মোঃইবাদুর রহমান জাকির
সিলেটের কয়েকটি থানা যেমন জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ এবং কানাইঘাট এর সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ পাথর এর ব্যাবসার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। সাম্প্রতিক করোনা ভাইরাস ও একাধারে ৪ বার এর বন্যার ফলে এ অঞ্চলগুলোতে প্রায় ১২ লক্ষ সাধারণ শ্রমিক বেকারত্বে ভোগছে। তাদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত ঝুকির মধ্যে ঝুলে আছে।
জানা যায় এ অঞ্চল গুলোতে ১০ থেকে ১২ টি পাথর কোয়ারি রয়েছে, যে কোয়ারি গুলোর জন্ম প্রায় ৭১ এর অাগে। পাথর কোয়ারি গুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ১২ লক্ষ শ্রমিকের জীবন জীবিকা, এছাড়া নিটল মটরস ও আইসার কোম্পানির হিসেব অনুযায়ী প্রায় ছোট বড় ১৫ হাজার ট্রাক পাথর পরিবহনের জন্য ব্যাবহার করা হয় যার প্রতিটার সর্বনিম্ন মূল্য ৩০ লক্ষ টাকার মতো। আরো পাথর ক্রাশিং এর জন্য এসব অঞ্চলগুলোতে গড়ে উঠেছে প্রায় ১০ হাজার ক্রাশার মেশিন, যার প্রতিটার অনুমানিক বাজার মূল্য ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা। সিলেট শহরের আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে প্রায় ৩ হাজার এজেন্সি, সরকারী/বেসরকারি ব্যাংক লোন সাপোর্ট হাজার কোটি টাকার উপরে।
পরিবেশবাদীর মতে, বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অনুযায়ী সিলেট ঝুঁকিপূর্ণ এরিয়া, যে কোনো সময় ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক বড় ধরনের দূর্যোগ হতে পারে। অপরদিকে পরিবেশের দোহাই দিয়ে যদি ১০ থেকে ১২ টি কোয়ারি খুলে দেয়া না হয় তাহলে কোথায় যাবে ১২ লক্ষ শ্রমিক, ব্যাবসায়ীরা দেউলিয়া হওয়ার ফলে কিভাবে শোধ করবে তাদের ব্যাংক লোন এবং শিল্প কারখানার গুলোই বা অবস্হা কি হবে, এসব প্রশ্ন গুলো কি পরিবেশবাদীদের ভাবায় না। সুতরাং এখনি সময় প্রশাসন, রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ এবং পরিবেশবাদীদের একটা সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া, যার ফলে বেঁচে যাবে লক্ষাধিক শ্রমিক, ব্যাবসায়ী এবং এজেন্সগুলো।