শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
সর্বশেষ সংবাদ
দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজ আর নেই  » «   লন্ডন মুসলিম সেন্টারে দুই শতাধিক মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো ‘ফেইথ ইন এনভারনমেন্ট’ সামিট  » «   রোবটিক্স বিজ্ঞানী ড. হাসান শহীদের নেতৃত্বে কুইন মেরি ইউনভার্সিটি অব লন্ডনে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম মাল্টিরোটর সোলার ড্রোন উদ্ভাবন  » «   লন্ডন এন্টারপ্রাইজ একাডেমির অফস্টেড রিপোর্টে ‘গুড’ গ্রেড অর্জন  » «   টাওয়ার হ্যামলেটস এডুকেশন অ্যাওয়ার্ডস : ১৮৫ জন শিক্ষার্থীকে সম্মাননা  » «   ব্যারিস্টার নাজির আহমদের “ইন্সপায়ার এ মিলিয়ন”নামে চ্যারিটি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা  » «   সম্মিলিত সাহিত্য ও  সাংস্কৃতিক পরিষদের ২০২৫-২৬ পরিচালনা পর্ষদ গঠন  » «   গ্রেটার ফতেহপুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের সাধারণ সভা ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত  » «   আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের মিল আর গুজব রাজনীতি  » «   পাচারকৃত টাকা বাংলাদেশে ফেরত আনার ব্যাপারে যুক্তরাজ্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন ডা. শফিকুর রহমান  » «   প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাব ফ্রান্সের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন  » «   শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা  » «   ব্রিটিশ-বাংলাদেশী হুজহু’র ১৫তম প্রকাশনা ও এওয়ার্ড অনুষ্ঠান ১২ নভেম্বর  » «   বিসিএর ১৭তম এওয়ার্ড : উদযাপিত হলো বাংলাদেশী কারি শিল্পের সাফল্য  » «   কবি ফয়জুল ইসলাম ফয়েজনূরের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ভালোবাসার আগ্রাসন’র মোড়ক উন্মোচন  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

আবুধাবীতে বাংলাদেশি কিশোরের কষ্ট উপাখ্যান
২ বছর ধরে কোমায় পড়ে আছে এ কিশোর



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

আরব আমিরাতে ২০১৭ সালের ১৮ বিকেল সাড়ে ৫ টায় এপ্রিল নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বাংলাদেশি আবতাহি সিদ্দিকীর জীবন চিরদিনের জন্য বদলে যায়। দেশটির রাজধানী আবুধাবির মুসাফ্ফাতে একটি পথচারী ক্রসিংয়ে দ্রুতগামী একটি গাড়ি তাকে আঘাত করে। বাংলাদেশি এ কিশোর বন্দুর বাড়িতে পড়ার নোট আনার জন্য যাবার বেলা এ ঘটনা ঘটে। গত দু বছর ধরে তিনি আবুধাবি হাসপাতালের কোমায় আছেন।

১৫ বছর বয়েসী ছেলেটি এখন আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির একটি হাসপাতালের বিছানা থেকে জল ভরা চোখে তার পরিবারের সদস্যদের দিকে চেয়ে থাকে কিন্তু এখনো মুখে কোন কথা বলতে পারছে না।

আবুধাবিতে ২৫ বছর ধরে বসবাসকারী আবতাহির পিতা, সিদ্দিকী আহমদ মুসাফ্ফাতে একটি রেস্তোরাঁ চালান। তিনি জানান গত দু বছর ধরে হাসপাতাল আর ঘরে আশা-যাওয়া নিয়েই ব্যস্ত থাকে তাদের পুরো পরিবার। শুধু ছেলে নয় পুরো পরিবার যেন এই ঘটনায় কোমায় আছে এমন অবস্থা।

তিনি আরো বলেন, ওই সড়কে যানবাহনের নির্ধারিত গতিসীমা ৮০ কিলোমিটার হলেও, গাড়িটি খুব দ্রুত গতিতে চালানো হচ্ছিলো বলে স্থানিয় পুলিশ জানিয়েছেন।

তাকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সে ৩য় পর্যায়ের কোমায় ছিলো । এখন ডাক্তারদের ক্রমাগত প্রচেষ্টায়, তার অবস্থা উন্নত হয়েছে এবং এখন সে ৬-৭ কোমা পর্যায়ে রয়েছে তবে কেবল তার চোখ খুলতে পারে। যখন সে কোমার ১০ম পর্যায়ে পৌঁছবে, তখন সে হাঁটতে পারবে বলে ডাক্তাররা তার বাবাকে জানিয়েছেন।

আবতাহি মুসাফার মেরিল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র ও দুই সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ। তার ছোট ভাই আব্রারও তার সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায় আছে।

মানসিক আঘাত ছাড়াও, হাসপাতালের বিল যোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবার। তাই মানসিক আঘাতের সাথে যেন আর্থিক ক্ষতিও

হাসপাতাল কর্তৃক প্রদত্ত যথেষ্ট সহায়তার প্রশংসা করেন আবতাহির বাবা, কিন্তু দোষীর সন্ধান পেয়ে এবং ‘কোর্ট অফ ফার্স্ট ইনস্ট্যান্স’-এর ক্ষতির জন্য অর্থ প্রদানের আদেশ দেওয়ার পরও আবুধাবি আদালতে মামলাটি চলমান অবস্থায় রয়েছে।

“আমি হাসপাতালে একটি অঙ্গীকার দিলাম যে আদালত থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার পর আমি বিল পরিশোধ করব”, সিদ্দিকী আহমেদ জানান।

ঠিক দু বছর আগেই মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশী এক তরুণ নিহত হয়, আর ঠিক একই বছর ঘটে এই ঘটনা।

সূত্র: গাল্ফ নিউজ


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন