১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর বিজয়ের ঊষালগ্নে জাতিকে মেধাশূন্য করতেই সুপরিকল্পিত ভাবে জাতির শ্রেষ্ট সন্তানদের বেছে বেছে ঘর থেকে ধরে নিয়ে হত্যাকরা হয়, বুদ্ধিজীবি হত্যার মূল পরিকল্পনা করেছিল পাকিস্তানীদের দোসর আলবদর রাজাকার ও আলসামস বাহিনীর সদস্যরা। আর এর অন্যতম নায়ক ছিল তৎকালীন আলবদর কমান্ডার লন্ডনে পলাতক ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত চৌধুরী মইনুদ্দিন ।
একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি লন্ডন শাখা আয়োজিত বুদ্ধিজীবি দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন।বক্তরা বলেন বুদ্ধিজীবি হত্যার অন্যতম নায়ক চৌধুরী মইনুদ্দিন লন্ডনে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিভিন্ন ভাবে পায়তারা করছে, চৌধূরী মইনুদ্দিনকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে ফাঁসির রায় কার্যকর ও সেই সাথে তারই প্রতিষ্টিত দাতব্য সংস্থা মুসলিম এইডের কার্যক্রম বাংলাদেশে বন্ধের দাবী জানান বক্তারা। গতকাল ১৪ই ডিসেম্বর লন্ডন সময় সন্ধ্যা ছয় ঘটিকায় ইষ্টলন্ডনের আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনারে একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটিরসিনিয়র সহসভাপতি সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী জামাল আহমদ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন লন্ডনস্থ বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্যসাংবাদিক আনসার আহমেদ উল্লাহ, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ডেপুটি স্পীকার কাউন্সিলার আহবাব হোসেন, বার্কিং এন্ড ডাগেনতহ্যাম কাউন্সিলের কাউন্সিলার মঈন কাদরি, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী।
এছাড়াও বুদ্ধিজীবি দিবসের আলোচনায় অংশ নেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক মেয়র সেলিম উল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মিফতাহ ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাদি,যুদ্ধাপরাধ বিচার মঞ্চের সহসভাপতি ড. আনিছুর রহমান আনিছ, যুদ্ধাপরাধ বিচার মঞ্চের সদস্য বাতিরুল হক সরদার, সত্যেন সেন স্কুল অফ পার্ফরমিং আর্টসের সভাপতি হারুনুর রশিদ, কবি ময়নুর রহমান বাবুল, যুক্তরাজ্য জাসদের সহসভাপতি এডভোকেট মুজিবুল হক
মনি, ওয়েষ্ট লন্ডন আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী হাজী আব্দুল হান্নান, বিসিএ‘র সাবেক সেক্রেটারী আশরাফ উদ্দিন, কমিউনিটি নেতা হাবিবুর রহমান, কমিউনিষ্ট পার্টির সৈয়দ আব্দুর রকিব, কমিউনিষ্ট পার্টির সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. রফিকুল হাসান খান জিন্না, ইষ্ট লন্ডন আওয়ামীলীগের সৈয়দ গোলাব আলী, সাবেক ছাত্র নেতা সায়েক আহমদ, জানে আলম, লিটন আহমদ, প্রজাপতি গ্রুপের ফেরদৌসি জয়িতা, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটি যুক্তরাজ্য শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রুবি হক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সেলিনা হোসেন, হামিদা ইদ্রিস, অসিমা দে, শারমিন বিথি, প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মজুমদার আলী, নজরুল ইসলাম প্রমুখ। প্রদিপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে অনুষ্টানের শুরুতে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়, একমিনিট নীরবতা পালন করা হয় ও জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্টানের সমাপ্তি ঘটে।