বিয়ানীবাজারে বড় ধরনের ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্র- পুলিশের সোর্স মাধ্যমে এমন সংবাদে নড়েচড়ে পুলিশ প্রশাসন। সিলেটের পুলিশ সুপার থেকে সহকারি পুলিশ সুপার (সার্কেল) এর সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ, পরামর্শ এবং পুলিশের বিশ্বস্থ সোর্স এর মাধ্যমে ডাকাত চক্রের গতিবিধি লক্ষ্য রাখা হয়। গত তিনদিন থেকে এ ডাকাতচক্রের সাথে ছায়ার মতো কয়েকজন পুলিশ সোর্স লেগে ছিল। একই সাথে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের সর্বশেষ অবস্থান নজরে রেখেছিল।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে খাসা এলাকায় আসার পর আগে থেকে ওৎপেতে থাকা বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ ডাকাতদের বহনকারি মাইক্রো এর গতি রোধ করে। এসময় ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তিন ডাকাত সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃতদের বিয়ানীবাজার থানা দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়ে আসে পুলিশ। এ সময় ডাকাতদের কাছে থাকা ব্যাগ থেকে দুইটি বন্দুক, একটি রিবলবার, ১৪টি কার্তুজ, ৩টি রাম দা, অত্যাধনিক কাটারসহ ডাকাতিকাজে ব্যবহৃত হয় এমন সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ।
ডাকাত আটক ও অস্ত্রসহ ডাকাতিকাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিয়ানীবাজার থানার ওসি হিল্লোল রায়। তিনি বলেন, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, আটককৃত তিনজনকে থানা হেফাজতে নিয়ে আসার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ‘তারা মুড়িয়া ইউনিয়নের কয়েকটি বাড়িতে ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল’ বলে জানিয়েছে। এদিকে, আটককৃতদের রেখে পলাতক বাকি ডাকাতদের ধরতে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের বিশেষ এই অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।