­
­
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
‘শুনানির’ দুই দিন আগেই জামিন পেলেন নুসরাত ফারিয়া  » «   বাংলাদেশে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা, খরচ কত?  » «   অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া বিমানবন্দর থেকে কারাগারে: ইন্টেরিমের প্রতি শিল্পীদের ক্ষোভ ও তিরস্কার  » «   বিশ্বরেকর্ড গড়ে এভারেস্ট জয় করলেন বাংলাদেশি শাকিল  » «   বিশ্বের কাছে বার্তা দিতে পাল্টাপাল্টি প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে ভারত-পাকিস্তান  » «   ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোলে আটকা শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক, বাংলাদেশ জানেই না স্থগিত সিদ্ধান্তের কথা!  » «   স্থলপথে পণ্য নেবে না ভারত : কেনো এত উদ্বিগ্ন অর্থনীতিবিদ ও রপ্তানিকারকরা  » «   চট্টগ্রামের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল বিদেশিদের দেওয়া নিয়ে বিতর্ক: কী জানা যাচ্ছে  » «   পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা  » «   সিলেটে ডা. জোবাইদার ‘বেনামি’ পোস্টার ঘিরে আলোচনার ঝড়  » «   মাত্র ১৪ কর্মদিবসে মাগুরার আছিয়া ধর্ষণ-হত্যার বিচার, ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড  » «   হামাস নির্মূলে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন তীব্রতর, ফিলিস্তিনিদের লিবিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ট্রাম্পের  » «   সৌদির সমাজে বড় পরিবর্তন, কীভাবে সম্ভব হলো?  » «   আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে এখন আমরা কী নির্মাণ করছি?  » «   ডলার খোলাবাজারে : দাম অস্বাভাবিক বাড়লে কী হবে?  » «  

তাদের মিতালী পানির সঙ্গেই



মানিক বন্দোপাধ্যায় এর কালজয়ী উপন্যাস ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ -তে কুবের মাঝির কথা মনে আছে নিশ্চয়ই আপনাদের। বাস্তবে আজ রাঙ্গামাটির আদার পাহাড়ে দেখা মিলল তেমন দুটি ছেলের- যাদের বসবাস এই ছোট ডিঙি নৌকাতেই।

সারারাত মাছ ধরে ভোরে তা বিক্রি করে যা পায় তা দিয়ে খাবার এবং নৌকা চালানোর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে আবার ফিরে আসে লেক এর গহীনে। তারপর দুপুর পর্যন্ত নৌকাতেই ঘুম- বিকেলের আগে খাবার রান্না করা এবং খাওয়া। আবার সন্ধ্যায় মাছ ধরতে যাওয়া।

তাদের দুজনের নাম হামিদুল ও আব্দুল আজিজ- বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজানে। আগে অন্য কাজ করলেও ২ বছর হল মাছ ধরার পেশায় আছে। জানালো ভালোই আছে তারা- কারো কথা শুনতে হয় না। আপন মনে কাজ করে আর মাসান্তে পিতামাতা ভাইবোনদের দেখতে একবার বাড়ি যায়।

গহীন জলরাশিতে ভয় পায় কিনা জানতে চাইলে মুখটা ভয়ার্ত করে বলল- ঘূর্ণিঝড় আর জলোচ্ছ্বাস হলে ছোট নৌকায় থাকতে ভয় হয়। তখন নৌকাকে কোন লোকালয়ের কাছে নিয়ে এসে শক্ত করে বেধে রেখে ঝড় কিংবা জলোচ্ছ্বাস থামার অপেক্ষায় থাকি।

‘মাছ ধরে মাসে তাদের আয় কেমন হয়’ এমন প্রশ্নের জবাবে একগাল হেসে জানালো, সব খরচ শেষে তাদের একেকজনের লাভ থাকে মাসে ১২-১৫ হাজার টাকা। এ টাকাতেই তাদের মুখে দেখা মেলে তৃপ্তির হাসি- এ যেন জীবন যুদ্ধে জয়ী হওয়ার হাসি।

দুজনেরই থাকা খাওয়া/জীবিকার সন্ধান সবকিছুই এই ছোট্ট নৌকাতে- পানির সঙ্গেই যেন তাদের মিতালী।

৬.১০.২০২০
আদার পাহাড়, বালুখালী, রাঙ্গামাটি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন