গোলাপগঞ্জ তথা সিলেটের কৃতি সন্তান প্রখ্যাত রম্য লেখক, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক ও সাবেক কূটনীতিক আতাউর রহমান আর নেই (ইন্না-লিল্লাহ ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন) । শনিবার (২৭ আগস্ট) সকাল ৬ টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ২৭ আগষ্ট শনিবার বাদ মাগরিব মরহুমের নিজ এলাকা ঢাকাদক্ষিন দারুল উলুম হুসাইনিয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাযা শেষে তাঁর নিজ জন্মভূমি নগর গ্রামে দাফন সম্পন্ন হয়। জানাযার নামাজে ইমামতি করেন মরহুমের ভাতিজা। জানাযার নামাজে উপস্থিত ছিলেন, সরকারী বিভিন্ন উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলোকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক সহ সর্বস্তরের শহস্রাধিক মুসল্লীয়ান।
তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছু দিন সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
মৃত্যুকালে তিনি ২ পুত্র ও স্ত্রীসহ অসংখ্য আত্নীয় স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
দেশবরেণ্য এ রম্য লেখক ও শিক্ষাবিদের মৃত্যুতে এলাকাসহ সিলেট জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
উল্লেখ্য, ১৯৪২ সালে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের নগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন রম্যলেখক আতাউর রহমান। পিতা কবির আহমদ আবুল খায়রাতের তত্বাবধানে তাঁর শিক্ষা জীবনের শুরু হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেএম এ ডিগ্রি নেয়ার পর মদনমোহন কলেজ ও এমসি কলেজে শিক্ষকতা করেন। পরে তৎকালীন পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সিএসপি অফিসার হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করেন। চাকুরী জীবনে তিনি লন্ডন ও রিয়াদস্থ বাংলাদেশ বানিজ্যিক ও কূটনীতিক দায়িত্ব পালন করেন।
২০০২ সালে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মহাপরিচালক হিসেবে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।অবসরগ্রহণের পর তিনি বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। আমলা, লেখক, শিক্ষক, কূটনীতিক, বক্তা হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয় এ লেখকের এপর্যন্ত ২৪ টি বই প্রকাশিত হয়েছে।