কোভিড কাটিয়ে ওঠা বিশ্ব ভালো নেই।
এখন চলছে যুদ্ধ- যুদ্ধ খেলা। ইউক্রেনে লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহহীন।
কত প্রাণ ঝরেছে তার যেমন হিসাব নেই, তেমনি, এই রক্তা-রক্তি কবে বন্ধ হবে! আবার কবে বাড়ি ফিরবে- লাখ লাখ শিশু,বৃদ্ধ রিফিউজি- তাদের জানা নেই।
ন্যাটো – রাশিয়ার রাজনৈতিক আধিপথ্যের যাতাকলে- গ্লোবালি খাদ্য-দ্রব্যের মূল্য বেড়েছে লাগামহীন। ইউরোপের মধ্যবিত্ত সমাজ ব্যবস্থায়- ধনীদের আগ্রাসনে রাতারাতি ’গরীব’ হয়ে যাওয়া সংখ্যাগরিষ্ট নাগরিক জানে না- এ দু:সহ জীবন তারা কাটাবে কীভাবে।
কল্যাণরাস্ট্রের তকমা লাগিয়ে চলা তথাকতিথ মানবতাবাদি রাষ্ট্রবিধাতাদের কণ্ঠেও নেই কোন প্রতিবাদ। বরং আছে- উন্মত,আগ্রাসী,আধিপত্যবাদি খেলায় তাদেরও দৃশ্যমান অংশগ্রহন।
সংযমের মাস রমজানে মধ্যপ্রাচ্যের রাজা-বাদশাদের খাবারে যখন যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন ফিউশন রেসিপি। ঠিক সেই সময়, ইয়েমেনে প্রতি মিনিটে- আটটি কোমলপ্রাণ শিশু মারা যাচ্ছে শুধুমাত্র খাদ্য ও পানীয় জলের অভাবে।
ফিলিস্তিন, সুদান , সোমালিয়া, আফগাস্তিান নিয়ে বিশ্ব মোড়লদের সাথে প্রতিবাদিকণ্ঠ হওয়ার মতো কতটি ‘মানবিক রাষ্ট্র ‘ আছে ? ‘ব্রান্ডিং মানবধিকার সংগঠন’ গুলো তো কাগুজে বাঘ হয়ে আছে বহু আগ থেকে!
থ্রিপল ডাবলিউর মুক্ত আকাশে, সামাজিক যোগাযোগ, সংবাদপত্র ,গণমাধ্যমের প্রভাবশালী অংশ করপোরেট ব্যবসায়ী হয়ে আছে- এই সংবাদটিও অনেক পুরনো।।
এতো কিছুর পরও ঈদ এসেছে।
দেশে দেশে সুখ -দূ:খ, বিয়োগ- ব্যাথার অনুভূতি নিয়ে ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দিয়েছে অনাবিল আনন্দ।
এই উৎসব দিনে তথাকথিত দেশবিধাতারা জানেনা- পৃথিবীর আনাচে কানাচে সংখ্যাঘরিষ্ট, অগণণ মানুষ এক অপরের পাশে থেকেছে।
রমজানে- খাবার,সাহায্য ও ভালোবাসা নিয়ে নিরবে ভ্রাতিত্বের বন্ধনে মানুষ থেকেছে মানুষের পাশে।
একে অপরের মোনাজাতে আছে- বিশ্বের সকল কল্যাণ, শান্তি ও নিরন্তর ভালো থাকার কামনা।
পবিত্র ঈদুল ফিতরে ৫২বাংলা বিশ্বের সংখ্যাঘরিষ্ট,অনুচ্চারিত ও অপ্রকাশিত – অসম্ভব ভালো মানুষদের পাশে থেকে সবাইকে জানাচ্ছে ঈদ মোবারক ও আন্তরিক শুভেচ্ছা।
ভ্রাতৃত্ব, সংযম ও ত্যাগে মানবিকতার আলো ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে-