বহুল প্রতীক্ষিত বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি পদে বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান খান এবং সাধারণ সম্পাদক পদে দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল নির্বাচিত হয়েছে।
১৪ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ৭টার দিকে ভোট গণনা শেষে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান বিজয়ী ও বিজিতি প্রার্থীদের ফলাফল ঘোষণা করেন।
সভাপতি আতাউর রহমান খান ২১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুল হাসিব মনিয়া পেয়েছেন ১৬৭ ভোট এবং অপর প্রার্থী নজমুল হোসেন পেয়েছেন ১২ ভোট। দুইটি ভোট বাতিল হয়েছে।
উপজেলার ১০ ইউনিয়ন, পৌরসভা, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা আওয়ামী লীগের নির্ধারীত কাউন্সিলরগণ ভোট দেন। ভোট মোট দিয়েছেন ৩৯৩জন ভোটার। সাধারণ সম্পাদক পদে দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়ে পেয়েছেন ১৫১। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হারুনুর রশিদ দিপু ১০৩ ভোট পেয়েছেন । অপর তিন প্রার্থী জাকির হোসেন ৭৮, আবুল কাশেম পল্লব ৬০ ও জামাল হোসেন ৫ ভোট পান।
ক্যাপশন: নির্বাচিত সভাপতি -আতাউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক-দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল অতীতে জাতীয়ভাবে সম্মাননা প্রাপ্ত
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৮জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁরা হচ্ছেন- সভাপতি পদে আব্দুল হাসিব মনিয়া, আতাউর রহমান খান ও নজমুল হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জাকির হোসেন, হারুনুর রশিদ দিপু, দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল, আবুল কাশেম পল্লব এবং জামাল হোসেন। ভোটের আগে নির্বাচন থেকে নাম প্রত্যাহার করে সভাপতি পদে মাহমুদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক পদে সেলিম উদ্দিন আহমদ।
বিকাল ৪টা থেকে শহরতলীর ইউসুফ কমিউনিটি সেন্টারে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ১০ ইউনিয়ন, পৌরসভা, উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের ৪০৬জন কাউন্সিলর ভোট দেন আগামী নেতা নির্বাচন করতে। ভোট দিয়েছেন ৩৯৩জন কাউন্সিলর।
প্রসঙ্গত দীর্ঘ ১৬ বছর পর অনুষ্ঠিত বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন নিয়ে- প্রবাসী অধ্যুষ্যিত বিয়ানীবাজার উপজেলায় ও প্রবাসে তুমুল আলোচনা ও প্রচারণা চলেছে। প্রধান দুই পদের প্রার্থীদের নিয়েও আওয়ামী লীগ সমর্থক-নেতা-কর্মীরা নানা গ্রুপিং ও লবিং এ বিভক্ত হয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন মুখী প্রচারণায় সক্রিয় ছিলেন।
নির্বাচিত সভাপতি -আতাউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক-দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল জাতীয়ভাবে আলোকিত কাজের জন্য অতীতে সম্মাননা পেয়েছেন।