একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হতে না হতেই সংরক্ষিত মহিলা আসনের আলোচনায় মেতে উঠেছেন দেশের প্রায় প্রতিটি জেলার মানুষ। মনোনয়ন প্রত্যাশিদের কর্ম তৎপরতাও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
প্রবাসী অধ্যুষ্যিত সিলেট বিভাগে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের সরবতা চোখে পড়ার মতো। মৌলভীবাজার-সুনামগঞ্জ জেলার মানুষ সংরক্ষিত মহিলা আসন নিয়ে এবার অন্যান্য বারের তুলনায় বেশ সক্রিয়। সংরক্ষিত আসনের এমপি পদের প্রত্যাশীরা কেন্দ্রে জোর লবিং চালাচ্ছেন।
অতীতের মতো বৃহত্তর মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ জেলাবাসীর সেবা করার লক্ষে সংসদের সংরক্ষিত নারী সংসদীয় আসন-২৯ এর জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড.আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি’র কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন নারীনেত্রী যুক্তরাজ্য প্রবাসী সৈয়দা নাজনীন সুলতানা (শিখা)। তিনি যুক্তরাজ্য মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরিচালনা সিলেট বিভাগীয় উপ-কমিটির সদস্য, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা এ্যাডভোকেট মো. জীবন রহমান।
সৈয়দা নাজনিন সুলতানা শিখা (মৌলভীবাজার- সুনামগঞ্জ) সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হকের ছোটবোন।
নাজনীন সুলতানা যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ছাড়াও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির যুক্তরাজ্য শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু রিসার্চ সেন্টারের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু পরিষদ যুক্তরাজ্য শাখার সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফোরামের মহিলা সম্পাদিকা।
১৯৯৫ সালে নিজে প্রতিষ্ঠা করেন নারী চেতনা নামে একটি সংগঠন। বর্তমানে এটির চেয়ারপার্সনের দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া যুক্তরাজ্য বাংলা নববর্ষ উদযাপন পরিষদের কো-অর্ডিনেটর ও কুলাউড়ায় ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্য আলোর দ্যুতি ছড়িয়ে দিতে গঠন করেন এডুকেশন এওয়ারনেস ট্রার্স্ট। বর্তমানে তিনি ট্রাস্টের চেয়ারপার্সনের দায়িত্বে রয়েছেন।
রাজনীতির বাইরে যুক্তরাজ্যে কমিউনিটির বিভিন্ন ইস্যুবিত্তিক আন্দোলন, সচেতনামূলক কাজ সহ সাহিত্য সংস্কৃতির একজন বিশিষ্টজন হিসাবে কমিউনিটিতে তার পরিচিতি রয়েছে।
আওয়ামী লীগ এর মনোনয়ন প্রত্যাশি নাজনীন সুলতানা বলেন, ‘আমি পারিবারিকভাবেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতির আদর্শে বেড়ে ওঠেছি। আমার রাজনৈতিক জীবন ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে প্রভাবিত। রাজনীতির মাঠে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছিলাম নৌকার প্রচারণায়। দীর্ঘদিন দেশের বাইরে সরকারি চাকুরী করেছি সেন্ট্রাল হেলথে। এছাড়াও নানারকম সামাজিক কার্যক্রমে আমি জড়িত। আমার দীর্ঘদিনের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে আমি মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই। দুই জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিশ্চিত করণে কাজ করবো। মানসিক প্রতিবন্ধী ও বাক প্রতিবন্ধী (অটিজম) মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই। দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দল এবং সরকারে নারী নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখছেন, আমার বিশ্বাস সংরক্ষিত আসনের ক্ষেত্রে সে আস্থা রাখলে আমার সুযোগ আছে। সুযোগ পেলে আমি তৃণমূল পর্যায়ে পিছিয়ে পড়া নারীদের নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি নেত্রীর লক্ষ্য অর্জনে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে আমার সর্বোচ্চ মেধা ও শ্রম প্রয়োগ করবো।’