রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
সর্বশেষ সংবাদ
হিথরো বিমানবন্দরে সীমিত পরিসরে ফ্লাইট চলাচল শুরু  » «   এনসিপির ভোটারদের বয়স ১৬ ও এমপিপ্রার্থীদের ২৩ চায় কেনো?  » «   গাজার পর লেবাননেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল  » «   ইউরোপের পোশাক বাজারে বাংলাদেশের বড় উত্থান  » «   হাসনাত আব্দুল্লাহ’র অভিযোগ, আতঙ্ক: আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা চলছে  » «   হিথ্রো বন্ধ, মাঝপথ থেকে ফিরল বিমানের ফ্লাইট  » «   ঈদে টানা ৯ দিনের ছুটিতে দেশ  » «   সব মামলায় খালাস তারেক রহমান, দেশে ফিরতে বাধা নেই  » «   ধর্মীয় উগ্রবাদ ঠেকাতে না পারলে ফের গণতন্ত্রের কবর হবে: তারেক রহমান  » «   জাতীয় পার্টির ইফতারে হামলা: দেশ ধ্বংসের মুখে চলে যাচ্ছে, এই সরকার দ্রুত বিদায় নিলেই মঙ্গল: জি এম কাদের  » «   আবার ‘জিয়া উদ্যান’ হলো ‘চন্দ্রিমা উদ্যান’  » «   বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিসৌধে বাবার নাম ‘চান না’ সিলেটের আতাউর  » «   মহাসড়কে প্রবাসী গাড়ি টার্গেট করে ডাকাতি : নজরদারি বাড়ানের দাবি, অতিরিক্ত ৭০০ পুলিশ মোতায়েন  » «   রাজধানীতেই আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়! অনুমোদন পেল ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’  » «   আরসা প্রধান জুনুনিকে গ্রেপ্তারের দাবি র‌্যাবের  » «  

আবুধাবীতে বাংলাদেশি কিশোরের কষ্ট উপাখ্যান
২ বছর ধরে কোমায় পড়ে আছে এ কিশোর



আরব আমিরাতে ২০১৭ সালের ১৮ বিকেল সাড়ে ৫ টায় এপ্রিল নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বাংলাদেশি আবতাহি সিদ্দিকীর জীবন চিরদিনের জন্য বদলে যায়। দেশটির রাজধানী আবুধাবির মুসাফ্ফাতে একটি পথচারী ক্রসিংয়ে দ্রুতগামী একটি গাড়ি তাকে আঘাত করে। বাংলাদেশি এ কিশোর বন্দুর বাড়িতে পড়ার নোট আনার জন্য যাবার বেলা এ ঘটনা ঘটে। গত দু বছর ধরে তিনি আবুধাবি হাসপাতালের কোমায় আছেন।

১৫ বছর বয়েসী ছেলেটি এখন আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির একটি হাসপাতালের বিছানা থেকে জল ভরা চোখে তার পরিবারের সদস্যদের দিকে চেয়ে থাকে কিন্তু এখনো মুখে কোন কথা বলতে পারছে না।

আবুধাবিতে ২৫ বছর ধরে বসবাসকারী আবতাহির পিতা, সিদ্দিকী আহমদ মুসাফ্ফাতে একটি রেস্তোরাঁ চালান। তিনি জানান গত দু বছর ধরে হাসপাতাল আর ঘরে আশা-যাওয়া নিয়েই ব্যস্ত থাকে তাদের পুরো পরিবার। শুধু ছেলে নয় পুরো পরিবার যেন এই ঘটনায় কোমায় আছে এমন অবস্থা।

তিনি আরো বলেন, ওই সড়কে যানবাহনের নির্ধারিত গতিসীমা ৮০ কিলোমিটার হলেও, গাড়িটি খুব দ্রুত গতিতে চালানো হচ্ছিলো বলে স্থানিয় পুলিশ জানিয়েছেন।

তাকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সে ৩য় পর্যায়ের কোমায় ছিলো । এখন ডাক্তারদের ক্রমাগত প্রচেষ্টায়, তার অবস্থা উন্নত হয়েছে এবং এখন সে ৬-৭ কোমা পর্যায়ে রয়েছে তবে কেবল তার চোখ খুলতে পারে। যখন সে কোমার ১০ম পর্যায়ে পৌঁছবে, তখন সে হাঁটতে পারবে বলে ডাক্তাররা তার বাবাকে জানিয়েছেন।

আবতাহি মুসাফার মেরিল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র ও দুই সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ। তার ছোট ভাই আব্রারও তার সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায় আছে।

মানসিক আঘাত ছাড়াও, হাসপাতালের বিল যোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবার। তাই মানসিক আঘাতের সাথে যেন আর্থিক ক্ষতিও

হাসপাতাল কর্তৃক প্রদত্ত যথেষ্ট সহায়তার প্রশংসা করেন আবতাহির বাবা, কিন্তু দোষীর সন্ধান পেয়ে এবং ‘কোর্ট অফ ফার্স্ট ইনস্ট্যান্স’-এর ক্ষতির জন্য অর্থ প্রদানের আদেশ দেওয়ার পরও আবুধাবি আদালতে মামলাটি চলমান অবস্থায় রয়েছে।

“আমি হাসপাতালে একটি অঙ্গীকার দিলাম যে আদালত থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার পর আমি বিল পরিশোধ করব”, সিদ্দিকী আহমেদ জানান।

ঠিক দু বছর আগেই মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশী এক তরুণ নিহত হয়, আর ঠিক একই বছর ঘটে এই ঘটনা।

সূত্র: গাল্ফ নিউজ

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন