রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
সর্বশেষ সংবাদ
শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা  » «   ব্রিটিশ-বাংলাদেশী হুজহু’র ১৫তম প্রকাশনা ও এওয়ার্ড অনুষ্ঠান ১২ নভেম্বর  » «   বিসিএর ১৭তম এওয়ার্ড : উদযাপিত হলো বাংলাদেশী কারি শিল্পের সাফল্য  » «   কবি ফয়জুল ইসলাম ফয়েজনূরের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ভালোবাসার আগ্রাসন’র মোড়ক উন্মোচন  » «   লন্ডনে চট্টগ্রামবাসীর ঐতিহ্যবাহী মেজবানী ও মিলন মেলা  » «   কাউন্সিল অব মস্ক টাওয়ার হ্যামলেটসের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত  » «   লন্ডনে অনুষ্ঠিত হলো ১১তম মুসলিম চ্যারিটি রান, দেড়শত হাজার পাউন্ডের বেশি সংগ্রহ  » «   লন্ডনে পেশাজীবীদের সেমিনারে বক্তারা : দেড় কোটি প্রবাসী বাংলাদেশীরা বাংলাদেশ পূনর্গঠনে ভূমিকা রাখতে চায়  » «   মুসলিম কমিউনিটি এসোসিয়েশন (এম সি এ) এর সদস্য সম্মেলন সম্পন্ন  » «   সাংবাদিক আব্দুল বাছিত রফির পিতা হাজী মো: আব্দুল হান্নান এর মৃত্যুতে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দের শোক  » «   বাংলাদেশে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের সম্পদ সুরক্ষায় অন্তবর্তীকালীন সরকারকে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে  » «   ইস্টহ্যান্ডস চ্যারিটির উদ্যোগে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং কর্মশালায় বিভিন্ন পেশার মানুষের অংশগ্রহণ  » «   হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমের  বিরুদ্ধে নীতিহীন কর্মকান্ডের অভিযোগ  » «   সাংবাদিক ক্যারলকে গ্লোবাল জালালাবাদ ফ্রান্সের বিশেষ সম্মাননা প্রদান  » «   গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক জালালাবাদ উৎসব প্যারিস অনুষ্ঠিত  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

প্রসঙ্গ: আল মাহমুদ



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

যখন কবিতা পড়তে শুরু করি, সেই নব্বইয়ের শুরুর দিকে, তখন অনেক কবিই আমাদের মুগ্ধ করে রাখতেন, কবিতা কী জিনিস সেটি আমরা তাদের কাব্যপাঠের মধ্য দিয়েই বুঝতে শিখেছি। এরা মূলধরার কবি। এর বাইরে ছিল প্রথাবিরোধী ছোট কাগজের কবিরা। তাদের কবিতাও বেশ টানত।

এটা তো অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই মূলধারার এই কবিদের মধ্যে আল মাহমুদও ছিলেন। তাঁর সোনালী কাবিন, কালের কলস, লোক লোকান্তর এসব কাব্যগ্রন্থ যৌবনে যখন রাজনৈতিক কর্মী ছিলাম তখনো দিনের পর দিন ঘোরলাগা মুগ্ধতা নিয়েই পাঠ করেছি। খুব সম্ভবত নব্বইয়ের মাঝামাঝি দশক থেকে আল মাহমুদের কিছু গল্পও পড়তে শুরু করি।

মূলধারার অনেক কবির রাজনৈতিক কবিতাও আমার বেশ লাগত, সেটা স্লোগান হলেও। হতে পারে সেটা আমার নিজের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে। কারণ, সেই সময়টায় সত্তর, আশির দশকে যারা কবিতার বয়ান তৈরি করেছিলেন, সমাজে-সামাজিক অনুষ্ঠানে-রাজনৈতিক মঞ্চে তাদের কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে, তাঁরা তাদের প্রভাব বজায় রেখে চলেছিলেন।

এই সময়ে দেশ-বিদেশের নানা কবির কবিতা পাঠ করে মুগ্ধ হয়েছি। রাজনৈতিক দর্শন জেনেও তাদের কবিতায় মুগ্ধ হতে কোনো সমস্যা তৈরি হয়নি। মনে হয়েছিল, রাজনৈতিক সত্তা কবির আছে, কবিতারও আছে। কিন্তু কবিতার স্বাদ সেসবকে বিলীন করে তুললেই কবিতা। আল মাহমুদ কি এমন কিছু কবিতা, কাব্যগ্রন্থ সৃষ্টি করেননি। তাহলে তাঁকে পাঠ করে ভুল কিছু করিনি।

বরং এটা মনে হয়েছে, এমন একজন কবির মহৎ কবিতার স্বাদ আমি যদি আস্বাদন করতে না পারি, তাহলে বোধহয় পাঠক হিসেবে সেটা আমারই ব্যর্থতা, খামতি। আজ সেই খামতি, ব্যর্থতা কবির চিরবিদায়ের দিনে কী ঘৃণায় দিকে দিকে ঝরে পড়ছে। হায়!

এটাই সমাজের বাস্তবতা। গোটা শিল্পই তো বিভাজিত, কবি বিভাজিত, কবিতা বিভাজিত। আল মাহমুদ মানুষ ছিলেন বলে তিনিও বিভাজিত।

আর একটা কথা, আল মাহমুদ রাজনৈতিকভাবে প্রগতিশীলদের কাছে অচ্যুত, অস্পৃশ্য প্রায় চার দশক ধরে। কই, তাঁকে কি নিশেষ করতে পেরেছেন? নিজেকে প্রশ্ন করুন। আল মাহমুদ নিজের রাজনৈতিক মত নয়, বিভাজিত অংশ হিসেবে নয়, কবিতার সৃষ্টিশীলতা দিয়েই তিনি টিকে ছিলেন, আছেন, থাকবেন। যারা তাঁকে পড়েছিলেন তাঁরা মুগ্ধ হয়েছেন। বাঙলা সাহিত্য যতদিন থাকবে ততদিন কবিতার পাঠকের কাছে আল মাহমুদের এই মুগ্ধতা থেকে যাবে।

শব্দই ব্রহ্ম। শব্দ দিয়ে যে আবেশ, মুগ্ধতা, ঘোর, বাংলাদেশের আনকোড়া যৌনতা আল মাহমুদের কবিতায় তৈরি হয় সেটা স্থান-কাল-পাত্রের উর্ধ্বে। আল মাহমুদের জয় সেখানেই।


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

"এই বিভাগে প্রকাশিত মতামত ও লেখার দায় লেখকের একান্তই নিজস্ব " -সম্পাদক