জালালাবাদ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সংগঠনের পেট্রন ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে এক গণ সংবর্ধনা প্রধান করা হয়।
৪ মে শনিবার পূর্ব লন্ডনের ইম্প্রেশন ইভেন্ট ভেনুতে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আশিকুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন আনছার।
সংবর্ধনায় ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ব থেকে আজ পর্যন্ত দেশের উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখে যাচ্ছেন। তাদের অবদান অস্বীকারের উপায় নেই।
মুক্তিযুদ্ধে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের ঐতিহাসিক অবদানের জন্য মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের রাষ্ট্রিয়ভাবে বিশেষ সম্মাননা প্রদানের দাবী জানিয়েছে জালালাবাদ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ। জনাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের অবদান ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত। যুক্তরাজ্যবাসী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠকদের তালিকা তৈরীর কাজটি যুক্তরাজ্য থেকেই করা দরকার। এরকম উদ্যোগ নিলে সরকার তাদেরকে সম্মাননা প্রদান করবে।
এনআরবি ডে’ ক্যাস্পেইন এর প্রতিষ্ঠাতা ড. মোমেন সংবর্ধনা সভায় বলেন, প্রবাসীদের বিশেষভাবে সম্মান জানিয়ে ৩০ ডিসেম্বর জাতীয়ভাবে এনআরবি ডে পালন এর স্বীকৃতির জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।আমার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি শীর্ঘ্রই সুনজরে নিবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কে প্রবাসীবান্ধব উল্লেখ করে বলেন- প্রবাসী অধ্যুষ্যিত সিলেটে একটি প্রবাসী পল্লী নির্মাণের দাবীর প্রসঙ্গে বলেন, সিলেটে একটি হাউজিং প্রকল্প করার পরিকল্পনার চিন্তা আছে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের এখন নতুন প্রজন্মদের বাংলাদেশে যুগপযোগি ও সর্বাধিক সুবিধাসম্পন্ন ও নিরাপদ পরিবেশের আবাসন সময়ের দাবী। তাহলে নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশকে নিয়ে তাদের পজিটিভ ধারণা জন্ম নেবে। দেশের সাথে তাদের প্রবাসীদের বিনিযোগ বান্ধব সম্পর্ক তৈরীতে প্রবাসী আবাসন প্রকল্প ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি।
‘প্রবাসীরা যাতে বিমানবন্দরে হয়রানির সম্মুখীন না হোন, তার জন্য প্রত্যেকটি বিমানবন্দরে সিসিটিভি বসানো হয়েছে। বিমানের সার্ভিসকে উন্নতি করতে একটি টাস্কফোর্স গঠন এবং একটি প্রবাসী ডেস্ক সৃষ্টি করা হয়েছে।’- বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি ও নানা অনিয়মের প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন।
‘ প্রবাসীদের মেধা ,দক্ষতা ও সম্ভাবনাকে কীভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নে সর্বোচ্চ কাজে লাগানো যায়, তা উদঘাটন করার জন্য সরকার একটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন ড. মোমেন।
সভার শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াত করেন সংগঠনের প্রেস ও পাবলিকেশন সম্পাদক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ।
উদ্বোধনী বক্তব্যে জালালাবাদ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আশিকুর রহমান পররাষ্ট্র মন্ত্রীমন্ত্রী ড. মোমেনকে জালালাবাদ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করেন। সংবর্ধিত অতিথিকে ফুল দিয়ে বরণ করেন ইন্টারন্যাশনাল এফেয়ার্স সেক্রেটারি শাহ মুনিম ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ,চ্যানেল এস এর সভাপতি ও জেপিকেপির এডভাইজার আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি ,লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী,অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম।
জেপিকেপির দায়িত্বশীলদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ,মানিকুর রহমান,কাউন্সিলর আয়েশা চৌধুরী ,ফয়জুর রহমান ,আব্দুল হালিম চৌধুরী ,রিয়াজ উদ্দিন ,জাকির হুসাই ,দিনা হুসাইন,মারফত মিয়া ,সুহেল আহমেদ, জামাল উদ্দিন ,জৈন মিয়া ,আবু তারেক চৌধুরী ,নাজির আলী ও উসমান গণী |
এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন ও সামাজিক সংস্থার নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ড. শাহ রেজাউল করীম, জালালাবাদ এসোসিয়েশন এর সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিব, প্রবাসী পল্লী গ্রুপের ডাইরেক্টর এমদাদুর রহমান,কাউন্সিলর মাহবুব হোসাইন, আওয়ামী লীগ এর শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক ভিপি খসরুজ্জামান খসরু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি রুম্মান আহমেদ, কাউন্সিলার আব্দাল উল্লাহ, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকের সভাপতি ইসবাহ উদ্দীন, সহ সভাপতি সারব আলী, মনোজির আলী , আব্দুস সালাম ,মুহিব চৌধুরী প্রমুখ।
জালালাবাদ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের সহ সভাপিত আব্দুল বারির সমাপনী বক্তব্য রাখেন। ড. মোমেন এর সম্মানে এক প্রীতিভোজ এর আয়োজন করা হয়।