প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে গিয়ে দেখা করার স্থায়ী অনুমতি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ওই সূত্রের তথ্যানুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে দেখার জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও অঙ্গ-সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাদের মৌখিকভাবে অনুমতির পাশাপাশি তালিকা দেয়া থাকে। ওই তালিকা থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম বাদ দেয়া হয়েছে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের ওই নেতারা জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাতে ভীষণ ক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের বর্তমান শীর্ষ নেতাদের ওপর। তিনি কমিটি ভেঙে দিতে বলেছেন।
ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃতি দিয়ে ওই নেতারা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমি ছাত্রলীগের এমন নেতা চাই না, যাদের বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে।’
আওয়ামী লীগের নেতারা আরও জানান, ছাত্রলীগের ওপর প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেও দেখা দেননি তিনি। উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতারা তখন দুজনকে গণভবন থেকে চলে যেতে বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গণভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সামনে পেয়ে সবার সামনেই ‘বকাঝকা’ করেন। তিনি বলেন, ‘চলে যাও এখান থেকে।’
পরে ছাত্রলীগের দুই নেতাই বেরিয়ে যান। বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা বৈঠক শেষে ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমানের সঙ্গে ছাত্রলীগ প্রসঙ্গে প্রায় ১০ মিনিট কথা বলেন।’