অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মেলার উদ্বোধন করেছেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা।
এর আগে বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে এবং রূপা চক্রবর্তী ও শাহাদাত হোসেন নিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহাম্মদ নূরুল হুদা।
গত বছর করোনা মহামারির কারণে নানা বিধিনিষেধের মধ্যে অমর একুশে বইমেলার আয়োজন ছিল ফেব্রুয়ারির অর্ধেক মাস। এবার আর সেই সংকট নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রন্থমেলা উদ্বোধন শেষে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করবেন।
অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা ও ভাষাপ্রেমী-বইপ্রেমীরা উপস্থিত রয়েছেন।
এবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায় বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি ইউনিট অর্থাৎ মোট ৬০১টি প্রতিষ্ঠানকে ৯০১টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৮টি প্যাভিলিয়ন থাকবে।
মেলার প্রথম দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত সাতটি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন। বইগুলোর মধ্যে রয়েছে—শেখ মুজিবুর রহমান রচনাবলি, অসমাপ্ত আত্মজীবনী- পাঠ বিশ্লেষণ, আমার দেখা নয়াচীন-পাঠ বিশ্লেষণ, কারাগারের রোজনামচা- পাঠ বিশ্লেষণ, হাসান আজিজুল হকের ‘সাবিত্রী উপাখ্যান’-এর ইংরেজি অনুবাদ ‘দ্য লেটার অব সাবিত্রী’।
এ ছাড়া বাংলা একাডেমি থেকে এবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আত্মজীবনী ‘আমার জীবন, আমার রাজনীতি’ প্রকাশিত হবে, যার প্রথম খণ্ডের মোড়ক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলা একাডেমি বিভিন্ন জেলায় যে মেলাগুলোর আয়োজন করেছে গত বছর, সেসব সংকলন সাত খণ্ডে প্রকাশ করবে বাংলা একাডেমি। এ সংকলনের প্রথম খণ্ডটির মোড়ক উন্মোচন হবে বইমেলার উদ্বোধনী মঞ্চে।