নরসিংদীজুড়ে ভূমিকম্পের ক্ষতচিহ্ন, ৭-৮ ইঞ্চি ফাঁক হয়ে গেছে মাটি
- আপডেট সময় : ০২:৩০:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
- / 103
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) নরসিংদীবাসী অনুভব করেছে স্মরণকালের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। উৎপত্তিস্থল নরসিংদী হওয়ায় এখানকার মানুষের আতঙ্ক কাটেনি এখনও। প্রতিনিয়ত উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যেই দিন কাটাচ্ছেন জেলার বাসিন্দারা। এখন পর্যন্ত পাঁচজন নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্র নরসিংদীতে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। তীব্র ঝাঁকুনিতে পুরো জেলা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাবস্টেশনের একটি ট্রান্সফরমারে আগুন ধরে ব্যাপক ক্ষতি হয়। অন্যান্য ট্রান্সফরমারের বেশিরভাগ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
সরেজমিন নরসিংদীর পলাশ ও মাধবদী এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন উঁচু ভবনে ভূমিকম্পের স্পষ্ট ছাপ রয়েছে। পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ক্যাম্পাসে মাটি দেবে গেছে। প্রধান ফটকের সামনে একটি টিনশেডের মেঝেতে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ঘোড়াশাল ডেইরি ফার্মের ভেতরের মাটিতেও বিশাল ফাটল সৃষ্টি হয়েছে—মাটি ফেটে ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি পর্যন্ত ফাঁক তৈরি হয়েছে। ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রেও আগুন লাগে, এতে কেন্দ্রের বেশ কিছু যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি ঘোড়াশাল এলাকার ছয়টি বাড়ি ও এস এ প্লাজা নামের একটি সাততলা শপিং মলে ফাটল ধরেছে। ঘোড়াশাল বাজারের বিভিন্ন ভবনের ছাদ থেকে দেয়ালের ইট পড়ে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। নরসিংদী শহর, মাধবদী, পলাশ ও ঘোড়াশাল—এসব এলাকায় একাধিক ভবন হেলে পড়ার ঘটনাও জানা গেছে।
ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ প্রসঙ্গে নরসিংদী জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন জানান, প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পৌর প্রশাসনকে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “আগামীকালের মধ্যে সব তথ্য পাওয়া যাবে।”
তিনি আরও জানান, নিহতদের দাফন-কাফনের জন্য পরিবারপ্রতি ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।


















