জ্বলছে ফিলিস্তিন
ফিলিস্তিনের আকাশে ভাসছে মৃর্ত্যুর কালো ছায়া
যায়নবাদি সৈন্যের মনে নেই কোনো দয়া-মায়া।
দিবস-রজনী এই এখানে তাদের নারকীয় সন্ত্রাস
স্বাধীনতাকামী কোটি মানুষের জীবন করছে নাশ।
তাদের ত্রাসে মরছে হাজার, লাখো লাখো নরনারী
সুনীল আকাশ প্রতিদিন হয় শোকের মাতমে ভারী ।
পশু-পাখি আর ছোট শিশুদের নিষ্পাপ শত লাশ
ধূ ধূ প্রান্তরে করছে কেবলই মানবতা পরিহাস।
দুই।।
পিতার দু’হাতে পুত্রের লাশ
মানবতা আজ করে পরিহাস
স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনির
ভূমি গাজা প্রান্তরে
বনের হিংস্র পশুর মতন
যারা করে আজ মানুষ নিধন
মানুষ নামের কলংক তারা এ বিশ্ব চরাচরে!
অবুঝ শিশুর বুকের উপরে
যারা সঙ্গীন উঁচিয়ে ধরে
দেখতে যদিও মানুষ তাহারা
আসলে মানুষ নয়
বনের পশু-পক্ষী ও সব
দেখিয়া এমন কাণ্ড আজব
বলছে ভূবনে যায়নবাদীরা
অমানুষ নিশ্চয়।
তিন ।।
ইসরাইলের ঘৃণিত আচরণে
বিরূপ প্রভাব পড়ছে কেবলই
বিশ্বের জনমনে।
বনের হিংস্র পশুর মতো
যাহারা হচ্ছে আজ উদ্ধত
তাদের দমন করার লক্ষ্যে
আসা প্রয়োজন সকলে ঐক্যে
মানবতা ফের উঠুক জেগে
পশুত্ব নিরসনে।
চার ।।
ফিলিস্তিনে নির্বিচারে
মানুষ হত্যা চলছে
যায়নবাদীর বোমার আগুনে
গাজা শহর জ্বলছে।
ইসরাইলী সৈন্যরা সব
বন্য পশুর মতো
নিরপরাধ গাজার মানুষ মারছে অবিরত।
ফিলিস্তিনে মানুষ জনের
মানবেতর দৃশ্য
মিডিয়াতে দেখে এখন
খুব হতবাক বিশ্ব।
শান্তিকামী বিশ্ববাসী
দিচ্ছে তিরস্কার
নরখাদক নেতানিয়াহু
দেয় তবু হুংকার।
বোমায় উড়ে যাচ্ছে হাজার
পুরুষ নারীর অঙ্গ
চিরকালের মতোই আছে
নিরব জাতিসংঘ!
বিশ্ব জানে ইসরাইলের
অস্ত্র বানায় কে
মানুষ মারার অস্ত্রে লেখা
মেইড ইন ইউএসএ।
বিপন্ন সভ্যতা
ছুটছে গুলি ওড়ছে ধুলি
যাচ্ছে ওড়ে মাথার খুলি!
যুদ্ধবিমান নীল আকাশে
ছুটছে মানুষ ভীষণ ত্রাসে।
শিশু-কিশোর বুড়োবুড়ি
বাড়ি ছাড়ার হুড়োহুড়ি।
পুড়ছে গাজার নানান শহর
মানুষ-পশু গাড়ীর বহর
স্বজনহারার আহাজারি
করছে আকাশ-বাতাস ভারী
পথে-ঘাটে লাশের সারি
ছিন্নভিন্ন ভিটেবাড়ী।
অত্যাচারের তীব্রতাতে
ফিলিস্তিনে দিনে-রাতে
মরছে মানুষ অবিরত
তেল আভিবের অত্যাচারে
গাজার জীবন ওষ্ঠাগত।
নিষ্ঠুরতার এমন দৃশ্য
দেখছে নিত্য সারা বিশ্ব।
দেখছে সবাই গণহত্যা
ইসরাইলের নির্মমতা।
দেখে দেখে এমন খবর
শান্তিকামী নিন্দামুখর
বলছে সবাই বন্ধ করো
এমনিতর নির্মমতা।
কিন্তু বড় দেশ যতসব
মানুষ মারার এই উৎসব
চালিয়ে নিতে ইসরাইলকে
যাচ্ছে করে সহযোগিতা!
শুনবে এখন কে কার কথা
চললে এমন ঘৃণ্য প্রথা
অচিরেই ধংস হবে
মানব জাতির এ সভ্যতা।
দুই ।।
গাজার আকাশে দানবের ছায়া
মাটিতে শকুনি দৃষ্টি
ধূ ধূ প্রান্তরে তাই প্রতিদিন
শিশুর রক্তবৃষ্টি!
সাঁজোয়াযানে সুপ্রাচীন ভূমি
করছে ছিন্নভিন্ন
নারী পুরুষের বুকের উপর
দানবীয় পদচিহ্ন!
ধ্বংসস্তূপে আগুনের ধোঁয়া
পথে-প্রান্তরে লাশ
লাশের উপরে দানব দলের
নারকীয় উল্লাস।
এমন দৃশ্য দেখছে বিশ্ব
বলছে না কেউ কথা
মানবরূপী দানবের হাতে
বিপন্ন সভ্যতা!
ভূয়া শান্তিবানী
দেখো চেয়ে বিশ্ববাসী
জ্বলছে ফিলিস্তিন
মোড়লগুলো বাজিয়ে বগল
নাচছে তাধিন ধিন
আজকে যারা মনউল্লাসে
জ্বালায় শহর গাজা
কে নেভাবে তাদের আগুন
কে-ই বা দেবে সাজা?
যেসব নেতা চুষছে আঙুল
বাজায় নিরোর বাঁশি
তাদের মুখে শান্তিবাণী!
শুনে কেবল হাসি!