­
­
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
‘বাংলাদেশিসহ’ ৪০ অভিবাসীকে আলবেনিয়ায় পাঠাল ইতালি  » «   বিনিয়োগ সম্মেলনে কেমন সাড়া পেলো বাংলাদেশ?  » «   আরবদের হটিয়ে যেভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল  » «   ২০২৪ সালে লন্ডন ছেড়েছেন ১১ হাজার ধনী, কোথায় যাচ্ছেন তাঁরা  » «   জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশে নেমে আসবে: গভর্নর  » «   মডেল মেঘনা বিশেষ ক্ষমতা আইনে জেলে, অভিযোগ ছাড়াই আটকের যৌক্তিকতা নিয়ে আবারও প্রশ্ন  » «   ‘আলোয় আলোয় মুক্তির’ সন্ধানে বর্ষবরণ করবে ছায়ানট  » «   মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলে গেল  » «   যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ: বিপজ্জনক খেলা, পথ নেই পিছু হটার  » «   বিশ্বকে বদলে দিতে বাংলাদেশ ক্রেজি আইডিয়ার দেশ  » «   প্রবাসীদের ভোট পদ্ধতি নির্ধারণে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি  » «   নাসার সাথে চুক্তি, আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা জোটে যুক্ত হলো বাংলাদেশ  » «   সারা দেশে সরকারি ফার্মেসি চালু করছে সরকার  » «   ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ থেকে বাটা-কেএফসি ভাংচুর : ৪ মামলা, গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান  » «   গাজায় গণহত্যা: ছয় জেলায় বাটা-কেএফসিতে হামলা-ভাঙচুর, হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ  » «  

কলমাকান্দায় নারী দিবসে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার



নেত্রকোণা র কলমাকান্দায় স্বামীর বাড়ি থেকে বিয়ের এক বছর একদিন পর দেবী দাস (১৮) নামের গৃবুধুর লাশ উদ্ধার করেছে  থানা পুলিশ।

সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে সজিব দাসের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে বিকালে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যায়।

পুলিশ ও স্থানীয় এবং নিহতের স্বজনদের সুত্রে  জানা গেছে  , উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের ধীতপুর গ্রামের প্রাণেশ দাসের মেয়ে দেবীসহ সকলেই ঢাকার বিক্রমপুর থাকতেন। পরে মোবাইলে প্রেম হয়ে একই এলাকার পনার পারুয়া গ্রামের সুনীল দাসের ছেলে সজিব দাস গত একবছর আগের এই দিনে বিক্রমপুর থেকে দেবীকে নিয়ে পালিয়ে এসে বিয়ে করে। এরমধ্যে দেবীর একটি গর্ভপাতের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়  ।

আজ সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে আটটার দিকে কলমাকান্দা থানার পুলিশ খবর পেয়ে সজিবের বাড়িতে গিয়ে দেখে ঘরের মেঝেতে মৃত অবস্থায় গৃহবধু দেবীর মরদেহ। এদিকে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দেবীর পরিবারকে  জানায় সজিবের পরিবার । এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়ায় পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বিকালে নেত্রকোনা মর্গে পাঠায়।

দেবীর মা কল্পনা দাস, বোন ঝুমা দাস ও ভাই পরিতোষ দাসসহ আহাজারি অবস্থায় স্বজনরা জানায়, তারা অনেক আগে থেকেই বিক্রমপুর অবস্থান করছিলো। একই উপজেলার হওয়ার সুবাদে যোগাযোগ হওয়ায় প্রেম করে দুজনই পালিয়ে বিয়ে করে। এরপর থেকে দেবীর শ্বাশুড়ী দেবীকে অত্যাচার করতো। কারো সাথে কথা বলতো না। মেয়েটির গর্ভে সন্তান আসলে লাকড়ি কাটিয়ে সন্তানটিকে নষ্ট করে ফেলে। পরবর্তীতে আজ ভোরে সজিবের মা ফোন দিয়ে দেবীর মা ভাইকে আসতে বলে ঢাকা থেকে। তারা এসে দেখে তাদরে মেয়ে আর নেই।

দেবীর স্বামী সজিব দাস সাংবাদিকদের  বলেন, স্ত্রীকে নিয়ে রাতে প্রতিদিনের ন্যায় ঘুমিয়ে পড়েন। পরে ভোর রাতে তার বাবা ওঠে বাথরুম যাওয়ার জন্য ওঠলে তাদের ঘরের দরজা লাগানো দেখেন। যে কারনে সজিবকে ডাকে। সজিব ওঠে দেখে স্ত্রী নেই পাশে। খুঁজতে থাকলে বেড়ার ফাঁক দিয়ে দেখেন পাশের রান্না ঘরের আড়ার সাথে ঝুলছে। পরে হাত পা নাড়া দেখে দ্রুত নামানো হলও আর বাঁচাতে পারেনি।

কলমাকান্দার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি  তদন্ত)  মো. সিরাজুল ইসলাম খাঁন দেবীর শ্বশুর বাড়ির বরাত দিয়ে সাাংবাদিকদের জানান, তারা যখন নামিয়েছিলো তখন নাকি হাত পা নাড়াচ্ছিলো। কিন্তু লাশ কোথায় পাওয়া গেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মেঝেতে শুয়ানো অবস্থায়। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বিকালে নেত্রকোনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরই নিহতের প্রকৃত কারণ  জানা যাবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন