২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার। ঘড়ির কাটা রাত ৮টায় – লন্ডন সহ ব্রিটেনের প্রতিটি এলাকা জেগে উঠলো করতালিতে। ঘরের সামনের দরজায় অথবা ব্যালকনিতে দাড়িয়ে সবাই হাসি মুখে জানালেন করোনা সময়ের জাতিয় বীরদের কৃতজ্ঞতা।মুখের হাসি আর করোতালির সম্মিলিত শব্দে ভেসে উঠেছে- জাগরণের শব্দমালা।
মনে মনে সবার এযেন একটাই উচ্চারণ – ‘দূরে হলেও বিশ্বাসে রাখো- আমরা সবাই মনের দিক দিয়ে তোমাদের খুব কাছে আছি। এবং আমাদের প্রার্থনায় তোমরাও আছো। আমাদের স্বজন – প্রিয়জনদের বাচিয়ে তুলার তোমাদের সংগ্রামকে -শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’
Clap for Carers ব্রিটেনে করোনা পেনডামিক সময়ের একটি ঐতিহাসিক মুহুর্ত।ব্রিটেনে সর্বস্তরের মানুষের অংশ গ্রহনে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের স্টাফ ও কেয়ারাসদের সম্মান জানাতে, কোভিক-১৯ আক্রান্ত শরীর নিয়ে বাইরে দাড়িয়ে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। একই ভাবে Clap for Carers রাতে সংযুক্ত ছিলেন রিরোধী দলীয় নেতা জেরেমি করবিন ।বিভিন্ন পেশার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সংবাদ কর্মী সহ সর্বস্তরের ব্রিটেনবাসীও ছিল তাদের সাথে।
Clap for Carers প্রথম উদযাপন হয় ২৬ মার্চ , এনএইচ এস স্টাফদের জন্য। এরপর ২ এপ্রিলের রাতটি প্রবীন ও স্পেশাল নিডেডদের সেবায় এই মহামারিতে কাজ করা কেয়ারাসদের জন্য বিশেষ করে নিবেদিত ছিল।
লকডাউন ব্রিটেনে Clap for Carers এ ব্রিটেনবাসীর ঐক্যবদ্ধ অংশগ্রহন মূলত মানবিক ব্রিটেনের আলোকিত বার্তা-ই উচ্চারিতভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
সকলের একটাই প্রার্থনা- করোনা মহামারি দ্রুত কাটিয়ে উঠুক- ব্রিটেন সহ বিশ্ববাসী। রোগিদের সেবায় নিয়োজিত আমাদের জাতিয় হিরো-রাও পরিবার স্বজনদের নিয়ে নিরাপদে থাকুক।
এনএইচএস স্টাফ ও কেয়ারারদের প্রতি ৫২বাংলাটিভি পরিবারের অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা।
কণ্ঠ: শতরুপা চৌধুরী