নাইফ ক্রাইম ইংল্যন্ডে অত্যন্ত আলোচিত একটা অপরাধ। প্রতি বছরই এ অপরাধ বাড়ছে। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে এই অপরাধ এবছর উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে বলে রিপোর্ট বেরিয়েছে। নাইফ কিংবা চাকু ব্যবহার করে হত্যাকান্ডের সংখ্যা বেড়েছে গতবছরের তুলনায় এবছর অন্তত ১২ শতাংশ। অন্যদিকে চাকু কিংবা ধারালো কোন জিনিষ ব্যবহার করে অপরাধ সংগঠিত করার হার বেড়েছে ২০ শতাংশ।
ইংল্যান্ডে এবং ওয়েলসে সংগঠিত ৪০,১৪৭ অপরাধের মাঝে দেখা গেছে চাকু দিয়ে আপরাধ করার প্রবনতাটাই অধিক। ছোট-বড় মিলে প্রায় ৫.৫ মিলিয়ন অপরাধ সংগঠতি হয়েছে গতবছর। এ বছরে সংগঠিত অপরাধ তুলনা করে দেখা গেছে এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস এ সংগঠিত অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১১ শতাংশ।
এ হিসেবে দেখা গেছে গান ক্রাইম অর্থাৎ বন্দুক দিয়ে অপরাধ সংগঠিত করা কিছুটা কমেছে অর্থাৎ বছরের মোট আনুপাতিক হারের হিসাবে তা বেড়েছে তাদের রেকর্ড অনুযায়ী মাত্র ২ শতাংশ। সার্বিকভাবে বড় ধরণের অপরাধের সংখ্যা হ্রাস পেলেও ছোট-খাট অপরাধ বৃদ্ধি পাওয়ায় সামগ্রিক অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
যেমন বাসা কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চুরি বা ডাকাতির সংখ্যা বেড়েছে ৩০ ভাগ, ছিটকা চুর কর্তৃক গাড়ির জানালা ভেঙ্গে চুরির সংখ্যা বেড়েছে ১৭ শতাংশ। তবে আশার কথা হলো, কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট অপরাধ প্রায় ৩১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। বলা হচ্ছে কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ কমে যাওয়ায় তা রোধ করা সম্ভব হয়েছে।
এরপরও দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান বিভাগ (ওএনএস) থেকে প্রকাশিত এক তথ্যে বলা হচ্ছে দেশটিতে অপরাধ প্রবনতা কিছুটা হলেও স্থিতিশীল রয়েছে। ওএনএস’র এর মূখপাত্র ক্যরোলাই ইওল এক বিবৃতিতে বলেছেন এরপরও তারা মনে করেন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অপরাধ একটা সীমাবদ্ধতার মধ্যেই আছে অর্থাৎ স্থিতিশীল রয়েছে।