সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ে বসেছে গাল্ফফুডের ২৫তম আসর। এবারের আসরে ১৪০টি দেশ অংশ নিয়েছে। অন্যান্যবারের থেকে এবারের মেলায় বাংলাদেশি খাদ্য পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিদেশিরা ব্যাপক আগ্রহের সাথে ঝুঁকছেন বাংলাদেশি পণ্যে। দুবাইয়ে ফেব্রুয়ারির ১৬ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে গাল্ফফুডের ২৫ তম আসর। ১৪০টি দেশের অংশগ্রহণে জমে ওঠেছে এবারের এ খাদ্যপণ্যের মেলা। মেলাটি চলবে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অন্যবারের চেয়ে অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশি পণ্যের। বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের মতো খাদ্যপণ্য অর্থনীতির বিশাল খাত বলে জানিয়েছেন দুবাইয়ে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন খান।
প্রায় ৫ হাজার দর্শনার্থী প্রতিদিন ভিড় করছেন মেলায়। বাংলাদেশের অর্ধশত স্টল দেশকে উপস্থাপন করছে সুন্দরভাবে। এই মেলা দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য এক্সপোতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সহজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন , বাংলাদেশ কনসুলেট, দুবাইয়ের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর কামরুল হাসান।
বাংলাদেশি খাদ্যের নীতিবাচক একটি প্রচারণা দেশে থাকলে দিন দিন ইতিবাচক ভাবে আন্তর্জাজিক অঙ্গণে দেশের পণ্য বাজার জাত হচ্ছে। ২০০৪ সালে ২.৯ মিলিয়ন ডলার খাদ্যপণ্যে এক্সপোর্ট থাকলেও গত বছরে তা দাঁড়িয়েছে ৫০০ মিলিয়ন ডলারে। দেশের এসব পণ্য বিদেশে বাজারজাত করতে উদ্যোক্তাদের আন্তরিকতার অভাব নেই জানিয়েছেন বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস এসোসিয়েশন (বাপা)’র সহ সভাপতি সৈয়দ মো. শোয়াইব হাসান।
দিন দিন বিশ্ববাজারে বাংলাদেশর এমন অগ্রযাত্রায় খুশি প্রবাসিরাও। এমন করে সকল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মান পাক দেশের পণ্য, মনেপ্রাণে এমনটিই চান সাধারণ প্রবাসিরা।