রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ১৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
https://blu-ray.world/ download movies
সর্বশেষ সংবাদ
ওয়াশিংটন ডিসি থেকে লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী  » «   যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা প্রধানমন্ত্রীকে যেসব দাবী জানিয়েছেন  » «   বার্মিংহাম মিডল্যান্ডস বাংলা প্রেসক্লাবের নির্বাচন অনুষ্ঠিত  » «   নাইট্রাস অক্সাইড এর অপব্যবহারের ঝুঁকি কমাতে টাওয়ার হ্যামলেটস এবং কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির সম্মিলিত উদ্যোগ  » «   স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরীর মনোনয়ন নিশ্চিত করার দাবী  » «   মোল্লাপুর ফ্রেন্ডস সোসাইটি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত  » «   টরেন্টো বাংলা পাড়া ক্লাবের ১ম ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত  » «   ফুটবলের ব্যাখ্যাতিত নায়ক  » «   বিলেতে হালাল ব্যবসায় হাবিবুর রহমানের সাফল্য  » «   ইউ‌কে বাংলা প্রেসক্লা‌বের দোয়া মাহ‌ফিল  » «   বিয়ানীবাজার ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতালের ‘মোবাইল ক্লিনিক’ সেবা উদ্বোধন  » «   লণ্ডনে গ্রেটার পাতন এসোসিয়েশন ইউকের বর্ণাঢ্য অভিষেক  » «   সুনামগঞ্জ জেলা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইউকের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ২০২৩ অনুষ্ঠিত  » «   ইস্টহ্যান্ডস’র আয়োজনে লন্ডনে বাগান প্রেমীদের মিলন মেলা  » «   লন্ডন বাংলা স্কুল এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন  » «  
সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন

বিশ্বনাথে মায়ের কোল থেকে ভেসে গেল শিশু, ৫ জনের মৃত্যু



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সিলেটে বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফের বন্যায় প্লাবিত পুরো বিশ্বনাথ উপজেলা। বন্যায় এ পর্যন্ত পানিতে ডুবে ৫ জনের মৃত্যু এবং এক শিশু কন্যা নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এখানকার ৮০ ভাগ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। গত শুক্রবার থেকে উপজেলা সদরের সঙ্গে সকল ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

নেই বিদ্যুৎ ও মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে সকল রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি। প্লাবিত হয়েছে বাড়িঘর, হাটবাজার, গুচ্ছগ্রাম, ধর্মীয় উপসনালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে রামপাশা ইউনিয়নের আমতৈল জমশেরপুর গ্রামের জামাল উদ্দিনের স্ত্রী নৌকায় করে তার এক বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাচ্ছিলেন। ফেরার পথে রামপাশা বাজারের পশ্চিমের হাওরে নৌকা ডুবে যায়। এসময় শিশুটি পানির স্রোতে ভেসে যায়। এখনো নিখোঁজ রয়েছে সে।

এছাড়া শুক্রবার দিন-দুপুরে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের বাওনপুর গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা শামিম আহমদ (৬০) আশ্রয়কেন্দ্র হতে শ্বশুরবাড়িতে ফেরার পথে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হন। এরপর গতকাল রবিবার দুপুরে স্থানীয় মরা সুরমা নদীর তীরবর্তী মিরেরগাঁও গ্রাম থেকে শামিম আহমদের লাশ ভাসমান পাওয়া যায়। একই দিন বিকেলে খাজাঞ্চী ইউনিয়নের চন্দ্রগ্রাম গ্রামের অমর চন্দ্র দাসের পুত্র অনিক দাস উরফে মোহন দাস (২০) বাড়ি থেকে সিলেট শহরে যাওয়ার পথে বাড়ির পার্শ্ববর্তী গ্রামের মসজিদের সামনে স্রোতে তোড়ে নিখোঁজ হন। রবিবার বিকেলে তার লাশ পাওয়া যায়। শুক্রবার দুপুরে দশঘর ইউনিয়নের বাইশঘর গ্রামের মতছিন আলীর স্ত্রী লিমা বেগম (৩৫) ও শ্যালিকা সিমা বেগম (২৫) বাড়ির পার্শ্ববর্তী খালে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হন। ওই দিন বিকেলে তাদের লাশ পাওয়া যায়। একই দিন পানিতে ডুবে মারা যান উপজেলার সিংরাওলী গ্রামের ইয়াসিন আলীর পুত্র আলতাবুর রহমান (৪৫)।

তবে গত রবিবার থেকে বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির পথে। পানিবন্দি পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। ঘরের ভেতরে পানি প্রবেশ করায় খাবার রান্না করা তো দূরের কথা, পরিবারের সদস্যদের বিশ্রামেরও জায়গা নেই। এই ভয়াবহ অবস্থায় জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। রয়েছে তীব্র খাবার সংকট। খাবারের জন্য হাহাকার করছেন তারা। বিশ্বনাথ পৌর শহরের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বন্যার্তরা কিছু ত্রাণ সহায়তা পেলেও বঞ্চিত রয়েছেন উপজেলার খাজাঞ্চী, অলংকারী, রামপাশা, দৌলতপুর, দেওকলস ও দশঘর ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ।

ভালো নেই আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে থাকা লোকজনও। করুণ ও অসহায় অবস্থা তাদের। পুরো উপজেলা টানা তিন দিন ধরে বিদুৎহীন। মুঠোফোন নেটওয়ার্ক অকার্যকর, বন্ধ ইন্টারনেট সেবাও। পুরো উপজেলাতেই পানি ঢুকেছে। প্রতিটি বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। হাঁটু থেকে গলা সমান পানি। খাবার ও সুপেয় পানির তীব্র সংকট, পাওয়া যাচ্ছে না বিশুদ্ধ খাবার পানি। দ্রুত এর সমাধান করা না গেলে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।
সরকারের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বৃত্তবান লোকজন ও সেবামূলক সংগঠনগুলোকের পক্ষ হতে অনেকেই বিশ্বনাথে ত্রাণ নিয়ে আসলেও উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় এবং নৌকা না থাকায় প্রত্যন্ত এলাকাগুলোকে দুর্গত মানুষের কাছে তারা ত্রাণ পৌঁছাতে পারছেন না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক নুসরাত জাহান জানিয়েছেন, গত সোমবার পর্যন্ত উপজেলায় বন্যার্তদের জন্য ৩০ মেট্রিক টন চাল ও শুকনো খাবারের জন্য ৭ লক্ষ টাকা সরকারিভাবে বরাদ্দ হয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। সৌজন্যে: কালের কণ্ঠ


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন