আজ ১৬ ই ডিসেম্বর। বিজয়ের ৪৮ বছর।রক্তে-স্নাত এ বিজয়, একটি লাল সবুজ পতাকা।এ বিজয় পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাস প্রাণপন লড়ে যাবার মৃত্যুঞ্জয়ী শপথ। ত্রিশ লাখ শহীদের আত্নদানে পাওয়া এ বিজয়। লাখ লাখ নারীর সম্ভ্রমহানীতে পাওয়া এ বিজয়।স্বজন হারানোর ব্যাথায় কাতর এ বিজয়।
রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম—-মাঠে-ঘাটে, পথে-প্রান্তরে কিংবা জলে আর অন্তরীক্ষে আপামর মুক্তিকামী বাঙ্গালীদের সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্যি দিয়ে ছিনিয়ে আনা এ বিজয়।এ দিন স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আত্নপ্রকাশ সারা বিশ্বের মানচিত্রে।৭১ এর এই দিনে যেন আমরা স্পর্শ করেছিলাম স্বপ্নের সোনালী দিগন্ত ।
স্বাধীনতার জন্য লড়েছিল বাঙ্গালি, সারা বিশ্বব্যাপী। ব্রিটেনের বাঙ্গালীরা ছিল সোচ্চার। ‘যার যা কিছু আছে, তা নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা কর’–বঙ্গবন্ধুর সেই তেজী আহবানে ব্রিটেনের বাঙালিরা লড়েছে, ব্রিটেনের রাজপথ কাঁপিয়েছে, ঐতিহাসকি হাইড পার্ক লোকে লোকরণ্য হয়েছে। স্বাধীতার জন্য এই প্রবাসে অনশন করেছে বাঙালি। ৪৮ বছর আগেও এই ব্রিটেনে নারীরা মিছিলে অংশ নিয়েছে।
৪৮ তম বিজয়ের ভোরে সারা বাংলাদেশের মত এই ব্রিটেনে বাঙ্গালিদের অর্জন আলতাব আলি পার্কের শহিদ মিনারে ফুল দিয়েছে লন্ডনের মানুষ।বাংলাদেশের বাইরে প্রথম স্থায়ীভাবে নির্মিত বঙ্গবন্ধু’র ভাস্কর্যে পুস্পার্ঘ অর্পন করা হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর ভোর রাতে। লন্ডন, ম্যানচেষ্টার বার্মিংহামে বাংলাদেশের দূতাবাসে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার। বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান।উল্লাস-উদ্দীপনার মধ্যি দিয়েই উদযাপিত হচ্ছে ব্রিটেনে বাংলাদেশের বিজয় দিবস।