুতে ক্লাব নেতৃবৃন্দের শোক  » «   জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ফান্ড পেলো ইষ্টহ্যান্ডস  » «   ক্রয়ডনে বিয়ানীবাজার ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতাল ফাউন্ডেশনের ফান্ড রাইজিং ডিনার ইভেন্ট অনুষ্ঠিত  » «   হবিগঞ্জ জেলার ১৮ জন অবসরপ্রাপ্ত গুণী শিক্ষক পেলেন টি আলী স্যার ফাউন্ডেশন সম্মাননা-২০২৩  » «   বিসিএর এজিএম ও নির্বাচন সম্পন্ন  » «   বিয়ানীবাজার ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃক বিশ্ব স্তন ক্যান্সার সচেতনতা বিষয়ক আলোচনা সভা  » «   হবিগঞ্জ জেলার ১৮ গুণী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পাচ্ছেন টি আলী স্যার ফাউন্ডেশন সম্মাননা  » «   বিয়ানীবাজার জনকল্যাণ সমিতি ইউকে ২০২৩-২৫ কার্যকরী কমিটির বর্ণাঢ্য অভিষেক  » «    পরিণত জীবন শিক্ষকদেরই দান  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

যোদ্ধা-বীরাঙ্গনা নূরজাহান বেগম



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

যে যুদ্ধ করে আর যে যুদ্ধের বয়ান তৈরি করে- এই দুয়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের অনেক পরের প্রজন্ম, তারা তৈরি করা বয়ান দিয়েই তো যুদ্ধ, যোদ্ধা, ইতিহাসকে চিনেছি। তাহলে এই ফারাকটা ভরাটের পথ কী?

ঠিক এই জায়গাটা থেকেই একসময় ভাবি, যোদ্ধার প্রকৃত বয়ানটাই বোধহয় সেই ফারাকটা ভরাট করে দিতে পারে। একসময় যোদ্ধার বয়ান শোনা শুরু করি। সত্যিকার অর্থেই তখন অন্য এক যুদ্ধকে প্রত্যক্ষ করি যোদ্ধার চোখে। সেই ঘোর আজও কাটেনি।

কিন্তু যোদ্ধাও তো মানুষ, সময়ের ব্যবধানে সেও নিজেকে যে পাল্টে ফেলেনি- তাই বা কে বলবে! তবু আজও মুক্তিযোদ্ধার, বীরাঙ্গণার, শরণার্থীর গল্প শুনি ঠাকুরমার ঝুলির রূপকথার মতো সরলতা, মুগ্ধতা আর শিহরণ নিয়েই।

সেই অচেনা, অজানা, অখ্যাত যোদ্ধা, যারা মুক্তিযুদ্ধকে জনযুদ্ধে রূপ দিয়েছিল, তাদের কিছু কিছু অভিজ্ঞতা এই উত্তাল মার্চের দিনগুলোতে শুনাতে চাই ৫২বাংলায়।

নূরজাহান বেগম

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ছনকান্দা গ্রামের বীরাঙ্গনা নূরজাহান বেগমকে দুইবার মরতে হয়েছে। প্রথমবার যখন পাকিস্তানি বাহিনী তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। আর দ্বিতীয়বার পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে নির্যাতিত হওয়ার কারণে তাঁর স্বামী তাঁকে ফেলে চলে যায়, তখন। কিন্তু নূরজাহান এ দুটি কারণের কোনোটির জন্যই দায়ী নয়। তিনি এ দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের `বলি`।

পাকিস্তানি সেনারা স্থানীয় হাইস্কুলে এসে উঠেছে। গ্রাম থেকে নারী-পুরুষদের ধরে সেখানে আনা হচ্ছে। নূরজাহানের কোলে তখন একটি মেয়ে। তিনি তখন সন্তানসম্ভবা। নূরজাহানকে হাইস্কুলের একটি কক্ষে নিয়ে বন্দি করে রাখা হয়।

সেখানে শুধু নূরজাহান একা না। আরো অনেক মানুষকে ধরে এনেছে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকাররা। কাউকে কাউকে নির্যাতনও করা হয়েছে। চোখ বাঁধা অবস্থায় অনেককে আনা হয়েছে। নূরজাহানের কোলের মেয়েটি অনবরত কেঁদে চলেছে। সেই ক্যাম্পেই নির্যাতনের শিকার হন নূরজাহান। পাকিস্তানি হানাদারদের নির্যাতনের চিহ্ন নিয়ে কোনোভাবে ক্যাম্প থেকে বাড়ি ফিরে আসেন নূরজাহান। সেই কলঙ্ক আজো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাঁকে।

যুদ্ধ নূরজাহানের জীবনটাকেই অভিশপ্ত করে দিয়েছে। তিনি সমাজ, রাষ্ট্র কারো কাছেই আর কোনো স্বীকৃতি চান না।

(২০১৫ সালের জুন মাসে একদিন বিকেলে নূরজাহানের একমাত্র ছেলের সঙ্গে ছনকান্দা বাজারে আলাপ হয়।)


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন