মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
Sex Cams
সর্বশেষ সংবাদ
যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজাবাসীদের সাহায্যার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের অনুদান  » «   বড়লেখায় পাহাড়ি রাস্তা সম্প্রসারণে বেরিয়ে এলো শিলাখণ্ড  » «   মাইল এন্ড পার্কে ট্রিস ফর সিটিস এর কমিউনিটি বৃক্ষরোপণ  » «   রয়েল টাইগার্স স্পোর্টস ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন  » «   গোলাপগঞ্জ স্যোশাল এন্ড কালচারাল ট্রাস্ট ইউকে’র সাধারণ সভা ও নির্বাচন সম্পন্ন  » «   যুক্তরাজ্যবাসি  সাংবা‌দিক সাইদুল ইসলামের পিতা আব্দুল ওয়াহিদের ইন্তেকাল  » «   ইউকে বাংলা রিপোটার্স ইউনিটি‘র নতুন কার্যকরী কমিটির অভিষেক  » «   রোটারিয়ান মোহাম্মদ খতিবুর রহমান বার্লিন যাচ্ছেন  » «   টাওয়ার হ্যামলেটসের নতুন বাজেটে হাউজিং, শিক্ষা, অপরাধ দমন, তরুণ, বয়স্ক ও মহিলাদের জন্য বিশেষ কর্মসূচিতে বিপুল বিনিয়োগ প্রস্তাব  » «   আজীবন সম্মাননা পেলেন সৈয়দ আফসার উদ্দিন এমবিই  » «   লন্ডন বাংলা স্কুলের আয়োজনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত  » «   লন্ডনবাসী প্রবীণ মুরব্বী জমির উদ্দিন( টেনাই মিয়া)র ইন্তেকাল  » «   কবি সংগঠক ফারুক আহমেদ রনির পিতা মুমিন উদ্দীনের ইন্তেকাল  » «   একসেস ট্যু জাস্টিস নিশ্চিত করা আইনের শাসনের প্রধান স্তম্ভ  » «   বৃহত্তর সিলেট এডুকেশন ট্রাস্টের নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

বিশ্বনাথে মায়ের কোল থেকে ভেসে গেল শিশু, ৫ জনের মৃত্যু



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সিলেটে বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফের বন্যায় প্লাবিত পুরো বিশ্বনাথ উপজেলা। বন্যায় এ পর্যন্ত পানিতে ডুবে ৫ জনের মৃত্যু এবং এক শিশু কন্যা নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এখানকার ৮০ ভাগ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। গত শুক্রবার থেকে উপজেলা সদরের সঙ্গে সকল ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

নেই বিদ্যুৎ ও মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে সকল রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি। প্লাবিত হয়েছে বাড়িঘর, হাটবাজার, গুচ্ছগ্রাম, ধর্মীয় উপসনালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে রামপাশা ইউনিয়নের আমতৈল জমশেরপুর গ্রামের জামাল উদ্দিনের স্ত্রী নৌকায় করে তার এক বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাচ্ছিলেন। ফেরার পথে রামপাশা বাজারের পশ্চিমের হাওরে নৌকা ডুবে যায়। এসময় শিশুটি পানির স্রোতে ভেসে যায়। এখনো নিখোঁজ রয়েছে সে।

এছাড়া শুক্রবার দিন-দুপুরে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের বাওনপুর গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা শামিম আহমদ (৬০) আশ্রয়কেন্দ্র হতে শ্বশুরবাড়িতে ফেরার পথে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হন। এরপর গতকাল রবিবার দুপুরে স্থানীয় মরা সুরমা নদীর তীরবর্তী মিরেরগাঁও গ্রাম থেকে শামিম আহমদের লাশ ভাসমান পাওয়া যায়। একই দিন বিকেলে খাজাঞ্চী ইউনিয়নের চন্দ্রগ্রাম গ্রামের অমর চন্দ্র দাসের পুত্র অনিক দাস উরফে মোহন দাস (২০) বাড়ি থেকে সিলেট শহরে যাওয়ার পথে বাড়ির পার্শ্ববর্তী গ্রামের মসজিদের সামনে স্রোতে তোড়ে নিখোঁজ হন। রবিবার বিকেলে তার লাশ পাওয়া যায়। শুক্রবার দুপুরে দশঘর ইউনিয়নের বাইশঘর গ্রামের মতছিন আলীর স্ত্রী লিমা বেগম (৩৫) ও শ্যালিকা সিমা বেগম (২৫) বাড়ির পার্শ্ববর্তী খালে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হন। ওই দিন বিকেলে তাদের লাশ পাওয়া যায়। একই দিন পানিতে ডুবে মারা যান উপজেলার সিংরাওলী গ্রামের ইয়াসিন আলীর পুত্র আলতাবুর রহমান (৪৫)।

তবে গত রবিবার থেকে বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির পথে। পানিবন্দি পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। ঘরের ভেতরে পানি প্রবেশ করায় খাবার রান্না করা তো দূরের কথা, পরিবারের সদস্যদের বিশ্রামেরও জায়গা নেই। এই ভয়াবহ অবস্থায় জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। রয়েছে তীব্র খাবার সংকট। খাবারের জন্য হাহাকার করছেন তারা। বিশ্বনাথ পৌর শহরের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বন্যার্তরা কিছু ত্রাণ সহায়তা পেলেও বঞ্চিত রয়েছেন উপজেলার খাজাঞ্চী, অলংকারী, রামপাশা, দৌলতপুর, দেওকলস ও দশঘর ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ।

ভালো নেই আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে থাকা লোকজনও। করুণ ও অসহায় অবস্থা তাদের। পুরো উপজেলা টানা তিন দিন ধরে বিদুৎহীন। মুঠোফোন নেটওয়ার্ক অকার্যকর, বন্ধ ইন্টারনেট সেবাও। পুরো উপজেলাতেই পানি ঢুকেছে। প্রতিটি বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। হাঁটু থেকে গলা সমান পানি। খাবার ও সুপেয় পানির তীব্র সংকট, পাওয়া যাচ্ছে না বিশুদ্ধ খাবার পানি। দ্রুত এর সমাধান করা না গেলে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।
সরকারের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বৃত্তবান লোকজন ও সেবামূলক সংগঠনগুলোকের পক্ষ হতে অনেকেই বিশ্বনাথে ত্রাণ নিয়ে আসলেও উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় এবং নৌকা না থাকায় প্রত্যন্ত এলাকাগুলোকে দুর্গত মানুষের কাছে তারা ত্রাণ পৌঁছাতে পারছেন না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক নুসরাত জাহান জানিয়েছেন, গত সোমবার পর্যন্ত উপজেলায় বন্যার্তদের জন্য ৩০ মেট্রিক টন চাল ও শুকনো খাবারের জন্য ৭ লক্ষ টাকা সরকারিভাবে বরাদ্দ হয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। সৌজন্যে: কালের কণ্ঠ


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন