রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে সীতাকুণ্ড পৌর সদরের রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত সাংবাদিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত সাংবাদিকের নাম লিটন কুমার চৌধুরী। তিনি দৈনিক জনকণ্ঠ-এর সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রতিনিধি ও সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, “রাতে কয়েকজন লোক তাকে থানায় নিয়ে আসে। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
সাংবাদিক লিটনের ওপর হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি ‘মব’ তৈরি করে কিল-ঘুষি মারছে। সেখানে বলতে শোনা যায়, “আওয়ামী লীগের বড় দালাল ধরা পড়েছে। সীতাকুণ্ডের সাংবাদিক—মিথ্যা নিউজ ছড়িয়ে মানুষের জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে।”
আরও শোনা যায়, “আওয়ামী লীগের দালাল, একে মার।” এ সময় তারা ধারাবাহিকভাবে লিটনকে পেটাতে থাকে এবং একজনের কণ্ঠে শোনা যায়, “একে থানায় দিয়ে দাও।”
আহত লিটনের ছেলে রাকেশ চৌধুরী বলেন, “আমার পড়াশোনার জন্য বাবা শহরে বাসা ভাড়া নিয়েছেন। আমরা পুরো পরিবার সেখানে থাকি। কালীপূজা উপলক্ষে আমরা সবাই বাড়িতে গিয়েছিলাম।”
হামলার বর্ণনা দিতে গিয়ে রাকেশ বলেন, “রাতে বাবা ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে মোবাইল দেখছিলেন। তখন এক যুবক এসে অন্যদের ডেকে আনে এবং বাবাকে মারধর শুরু করে।
“তারা বাবাকে মারতে মারতে একদিকে টেনে নেয়। আমি ও আমার জ্যাঠাত ভাই বাবাকে বাঁচাতে গেলে আমাদেরও মারধর করা হয়।”
তিনি আরও জানান, “বাবাকে মারধর করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
অভিযুক্তদের বিচার দাবি করে সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম ফোরকান আবু বলেন, “যারা লিটন চৌধুরীর ওপর হামলা চালিয়েছে, তারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। ভিডিওতে তাদের মুখ পরিষ্কার দেখা গেছে।”
তিনি বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”

















