বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
Sex Cams
সর্বশেষ সংবাদ
সৈয়দ আফসার উদ্দিন এমবিই‘র ইন্তেকাল  » «   ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিয়ানীবাজারে পথচারী ও রোগীদের মধ্যে ইফতার উপহার  » «   ইস্টহ্যান্ডসের রামাদান ফুড প্যাক ডেলিভারী সম্পন্ন  » «   বিসিএ রেস্টুরেন্ট কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এনএইচএস এর ‘টকিং থেরাপিস’ সার্ভিস ক্যাম্পেইন করবে  » «   গ্রেটার বড়লেখা এসোশিয়েশন ইউকে নতুন প্রজন্মদের নিয়ে কাজ করবে  » «   স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের দোয়া ও ইফতার মাহফিল  » «   কানাডা যাত্রায়  ইমিগ্রেশন বিড়ম্বনা এড়াতে সচেতন হোন  » «   ব্রিটিশ রাজবধূ কেট মিডলটন ক্যানসারে আক্রান্ত  » «   যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজাবাসীদের সাহায্যার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের অনুদান  » «   বড়লেখায় পাহাড়ি রাস্তা সম্প্রসারণে বেরিয়ে এলো শিলাখণ্ড  » «   মাইল এন্ড পার্কে ট্রিস ফর সিটিস এর কমিউনিটি বৃক্ষরোপণ  » «   রয়েল টাইগার্স স্পোর্টস ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন  » «   গোলাপগঞ্জ স্যোশাল এন্ড কালচারাল ট্রাস্ট ইউকে’র সাধারণ সভা ও নির্বাচন সম্পন্ন  » «   যুক্তরাজ্যবাসি  সাংবা‌দিক সাইদুল ইসলামের পিতা আব্দুল ওয়াহিদের ইন্তেকাল  » «   ইউকে বাংলা রিপোটার্স ইউনিটি‘র নতুন কার্যকরী কমিটির অভিষেক  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

দুই ঈদে প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলে কী এমন ক্ষতি?
আব্দুর রহিম শামীম



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ঈদ শব্দটির অর্থ উৎসব। ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব গুলোকে ঈদ বলা হয়।

ঈদ বলতে প্রধানত যা বুঝায় -ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। সবাই এই দিন নতুন পোশাক পরে। ঘরে ঘরে ভোজের আয়োজন হয়। আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীরাও এই আনন্দের অংশীদার হয়। মুসলমানেরা এই দিন ঈদের দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় এবং ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই সবাইকে কোলাকুলি, সালাম ও শুভেচ্ছা জানায়।

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হল ঈদ। ইসলাম ধর্ম অনুসারে বছরে দু’বার ঈদ আসে। প্রথমে ঈদ-উল-ফিতর, দান করার উৎসব। তারপরে ঈদ-উল-আজহা, ত্যাগ করার উৎসব। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মদিনায় হিজরতের পরেই ঈদ-উল-ফিতর উৎসব পালন শুরু হয়।

কিছু ঐতিহাসিক কাহিনী অনুসারে, নবী মুহাম্মদ (সা.) মদিনায় এসে দেখলেন মদিনাবাসী বছরে দুটি দিবসে আনন্দ উল্লাস করে থাকে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, এই দিবস দুটি কী? তারা জানালেন, নওরোজ ও মিহিরজান। শরতের পূর্ণিমায় পালিত হয় নওরোজ উৎসব, আর বসন্তের পূর্ণিমায় পালিত হয় মিহিরজান উৎসব। তখন নবী মুহাম্মদ (সা.) বললেন, আল্লাহ তোমাদের এই দিবস দুটির পরিবর্তে উত্তম দুটি দিবস দান করেছেন, তা হলো ঈদ-উল-আজহা এবং ঈদ-উল-ফিতরের দিন। এর মধ্যে রমজান মাসের শেষে সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে ও আনন্দের সহিত পালিত হয় ঈদ-উল-ফিতর।

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে ঈদ-উল-ফিতরের ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে। রমজান মাসকে অত্যন্ত পবিত্র মাস হিসেবে বিশ্বাস করা হয়। এইমাসে সৎকর্ম, মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ছড়িয়ে দেওয়া ও ধৈর্য ধরা হয় এবং সমস্ত মন্দ চিন্তা ও অভ্যাসকে দূরে সরানো হয়। আর, এই ঈদ-উল-ফিতরের মধ্য দিয়েই পবিত্র ইসলামী মাস রমজানের সমাপ্তি হয়।

কিছু প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ ও ঐতিহাসিক কাহিনী অনুসারে, আরব অঞ্চলে ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বেই ঈদ-উল-ফিতর উদযাপিত হত।এই দিনে বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা তাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেয় এবং ভালবাসা ও ভ্রাতৃত্বের বার্তা ছড়িয়ে দেয়।

তারা মসজিদে সবাই একসঙ্গে নামাজ পড়ে এবং একে অপরকে জড়িয়ে ধরে খুশির বার্তা দেয়। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ঈদ মোবারক জানানোর পিছনের ধারণা হল, সমাজে সহানুভূতি ও ভালবাসা ছড়িয়ে দেওয়া।

বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবার এই দিনটিতে প্রস্তুত করা হয়। এর মধ্যে সেমাই সবচেয়ে প্রচলিত খাবার। এছাড়াও বিরিয়ানি, কাবাব এবং আরও অনেক কিছু তৈরি করা হয়। পরিবার ও বন্ধু সবার সঙ্গে খাওয়া হয়।

একে অপরকে শুভেচ্ছা ও উপহার প্রেরণ করে মানুষ কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা প্রকাশ করে। এই দিনটিতে সবাই রাগ-হিংসা ভুলে গিয়ে একে অপরকে কাছে টেনে নেয়।

যারা দরিদ্র বা অভাবী তাদের মধ্যে বস্ত্র, অর্থ এবং খাবার বিতরণ করা হয়। ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে গরীব দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ করা দানকে যাকাতুল ফিতর বলা হয় এবং এটি ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূ

আমার লেখার প্রধান গুরত্ব হচ্ছে আমরা বাংলাদেশীরা যারা তৃতীয় বাংলা বলে খ্যাত বিলেতে থাকি এবং ইসলাম ধর্মের অনুসারী ।আমাদের পূর্ব পুরুষ যারা অত্যন্ত কষ্ট করে হাজার হাজার মাইল দূরে বিলেতে বসবাস শুরু করে ধর্ম- কর্ম চালিয়ে যেতে এই ব্রিটেনে অসংখ্য  মসজিদ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করে  আমাদের ধর্ম- কর্মের পথকে সুগম ও সহজতর করেছিলেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ।

ব্রিটেনে বসবাসরত মুসলমানের সংখ্যা প্রায় ত্রিশ লাখ আর এখানে বাংলাদেশী মুসলিম মালিকানাধীন রেস্টুরেন্টের সংখ্যা প্রায় দশ হাজার । আর এসব রেস্টুরেন্টে কাজ করেন লক্ষাধিক মুসলমান বাংলাদেশী কর্মী, যারা বেশীর ভাগই পরিবার -পরিজন নিয়ে এদেশে বসবাস করেন ।

কিন্তু দুঃখজনক হলে ও সত্যি যে, এসব কর্মীরা খ্রিষ্টমাস ও নিউ ইয়ারের ছুটি পেলেও ঈদের সময় তাদের ছুটি হয় না ।তাদের পরিবার- পরিজন অপেক্ষায় প্রহর গুনলেও শেষপর্যন্ত তারা পরিবারের সাথে মিলিত হতে পারেন না । কারণ তাদের রেস্টুরেন্ট খোলা থাকায় ছুটি হয় না। তারা এ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হন। এতে করে তারা যে শুধুই মর্মাহত হন এমন নয়- এ বেদনায় তাদের পরিবার ও পরিজনও আহত হন । তাদের সন্তানরা এই আনন্দের দিনে পরিবারের প্রধানকর্তা কে না পেয়ে ঈদের আনন্দ একটি হতাশা ও বিষাদে পরিণত হয় ।

রেস্টুরেন্ট মালিকরা মুসলমান হয়ে খ্রিষ্টমাস ও নিউ ইয়ারের ছুটির দিন রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখলে ও ঈদের দিন খোলা রেখে কর্মীদের ঈদের এ আনন্দ থেকে বঞ্চিত করেন- এটি সম্পূর্ণ অন্যায়, অমানবিক ও অনৈতিক এবং সর্বোপরি অনৈসলামিক- আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি ।

দুই ঈদে, দুইদিন রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখলে কী এমন ক্ষতি হবে ? অপরদিকে অমুসলিম মালিকানাধীন সকল প্রতিষ্ঠানের মুসলিম কর্মীরা না চাইলেও ঈদের দিন তারা ছুটি ভোগ করেন ।

তাই আমার প্রত্যাশা ঈদের দিন ছুটি দেয়া এবং রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখার এ যৌক্তিক দাবীগুলো মেনে নিয়ে কর্মীদের ঈদের আনন্দ ভোগ করার সুযোগ দানে সংশ্লিষ্ট মহল এগিয়ে আসবেন  ।

আব্দুর রহিম শামীম : লেখক ও সংগঠক, লন্ডন ।

 


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন