বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
Sex Cams
সর্বশেষ সংবাদ
দ্বিতীয় মুসলিম কমিউনিটি সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড আগামী ৯ই জুলাই লন্ডনে  » «   বিশ্বনাথে ব্যারিস্টার নাজির আহমদ ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে শিশুদের ফ্রি খৎনা প্রদান  » «   রাস্তা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের পক্ষে হাইকোর্টের রায়  » «   দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজ আর নেই  » «   লন্ডন মুসলিম সেন্টারে দুই শতাধিক মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো ‘ফেইথ ইন এনভারনমেন্ট’ সামিট  » «   রোবটিক্স বিজ্ঞানী ড. হাসান শহীদের নেতৃত্বে কুইন মেরি ইউনভার্সিটি অব লন্ডনে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম মাল্টিরোটর সোলার ড্রোন উদ্ভাবন  » «   লন্ডন এন্টারপ্রাইজ একাডেমির অফস্টেড রিপোর্টে ‘গুড’ গ্রেড অর্জন  » «   টাওয়ার হ্যামলেটস এডুকেশন অ্যাওয়ার্ডস : ১৮৫ জন শিক্ষার্থীকে সম্মাননা  » «   ব্যারিস্টার নাজির আহমদের “ইন্সপায়ার এ মিলিয়ন”নামে চ্যারিটি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা  » «   সম্মিলিত সাহিত্য ও  সাংস্কৃতিক পরিষদের ২০২৫-২৬ পরিচালনা পর্ষদ গঠন  » «   গ্রেটার ফতেহপুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের সাধারণ সভা ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত  » «   আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের মিল আর গুজব রাজনীতি  » «   পাচারকৃত টাকা বাংলাদেশে ফেরত আনার ব্যাপারে যুক্তরাজ্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন ডা. শফিকুর রহমান  » «   প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাব ফ্রান্সের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন  » «   শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

বিশ্বদেখা একজন বাংলাদেশী নারী নাজমুন নাহার ও ১২৫ দেশের গল্প
ভ্রমণ করেছেন ১২৫টি দেশ। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির আগে দেখতে চান ১৯৩ দেশ



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

স্বপ্ন পূরণ করে বাঁচার জন্যে একমুঠো সাহস চাই, অক্সিজেন তো সবাই নেয়! এই কথা যেন সত্যিই মিলে গেছে এই গল্পের সাথে। সব কিছুর মাঝে একটু ভিন্ন হওয়া, একটা কঠিন ব্যাপার। আর সেই কঠিন টা করতে পারলেই আসল বাজিমাত। বর্তমান সময়ে যখন নারীদের জন্যে কঠিন বিষয়, এক শহর থেকে অন্য শহরে যাওয়া, এই সময়ে শিরোনাম তৈরী করছেন একটি বাংলাদেশী নারী, বিশ্ব ভ্রমণের মাদ্ধমে। বাংলাদেশের লক্ষীপুর থেকে আসা একটি মেয়ে যে একদিন, বিশ্ব ঘুরবে, এটি একটি অবাক করার মতো ব্যাপার। আর এই কথাটিই সত্যি করে দেখিয়েছেন ‘ফ্ল্যাগ গার্ল’ – নাজমুন নাহার। ২০০০ সালে শুরু হয় এই স্বপ্নের সফর। গত ১৮ বছরে ঘুরা হয়েছে ১২৫টি দেশ।

নাজমুন নাহারের সর্বদা বইয়ের প্রতি দুর্বলতা ছিল এবং ভ্রমণ বইগুলির জন্য একটি বিশেষই প্রবণতা ছিল। মাসুদ রানার থ্রিলার ভরা বইগুলি ও সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশ-বিদেশে’ বই পরে, উনি ভ্রমণ করতে অনুপ্রাণিত হন। তার পিতা মোহাম্মদ আমিনও একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুপ্রেরণা ছিল তার জন্য। তিনি তার সব উদ্যোগে পাশে ছিলেন। তার সাত বড় ভাইবোন ও তার পাশে ছিলেন সব সময়।

লক্ষিপুরেই স্কুল ও কলেজ শেষ করার পর উচ্চ শিক্ষার জন্যে সুইডেন এ যান নাজমুন নাহার। ওখানেও করতে হয় অনেক কষ্ট। আর সেই কষ্টই উনাকে আজকের নাজমুন নাহারে পরিণত করেছে, যে কঠিন থেকে কঠিন সময়েও, বাঘিনীর মতো গর্জিয়ে এগিয়েছে।

নাজমুন নাহার দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়ান, কখনো কাজে, আবার কখনো শুধু ঘুরতে। এসবের মাঝেও উনি ভুলেন না, নিজ দেশের প্রতি প্রেম। তাই সাথে নেন একটি ছোট্ট বাংলাদেশের পতাকা। ৪০ বছরের বয়সে ও স্বপ্ন দেখেন আরো বড় কিছু করার, যখন আমরা অনেকেই জীবনের শেষ ধরে নি।

‘ইনস্পিরেশন গ্লোবাল ফাউন্ডেশন’ স্থাপন করার পরিকল্পনা করছেন নাজমুন নাহার! তিনি দেশে বিভিন্ন স্কুলের পাশাপাশি এতিমখানা পরিদর্শন করবেন যেখানে তিনি বাচ্চাদের তার ভ্রমণের গল্প বলবেন। উনি বিশ্বাস করেন, কাপড়-টাকা সবাই দিতে পারে, কিন্তু বেঁচে থাকতে শুধু এগুলোই নয়, লাগে সুন্দর জীবনের স্বপ্ন ও। আর উনি তাদের কে এই স্বপ্ন দিতে চান।

দেশের নতুন প্রজন্ম ও নারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন -যুল্স ওয়ার্নের বই – ‘অ্যারাউন্ড দা ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেইস’ এর মতো আসা করি, খুব শীঘ্রই, শেষ হবে নাজমুন নাহারের বিশ্ব ভ্রমণ। আর এই গল্পটি আমাদের দেশের নারীদের অনুপ্রাণিত করবে নতুন কিছু করার জন্যে।


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন