শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সিলেট থেকে কার্গো ফ্লাইটের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু ২৭ এপ্রিল  » «   যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিটেন্স বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি, কমেছে আমিরাত থেকে  » «   পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিবকে কী বললো ঢাকা?  » «   বিয়ানীবাজার জনকল্যাণ সমিতি ইউকের উদ্যোগে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত  » «   নির্বাচনের জন্য জামায়াত আমিরের ৩ শর্ত, ফেব্রুয়ারি ২৬-এর সময়সীমা কঠিন নয়  » «   ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ : কঠিন হবে রাজনৈতিক আশ্রয়  » «   লন্ডনে খালেদা-তারেকের সাথে জামায়াত আমিরের বৈঠক, দুই দল কী বলছে?  » «   উজানে ‘মেগা ড্যামের’ ধাক্কা সামলাতে দিল্লি-ঢাকা-থিম্পুকে জোট বাঁধার ডাক  » «   রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিলো, বিশ্বাস করেন সাকিব  » «   নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক, ‘একেবারেই সন্তুষ্ট নয়’ বিএনপি  » «   গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়ালো ৫১ হাজার  » «   দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা  » «   ট্রাম্প ও শির যুদ্ধ প্রস্তুতি কী বার্তা দিচ্ছে বিশ্বকে  » «   যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের কেন সবসময় পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে  » «   ‘তৌহিদী জনতার’ হুমকি : এবার ঢাকায় নাটকের প্রদর্শনী বাতিল  » «  

তাদের মিতালী পানির সঙ্গেই



মানিক বন্দোপাধ্যায় এর কালজয়ী উপন্যাস ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ -তে কুবের মাঝির কথা মনে আছে নিশ্চয়ই আপনাদের। বাস্তবে আজ রাঙ্গামাটির আদার পাহাড়ে দেখা মিলল তেমন দুটি ছেলের- যাদের বসবাস এই ছোট ডিঙি নৌকাতেই।

সারারাত মাছ ধরে ভোরে তা বিক্রি করে যা পায় তা দিয়ে খাবার এবং নৌকা চালানোর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে আবার ফিরে আসে লেক এর গহীনে। তারপর দুপুর পর্যন্ত নৌকাতেই ঘুম- বিকেলের আগে খাবার রান্না করা এবং খাওয়া। আবার সন্ধ্যায় মাছ ধরতে যাওয়া।

তাদের দুজনের নাম হামিদুল ও আব্দুল আজিজ- বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজানে। আগে অন্য কাজ করলেও ২ বছর হল মাছ ধরার পেশায় আছে। জানালো ভালোই আছে তারা- কারো কথা শুনতে হয় না। আপন মনে কাজ করে আর মাসান্তে পিতামাতা ভাইবোনদের দেখতে একবার বাড়ি যায়।

গহীন জলরাশিতে ভয় পায় কিনা জানতে চাইলে মুখটা ভয়ার্ত করে বলল- ঘূর্ণিঝড় আর জলোচ্ছ্বাস হলে ছোট নৌকায় থাকতে ভয় হয়। তখন নৌকাকে কোন লোকালয়ের কাছে নিয়ে এসে শক্ত করে বেধে রেখে ঝড় কিংবা জলোচ্ছ্বাস থামার অপেক্ষায় থাকি।

‘মাছ ধরে মাসে তাদের আয় কেমন হয়’ এমন প্রশ্নের জবাবে একগাল হেসে জানালো, সব খরচ শেষে তাদের একেকজনের লাভ থাকে মাসে ১২-১৫ হাজার টাকা। এ টাকাতেই তাদের মুখে দেখা মেলে তৃপ্তির হাসি- এ যেন জীবন যুদ্ধে জয়ী হওয়ার হাসি।

দুজনেরই থাকা খাওয়া/জীবিকার সন্ধান সবকিছুই এই ছোট্ট নৌকাতে- পানির সঙ্গেই যেন তাদের মিতালী।

৬.১০.২০২০
আদার পাহাড়, বালুখালী, রাঙ্গামাটি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

সাবস্ক্রাইব করুন
পেইজে লাইক দিন